আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
321 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (15 points)
পরিবারের ৩ সন্তান ২ মেয়ে বড় ১ টা ছেলে ছোট।বড় মেয়ে বিয়ে হয়েছে তার পছন্দ মতন অনার্স ৩ বর্ষে সকলের সম্মতিতে,কলমা হবার পর দিন থেকেই স্বামীর উপর সকল খরচ নিতে বলা হয় সে নেয়।কিন্তু মেয়ের পরিবার দিন দিন চায় মেয়ে তাদের নামে বাড়ি করবে তাদের টাকা দিবে অনেকে দেয় দেখে তাই তারা বড় কথা বলবে,ছোট থেকেই মাথায় ঢুকানো বড় হবা, চাকরী করবা টাকা কামাবা মা বাবা কে দিবা।।অাবেগে বিয়ের পর অনেক কিছু ই দেয়া হতো,স্বামীর কে না জানিয়ে বা মিথ্যা বলেও টাকা তাদের বিলাসীতার পিছনে খরচ করা হতো।স্বামী অালহামদুলিল্লাহ যখন যা পারে তার দায়িত্ব করে কিন্তু শশুড় বাড়ি গেলেই পরিস্থিতি যেমন হোক হাত ভরে জিনিস নিতে হবে লোকের নিকট বড় হবে এমন একটা মন মানুষিকতা।যাই হোক মেয়েটা নিজেকে ধীরে পরিবর্তন করতে চাচ্ছে কারন সে অার এখন অাগের মতন স্বামীর অামানত নষ্ট করে না,, স্বামীর অার্থিক সমস্যা বুঝতে চেষ্টা করে,কুরআনের ক্লাস করে এতে মেয়ের মা খুব খুশী না তাদের মেইন কথা হলো কষ্ট করে বড় করছে স্বামীর টান টানার জন্য?? এমন মন মানুষিকতা।শুধু দিতে থাকো এমন চায়।
কিন্তু তারা ভালো খায়,,পড়ে সব চলে,, বাবা কাজ করে পারশ্রমিক নেয় + মালিকের কাছে সুদে টাকা নেয়।এভাবে মিশ্রিত অায়ে মেয়ের বাবার সংসার চলে। মেয়েটি কি করবে সে কি বাবার বাড়ির কোন খাবার খাবে না?? বা তাদের দেয়া কিছু নিবে না।মেয়ের স্বামীকে কি বলবে যদি শশুর বাড়ি থেকে স্বামীকে কিছু দেয়?অার বাবার বাড়ি কিছু দিন  একদম যাওয়া হয় না কারন মেয়ের স্বামী অার্থিক সমস্যায় অাছে + কুরআন শিখার জন্য সময় দেয়া হয় এটা নিয়ে মেয়ের মা নানা রকম কথা বলে কি করা উচিত মেয়েটার? মেয়ের মা তালিম করে,সব বুঝে কিন্তু সে চায় মেয়ের জামাই তাদের দিবে,,মেয়ে দিবে। তাদের বাড়ি করে দিবে, বলে রাখি মেয়ে থাকে ভাড়া বাসায়,,সঞয় নেই, কিন্তু মেয়ের বাবার বাড়ি নিজেদের কিন্তু টিনের।তাদের ব্যাংকেও টাকা অাছে।
মেয়েটি কি করবে কি ভাবে সে তার মা বাবা বিশেষ করে মাকে খুশী করবে? হারাম থেকে হক্কের কথা বললে মা কষ্ট পায় বলে এখন graduate  হয়ে সারাদিন কুরআনের ক্লাস নিয়েই থাকি চাকরি হয় না,,সে গর্ব করতে পারে না।মন টা ছটফট করে।মা হয়েও বুঝে না।
ইসলামে বাবা মা র দায়িত্ব কি বড় সন্তানের উপর ফরজ? বিবাহিত হয়ে স্বামীর কষ্ট বুঝতে হয় সেখান থেকে কিভাবে বাবার সংসারে দিব? বাবা মা মেয়ের থেকেও ভালো খায়,, থাকে কিন্তু সমস্যা হলো পড়াশোনা করিয়ে এখন সংসার করবো,,অারবী ক্লাস করবো এটা মানতে পারছে না।
১.সুদের টাকা+ সময়ের পারিশ্রমিক ২ ধরনের ইনকামে বাবার বাড়ি চলে। তাদের খাবার, জিনিস কি অামি গ্রহন করবো না? মাঝে মাঝে যখন বেড়াতে যাওয়া লাগে তখন কিভাবে না খেয়ে পারবো বা তারা কিছু মেয়ে জামাইকে দেয় তখন কি করবো,তাকে তো বাবার এমন কথা বলা যায় না?
২.বিয়ের পর মেয়েদের বাবার বাড়ি + স্বামীর সংসারে দায়িত্ব কিভাবে করা উচিত, যদিও বাবার বাড়ির কোন অভাব নেই। কিন্তু স্বামীর ঋন অাছে,ভাড়া বাসা,সব সময় কাজ ও থাকে না।

