আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
2,133 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম
শায়েখ
কিতাব হেদায়া ,খন্ড ৪,অধ্যায় كتاب الذباءح
এখানে দুটি শব্দার্থ جِرِّيثُ،مارماهي বাংলা অর্থ কি হবে ??

মানে কি মাছ ,কোন ধরনের মাছ উদ্দেশ্য করছে এখানে মুসন্নিফ?

এক প্রকারের মাছ এভাবে না বলে কিছু উদাহরন দিয়ে বুঝালে ভালো হবে

আশরাফুল হেদায়া বাংলা মাকতাবাতুল ফাতাহ তে এই স্হানে বাইম,লইট্টা মাছ আর কোনো কোনো বাংলা লুগাতে কুচে কে উল্লেখ করেছেন ।।

এবং আমাদের নিকটে কুচে জাতীয়(বাজারে এরকম অনেক মাছ ই দেখা যায় যেগুলো কুচের সাদৃশ্য বিষেশত চট্টগ্রামের বাজার গুলোতে দেখা যায় লম্বা হলুদ বর্নের এক প্রকার মাছ যা ৯৯% ই কুচের সাথে মিলে যায়) মাছ খাওয়া যাবে কি??
অনেকে এটাকে কুচে মাছ বলে সম্বধন করে।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اَلَّذِیۡنَ یَتَّبِعُوۡنَ الرَّسُوۡلَ النَّبِیَّ الۡاُمِّیَّ الَّذِیۡ یَجِدُوۡنَہٗ مَکۡتُوۡبًا عِنۡدَہُمۡ فِی التَّوۡرٰىۃِ وَ الۡاِنۡجِیۡلِ ۫ یَاۡمُرُہُمۡ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ یَنۡہٰہُمۡ عَنِ الۡمُنۡکَرِ وَ یُحِلُّ لَہُمُ الطَّیِّبٰتِ وَ یُحَرِّمُ عَلَیۡہِمُ الۡخَبٰٓئِثَ وَ یَضَعُ عَنۡہُمۡ اِصۡرَہُمۡ وَ الۡاَغۡلٰلَ الَّتِیۡ کَانَتۡ عَلَیۡہِمۡ ؕ فَالَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِہٖ وَ عَزَّرُوۡہُ وَ نَصَرُوۡہُ وَ اتَّبَعُوا النُّوۡرَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ مَعَہٗۤ ۙ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ ﴿۱۵۷﴾ 

যারা অনুসরণ করে রাসূলের, উম্মী নবীর, যার উল্লেখ তারা তাদের কাছে তাওরাত ও ইঞ্জীলে লিপিবদ্ধ পায়, যিনি তাদেরকে সৎকাজের আদেশ দেন, অসৎকাজ থেকে নিষেধ করেন, তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন। এবং অপবিত্র বস্তু হারাম করেন। আর তাদেরকে তাদের গুরুভাব ও শৃংখল হতে মুক্ত করেন যা তাদের উপর ছিল। কাজেই যারা তার প্রতি ঈমান আনে, তাকে সম্মান করে, তাকে সাহায্য করে এবং যে নূর তার সাথে নাযিল হয়েছে সেটার অনুসরণ করে, তারাই সফলকাম।
(সুরা আ'রাফ ১৫৭)

শরীয়তের বিধান হলো মাছ ছাড়া অন্য কোন জলজ প্রাণী খাওয়া জায়েয নাই। 
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত কুঁচে খাওয়া জায়েয নাই। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/১১৪ আল বাহরুর রায়েক ৮/৪৮৫)

,   
 এগুলো হারাম হওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো   এগুলো কোরআনে বর্ণিত ‘খাবায়েস’ (নোংরাবস্তু) এর অন্তর্ভুক্ত’
وَيُحَرِّمُ عَلَيهِمُ الخَبائِثَ 
‘খাবায়েস নিষিদ্ধ‘। 
(সুরা আল আরাফ ১৫৭)। 

‘খাবায়েস’ বলা হয়,
 كل ما يستخبثه الطبع 
অর্থাৎ, যা মানুষ স্বভাবত ঘৃণা করে।
 (দ্রঃ তাফসীরে কাবীর, অাযওয়াউল বায়ান, আললুবাব, আলহাবী সংশ্লিষ্ট আয়াত)।

আর মাছ ছাড়া অন্যান্য জলজ প্রাণীকে মানুষ স্বভাবতই ঘৃণা করে। সুতরাং সেগুলোও নিষিদ্ধ।
,
★جِرِّيث
[জির্রীছ] শব্দের অর্থঃ  
কুঁচে: সাপের মত একপ্রকার মাছ।
,
প্রশ্নে বাজারে পাওয়া যেসব কুঁচের সাদৃশ্য যেসব জলজ প্রানীর কথা উল্লেখ রয়েছে,এগুলো সম্পর্কে মৎস বিশেষজ্ঞরা কি বলে?
সেটি জানতে হবে।
,
তারা কি এগুলোকে কুঁচে বলে?
নাকি মাছ বলে?

যদি কুঁচে বলে,তাহলে তাহা খাওয়া যাবেনা।
আর মাছ বললে খাওয়া যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...