বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/5988/ নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
একে অন্যকে এই যে সহযোগিতা,কাউকে উপকার করা- এটা হতে হবে কেবলই আল্লাহকে
সন্তুষ্ট করার জন্যে।
যদি কোনো কিছু পাওয়ার নিয়তে সহযোগিতা করা হয়,তাহলে সেক্ষেত্রে কোনো কিছু গ্রহন করা ইসলাম
সমথর্ন করেনা।
হাদীয়া বলা হয় নিঃস্বার্থভাবে, বিনিময় ছাড়া, চাওয়া
ব্যতীত ও সতস্ফুর্তভাবে নিজেদের মধ্যে যে আদান প্রদান হয় তাই হাদিয়া।
হাদিয়া বৈধ হওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত
রয়েছে। (ক) যা হাদিয়া দিবে ঐ জিনিস হালাল হতে হবে। হারাম জিনিস হাদিয়া দেয়া যাবে
না। (খ) হাদিয়া সম্পূর্ণ নিজের সম্মতিতে দিতে হবে।
আল্লাহর রাসূল সা. বলেন, তোমরা পরস্পর হাদিয়ার আদান-প্রদান করো, তাহলে মহাব্বত বৃদ্ধি পাবে। (ইমাম বুখারী
রচিত আদাবুল মুফরাদ, হা/৫৯৪)
আল্লাহ তাঅলা বলেন, তারা যদি খুশি হয়ে তোমাদেরকে দিয়ে দেয়, তাহলে তোমরা তা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ করো। (সূরা
নিসা আয়াত নং ০৪)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন-
مَنْ أَتَى إِلَيْكُمْ مَعْرُوفًا فَكَافِئُوهُ، فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا فَادْعُوا لَهُ، حَتَّى يَعْلَمَ أَنْ قَدْ كَافَأْتُمُوهُ.
তোমাদের প্রতি যে ব্যক্তি কোনো ভালো আচরণ করে
তোমরা তার প্রতিদান দাও। যদি দেয়ার মতো কিছু না পাও তাহলে তার জন্যে দুআ করো, যাতে সে বুঝতে পরে- তোমরা তার প্রতিদান
দিয়েছ। -আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদীস
২১৬
عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّاسَ، كَانُوا يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ، يَبْتَغُونَ بِهَا ـ أَوْ يَبْتَغُونَ بِذَلِكَ ـ مَرْضَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, লোকেরা তাদের হাদিয়া পাঠাবার জন্য ‘আয়িশা
(রাঃ) এর নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করত। এতে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করত। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৪]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ سَأَلَ عَنْهُ أَهَدِيَّةٌ أَمْ صَدَقَةٌ فَإِنْ قِيلَ صَدَقَةٌ. قَالَ لأَصْحَابِهِ كُلُوا. وَلَمْ يَأْكُلْ، وَإِنْ قِيلَ هَدِيَّةٌ. ضَرَبَ بِيَدِهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَ مَعَهُمْ ”
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে কোন খাবার আনা হলে তিনি জানতে চাইতেন, এটা হাদিয়া, না
সাদকা? যদি
বলা হতো, সাদকা
তা হলে সাহাবীদের তিনি বলতেন, তোমরা
খাও। কিন্তু তিনি খেতেন না। আর যদি বলা হল হাদিয়া। তাহলে তিনিও হাত বাড়াতেন এবং
তাদের সাথে খাওয়ায় শরীক হতেন। [বুখারী, হাদীস
নং-২৪০৬]
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
★সুতরাং
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ব্যাক্তি না চাওয়া সত্ত্বেও তারা যদি মন থেকে এসব
জিনিস দেয়,সে যদি এসব পাওয়ার জন্য
উক্ত সাহায্য না করে থাকে,আর তারা যদি ভবিষ্যতে কোনো
স্বার্থ উদ্ধারের জন্য না দিয়ে থাকে,শুধু
মাত্র মন থেকে দিয়ে থাকে,তাহলে এটি আপনার জন্য উক্ত ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে
হাদিয়া ধরা হবে। তাই উক্ত বস্তুগুলো গ্রহন করাতে কোন সমস্যা নেই।