1 Answer

0 votes
by (715,760 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বড় মেয়ে বিবাহিত।যেহেতু বড় মেয়ের নিজস্ব কোনো টাকা পয়সা নেই, তাই মেয়ের জন্য তার মধ্যবিত্ত বাবা মায়ের খোজখবর নেয়া, ওয়াজিব নয়। সুতরাং মেয়েকে বা মেয়ের জামাইকে টাকা পয়সা দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা কখনো জায়েয হবে না। তাছাড়া মেয়ে তার স্বামীর অনুমতি ব্যতিত স্বামীর মাল থেকে কিছুই গ্রহণ করতে পারবে না।

অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747

মেয়ের বাবা যেহেতু সুদের সাথে সম্পৃক্ত, তাই মেয়ে সাধারণত তার বাবার বাড়ী যাবে না।যদি ঘটনাক্রমে যায়ও, তাহলে মেয়ে অবশ্যই খাবারের অানুমানিক একটা হিসেব করে, সেই পরিমাণ টাকা সদকাহ করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাযাকাল্লাহ খইরান।১.কিন্তু মেয়ে তার স্বামীকে তো কিছু জানাতে পারবে না।মেয়ের বাড়ি কি মেয়ের স্বামী গিয়ে খেতে পারবে? বা মেয়ের বাড়ি দিয়ে কিছু দিলে স্বামী কি  নিতে পারবে? সে তো কিছু জানে না এসব শুধু মেয়ে জানে।মেয়ে তো এগুলো কেউকে জানাতে পারে না।
২.অার মেয়ে তো সম্পুর্ন তার স্বামীর উপর নির্ভরশীল হাতে টাকা সব সময় থাকে না সেক্ষেত্রে কি করে সদকা করবে? অন্য দিকে মেয়ে বাবার বাড়ি না গেলে মা কথা শুনায় যে বাবার বাড়ি এখন ভালো লাগে না নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত বাবা মার খেয়াল নেই। কি করবে মেয়ে?  এ কেমন পরিস্তুতি? 
৩.অার বাবার টাকায় সুদ+ তার ( হালাল)পারিশ্রমিক মিলানো কিন্তু কি করে অালাদা করবে? দয়া করে সাহায্য করুন যাতে মেয়েটা চলতে পারে পরিবারের সদস্য নিয়ে
by (715,760 points)
(১)
মেয়ে জানিয়ে দেবে।জানিয়ে দেয়া মেয়ের দায়িত্বও কর্তব্য।
(২)
আপনাদের পরিস্থিতি অনুযায়ী বাবা
মাকে টাকা দেওয়া মেয়ের উপর ওয়াজিব নয়।সুতরাং আপনি প্রয়োজনে বাবা মার বাড়ি যাবেন না।
(৩)
দেখুন সুদের পরিমাণ বেশী না কম।যদি কম হয়, তাহলে খাওয়ার রুখসত থাকবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...