জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি ৭৭+ কিলোমিটার সফর করার নিয়তে কেউ যদি নিজ গ্রাম বা শহরের সীমানা অতিক্রম করে তবে সে তখন থেকে মুসাফির গণ্য হবে এবং নামায কসর করবে। অর্থাৎ যোহর, আসর ও ইশার ফরয নামায দুই রাকাত করে আদায় করবে। আর সফর অবস্থায় কোনো স্থানে একসাথে ১৫ দিন অবস্থানের নিয়ত না করা পর্যন্ত মুসাফির থাকবে।
ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
يَا أَهْلَ مَكَّةَ ، لا تَقْصُرُوا الصَّلاةَ فِي أَدْنَى مِنْ أَرْبَعَةِ بُرُدٍ
হে মক্কাবাসী! চার বারীদের কমে কসর করবে না। (দারা কুতনী ১/৩৮৭)
ইমাম বুখারি রহ. বলেন,
وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ، وَابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، يَقْصُرَانِ، وَيُفْطِرَانِ فِي أَرْبَعَةِ بُرُدٍ وَهِيَ سِتَّةَ عَشَرَ فَرْسَخًا
ইবনে উমর রাযি এবং ইবনে আব্বাস রাযি চার বারীদ সফরের সময় কসর পড়া এবং রোযা ভাঙ্গার কথা বলেছেন। আর সেটি হল, ১৬ ফরসখ। (সহিহ বুখারি, নামায কসর করা অধ্যায়)
আয়েশা রাযি. বলেন,
فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ
মুকিম ও মুসাফির অবস্থায় নামায দু’দু রাক’আত ফরজ করা হয়েছিল। পরে সফরের নামায ঠিক রাখা হল কিন্তু মুকিমের নামাযে বৃদ্ধি করা হল। (বুখারী ১০৪০ মুসলিম ৬৮৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার শশুর বাড়ি যেহেতু আপনার নিজ বাড়ি হতে সফরের দুরত্বে, তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি শশুর বাড়িতে যাওয়ার পথে,সেখানে অবস্থান কালে এবং সেই আত্মীয়ের এলাকার সীমানায় পৌছার আগ পর্যন্ত মুসাফির থাকবেন,তাই কসরের নামাজ আদায় করবেন।
,
তবে সেই আত্মীয়ের বাড়ি যেহেতু আপনার নিজ বাসা হতে সফরের দুরত্বে নয়, (৭৬ কিলোমিটার এটি সফরের দুরত্ব নয়) তাই সেই আত্মীয়ের বাসায় থাকা কালে আপনি মুসাফির হবেননা,তাই সেখানে থাকা কালে ,নিজ বাসায় আসার পথে এবং নিজ বাসায় এসে আপনি পূর্ণ নামাজ আদায় করবেন।
,
নিজ বাসায় আসার পর জুম'আর নামাজ হয়ে গেলে আপনি জোহরের নামাজ আদায় করবেন।