আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
168 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আমার গত মাসের ১১ তারিখ থেকে কালচে ধরণের ময়লার মত যাচ্ছিলো। আমার হায়েজ এর ডেট মাসের ৬ তারিখ ছিলো। ভালো হবার পর আবার এরূপ দেখা দিয়েছে। এটা অল্প অল্প করে বারতেছে। এখন আমার ডেট আবার চলে আসছে ৬ তারিখ এই মাসের। তো ২ তারিখ থেকে আমি হায়েজ ধরি কারণ আমার ডেট কাছাকাছি এবং হায়েজের পরিমাণ একটু বেড়েছে, কিন্তু খুব বেশি না। ১০ দিন পর্যন্ত হায়েজ ধরে নামাজ কালাম বন্ধ রাখি। ১২ তারিখ থেকে নামাজ শুরু করি। কিন্তু পরিমাণ এখন বাড়তেছে। ১৭ তারিখে একদম বেশি হায়েজ শুরু হয়ে গেছে যেমন টা হয়। এখন আমি কিছু তেই বুখতে পারছি না আমার হায়েজ কোন টা ধরবো? আর আমার হায়েজ এর সমস্যা শুরু থেকেই আছে তাই আমি বুঝি না যে আমার আসলে কত দিন পর্যন্ত থাকে। এক এক বার এক এক রকম।

1 Answer

0 votes
by (583,050 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।আরো জানুন-৭৮

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
দশদিনের ভিতর যদি আপনার হায়েয সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে আপনি পবিত্র হয়ে যাবেন।আপনার এ হায়েয বন্ধ হয়ে যাওয়া চায় ঔষধের কারণে হোক বা অন্য কোনো কারণে হোক,আপনি  পবিত্র হয়ে যাবেন।

তবে যদি দশ দিনের ভিতর আবার হায়েয চলে আসে,তাহলে আবার আপনি অপবিত্র হয়ে যাবেন।তথা মাঝে বন্ধ হওয়ার পর আবার চালু হলে,সেই রক্তকে হায়েযের রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।যেমন বর্ণিত রয়েছে,

اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।
(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনি ৬ তারিখ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত হায়েয গণ্য করবেন।৬ তারিখের পূর্বে এবং ১৬ তারিখের পর যে রক্তস্রাব দেখা দিবে, সেটা ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে।।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাজাকাল্লাহ খাইরান শায়েখ। কিন্তু এখন আমার এত বেশি পরিমাণ হচ্ছে যে নামাজ পড়া টা কষ্টসাধ্য। আর একেবারে হায়েজ এর রক্তের মত। তাও ত ইস্তেহাজা হবে এবং নামাজ পড়া লাগবে, তাই কি শায়েখ? মাফ করবেন... অনেক পেরেশানি তে আছি বিধায় বার বার প্রশ্ন করছি। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক শায়েখ। আসসালামু আলাইকুম। 
by (583,050 points)
এখন যেহেতু ১৭ তারিখ।তাই আপনার ইস্তেহাযা।সুতরাং আপনি নাসায কালাম করবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 305 views
0 votes
1 answer 126 views
0 votes
1 answer 202 views
...