বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মুজার উপর মাসেহ বৈধ হওয়ার জন্য সাতটি শর্ত রয়েছে-
(১)অজুর সময়ে পা ধৌত করার পর পড়তে হবে।যদিও অজুকে পূর্ণ করা না হউক তবে মুজা পরার পর অজুকে পূর্ণ করার পূর্বে কোনো হদস বা অজু ভঙ্গকারী জিনিষ সামনে আসতে পারবে না।(২)মুজা দ্বারা টাখনু পর্যন্ত পা-কে ঢেকে রাখা সম্ভব হতে হবে।(৩)মুজা দ্বারা একাধারে তিন মাইল(শরয়ী) বা সাড়েপাঁচ কিলোঃ হাটা সম্ভব হতে হবে।সুতরাং লোহা, শিষা, লাকড়ি ইত্যাদির মুজা দ্বারা মাসেহ করার কখনো জায়েয হবে না।(৪)মুজা তিন আঙ্গুল পরিমাণ ছিড়া থাকতে পারবে না।(৫)কোনো কিছু দ্বারা বাঁধা ব্যতীত মুজা পায়ের উপর এটে থাকতে হবে।(৬) শরীরে পানি প্রবেশ হতে বাধা প্রদানকারী হতে হবে।(৭)পা কর্তিত থাকাবস্থায়,পায়ের উপরি ভাগের সামনের অংশে তিন আঙ্গুল পরিমাণ অবশিষ্ট থাকতে হবে।যদি পায়ের উপরিভাগের সামনের অংশে তিন আঙ্গুল পরিমাণ পায়ের পাতা অবশিষ্ট না থাকে,তাহলে তখন মুজার উপর মাসেহ করা কখনো জায়েয হবে না।যদিও এক্ষেত্রে পায়ের পিছনে অংশ বাকী থাকুক না কেন?
(মাসেহের সময়সীমা)
মুক্বিম ব্যক্তি একদিন একরাত পর্যন্ত মুজার উপর মাসেহ করতে পারবে।তবে মুকিম ব্যক্তি তিনদিন তিনরাত পর্যন্ত মুজার উপর মাসেহ করতে পারবে।মুজা পরিধান করার পর যখন অজু চলে যাবে,মূলত তখন থেকেই মাসেহের সময়ের সূচনা হবে।(মারাকিল ফালাহ-১/৫৬-৫৭)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2723
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জুতার উপর মাসেহ করার কোনো হাদীস নেই।হ্যা,মুজার উপর মাসেহ করা যাবে যদি উপরোক্ত শর্ত বিদ্যমান থাকে, নতুবা মাসেহ করা জায়েয হবে না।