জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
اَلَّذِیۡنَ یَتَّبِعُوۡنَ الرَّسُوۡلَ النَّبِیَّ الۡاُمِّیَّ الَّذِیۡ یَجِدُوۡنَہٗ مَکۡتُوۡبًا عِنۡدَہُمۡ فِی التَّوۡرٰىۃِ وَ الۡاِنۡجِیۡلِ ۫ یَاۡمُرُہُمۡ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ یَنۡہٰہُمۡ عَنِ الۡمُنۡکَرِ وَ یُحِلُّ لَہُمُ الطَّیِّبٰتِ وَ یُحَرِّمُ عَلَیۡہِمُ الۡخَبٰٓئِثَ وَ یَضَعُ عَنۡہُمۡ اِصۡرَہُمۡ وَ الۡاَغۡلٰلَ الَّتِیۡ کَانَتۡ عَلَیۡہِمۡ ؕ فَالَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِہٖ وَ عَزَّرُوۡہُ وَ نَصَرُوۡہُ وَ اتَّبَعُوا النُّوۡرَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ مَعَہٗۤ ۙ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُفۡلِحُوۡنَ ﴿۱۵۷﴾
যারা অনুসরণ করে রাসূলের, উম্মী নবীর, যার উল্লেখ তারা তাদের কাছে তাওরাত ও ইঞ্জীলে লিপিবদ্ধ পায়, যিনি তাদেরকে সৎকাজের আদেশ দেন, অসৎকাজ থেকে নিষেধ করেন, তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন। এবং অপবিত্র বস্তু হারাম করেন। আর তাদেরকে তাদের গুরুভাব ও শৃংখল হতে মুক্ত করেন যা তাদের উপর ছিল। কাজেই যারা তার প্রতি ঈমান আনে, তাকে সম্মান করে, তাকে সাহায্য করে এবং যে নূর তার সাথে নাযিল হয়েছে সেটার অনুসরণ করে, তারাই সফলকাম।
(সুরা আ'রাফ ১৫৭)
শরীয়তের বিধান হলো মাছ ছাড়া অন্য কোন জলজ প্রাণী খাওয়া জায়েয নাই।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত কুঁচে খাওয়া জায়েয নাই। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/১১৪ আল বাহরুর রায়েক ৮/৪৮৫)
,
এগুলো হারাম হওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো এগুলো কোরআনে বর্ণিত ‘খাবায়েস’ (নোংরাবস্তু) এর অন্তর্ভুক্ত’
وَيُحَرِّمُ عَلَيهِمُ الخَبائِثَ
‘খাবায়েস নিষিদ্ধ‘।
(সুরা আল আরাফ ১৫৭)।
‘খাবায়েস’ বলা হয়,
كل ما يستخبثه الطبع
অর্থাৎ, যা মানুষ স্বভাবত ঘৃণা করে।
(দ্রঃ তাফসীরে কাবীর, অাযওয়াউল বায়ান, আললুবাব, আলহাবী সংশ্লিষ্ট আয়াত)।
আর মাছ ছাড়া অন্যান্য জলজ প্রাণীকে মানুষ স্বভাবতই ঘৃণা করে। সুতরাং সেগুলোও নিষিদ্ধ।
,
★جِرِّيث
[জির্রীছ] শব্দের অর্থঃ
কুঁচে: সাপের মত একপ্রকার মাছ।
,
★প্রশ্নে বাজারে পাওয়া যেসব কুঁচের সাদৃশ্য যেসব জলজ প্রানীর কথা উল্লেখ রয়েছে,এগুলো সম্পর্কে মৎস বিশেষজ্ঞরা কি বলে?
সেটি জানতে হবে।
,
তারা কি এগুলোকে কুঁচে বলে?
নাকি মাছ বলে?
যদি কুঁচে বলে,তাহলে তাহা খাওয়া যাবেনা।
আর মাছ বললে খাওয়া যাবে।