নামাজের শেষ বৈঠকে একাধিক বার দরুদ শরীফ পড়া অথবা দরুদ শরীফের প্রথম অংশকে পুনরায় পড়ার দ্বারা সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।
নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে।
(আহসানুল ফাতওয়া ৪/২৯.ফাতাওয়ায়ে শামি ৬৯৩)
کرر التشہد في القعدۃ الأخیرۃ فلاسہو علیہ۔
(البحرالرائق، کتاب الصلاۃ، باب سجود السہو، زکریہ172/2,173ہندیۃ، 2/97کتاب الصلاۃ، الباب الثاني عشر في سجود السہو1/127/، جدید زکریا/1/186)
সারমর্মঃ
কেহ যদি শেষ বৈঠকে তাশাহুদ একাধিকবার পড়ে,তাহলে কোনো সেজদায়ে সাহু নেই।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত নামাজ হয়ে গিয়েছে।
(তবে যেহেতু সেজদায়ে সাহু আবশ্যক ছিলোনা,তাও এটি অতিরিক্ত কাজ হয়েছে।)
(০২)
শরীয়তের বিধান হলো আকীদা বিশুদ্ধ রেখে স্ত্রী সহবাসের সময় স্ত্রীর অনুমতিক্রমে আযলের অনুমতি রয়েছে।
তবে রাসুলুল্লাহ সাঃ আযল করতে সাহাবায়ে কেরামদের অনুৎসাহিত করেছেন।
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، قَالَ: دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَرَأَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، فَجَلَسْتُ إِلَيْهِ فَسَأَلْتُهُ عَنِ العَزْلِ؟، فَقَالَ: أَبُو سَعِيدٍ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ فَأَصَبْنَا سَبْيًا مِنْ سَبْيِ الْعَرَبِ فَاشْتَهَيْنَا النِّسَاءَ وَاشْتَدَّتْ عَلَيْنَا الْعُزْبَةُ وَأَحْبَبْنَا الْفِدَاءَ فَأَرَدْنَا أَنْ نَعْزِلَ، ثُمَّ قُلْنَا نَعْزِلُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَظْهُرِنَا قَبْلَ أَنْ نَسْأَلَهُ عَنْ ذَلِكَ فَسَأَلْنَاهُ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: مَا عَلَيْكُمْ أَنْ لَا تَفْعَلُوا، مَا مِنْ نَسَمَةٍ كَائِنَةٍ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ إِلَّا وَهِيَ كَائِنَةٌ
ইবনু মুহায়রিয (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মাসজিদে প্রবেশ করে সেখানে আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযি.)-কে দেখতে পেয়ে তাঁর কাছে গিয়ে বসি এবং তাকে ‘আযল’ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। আবূ সাঈদ (রাযি.) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে বনু মুসতালিকের যুদ্ধাভিযানে বের হই। তখন আমাদের হাতে কিছু মহিলা বন্দী হয়। ঐ সময় আমরা স্ত্রীদের থেকে দূরে অবস্থান করায় নারী বন্দীদের প্রতি আমাদের আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়। অতঃপর আমরা তাদেরকে অধিকমূল্যে বিক্রি করার ইচ্ছায় তাদের সাথে আযল করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমরা ভাবলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝেই আছেন। কাজেই তাকে কিছু জিজ্ঞেস না করে আযল করা উচিত হবে না। সুতরাং আমরা এ বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ তোমরা এরূপ না করলে কি ক্ষতি? কেননা কিয়ামাত পর্যন্ত যারা সৃষ্টি হবে বলে নির্ধারিত তারা তো জন্মাবেই।
(আবু দাউদ ২১৭২)
قال الكاساني الحنفي رحمه الله :
" يكره للزوج أن يعزل عن امرأته الحرة بغير رضاها ؛ لأن الوطء عن إنزال سبب لحصول الولد ، ولها في الولد حق ، وبالعزل يفوت الولد ، فكان سببا لفوات حقها " .
انتهى من " بدائع الصنائع " (2/334) .
সারমর্মঃ
স্বামীর জন্য আযাদ স্ত্রীর সাথে আযল করা তার অনুমতি ব্যাতিত মাকরুহ।
কেননা সহবাস সন্তান অর্জনের কারন।
আর স্ত্রীরও এক্ষেত্রে হক রয়েছে।
আর আযলের দ্বারা সন্তান জন্মের বিষয়টি শেষ হয়ে যায়। সুতরাং এটি স্ত্রীর হক নষ্টের কারন।
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
সন্তানদের থাকা খাওয়া ইত্যাদির ব্যবস্থা করা যাবেনা,এহেন আকীদা নিয়ে আযল করা যাবেনা।
তবে আকীদা বিশুদ্ধ রেখে আপনারা আযল করতে পারবেন।
তবে প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে ""আজল করার জন্য সহবাসের শেষ পর্যায়ে কিছুক্ষণ হস্তমৈথুন করে বীর্য বাইরে ফেলি ""