আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
120 views
in সালাত(Prayer) by (41 points)
edited by
(১)মাসবুক ব্যাক্তি জামায়াতে নামাজ পড়ার সময় রুকু পর্যন্ত পেলে জামায়াত পেয়েছে বলে গণ্য হয়। রুকুতে কি ১ তাসবিহ পর্যন্ত পেতে হবে কমপক্ষে?

(২) ইমামের পিছনে নামায পড়লে কি কোন ওয়াক্তেই সুরা ফাতেহা পড়ব না?

(৩) ফরজ গোসলের সময় লজ্জাস্থান ধৌত করলে কি গোসল শেষে আবার ওযু করতে হবে?

(৪) নামাযে সুরা ফাতেহা পড়ার জায়গায় ভুলে তাশাহুদ পড়লে কি নামাজ ভেংগে যাবে?

(৫) তাশাহুদ পড়ার জায়গায় ভুলে সুরাহ ফাতিহা পড়লে নামাজ হবে?

(৬) ৪ রাকায়াত নামাজের ২য় রাকাতের বৈঠকে যদি তাশাহুদ এর পড় দরুদ শরীফ পর্যন্ত পড়ে ফেলে তাহলে কি করণীয়?

(৭) তাজবীদ বা মাখরাজ শুদ্ধ না হলে একই লাইন ২ বার পড়লে কি নামাজ হবে?

(৮) উপরের ৪,৫,৬,৭ নাম্বার কাজ গুলো যদি জামায়াতের নামাজে হয় তাহলে বিধান কি? নামাজ হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো সোজা হয়ে দাড়িয়ে মুখে তাকবিরে তাহরিমা বলে তারপর রুকুতে গিয়ে ইমামকে সামান্য সময়ের জন্য পেলেই তবে সে উক্ত রাকাত পাবে।
নতুবা তাকে উক্ত রাকাত পায়নি বলেই গন্য করা হবে।
এখানে ইমামকে এক তাসবীহ পরিমাণ পাওয়া জরুরি নয়। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال من أدرك ركعة من الصلاة فقد أدركها قبل أن يقيم الإمام صلبه

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি নামাযের রুকু পেয়ে যায় ইমাম তার পিঠ সোজা করার পূর্বে, সে ব্যক্তি উক্ত রাকাত পেয়ে গেল। 
{সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৪০৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৩২৯, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-৪৫, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২০৬৯৩, নসবুর রায়াহ, হাদীস নং-৩২৭}

عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ قَالَ : خَرَجْتُ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ يَعْنِى ابْنَ مَسْعُودٍ مِنْ دَارِهِ إِلَى الْمَسْجِدِ ، فَلَمَّا تَوَسَّطْنَا الْمَسْجِدَ رَكَعَ الإِمَامُ ، فَكَبَّرَ عَبْدُ اللَّهِ وَرَكَعَ وَرَكَعْتُ مَعَهُ ، ثُمَّ مَشَيْنَا رَاكِعَيْنِ حَتَّى انْتَهَيْنَا إِلَى الصَّفِّ حِينَ رَفَعَ الْقَوْمُ رُءُوسَهُمْ ، فَلَمَّا قَضَى الإِمَامُ الصَّلاَةَ قُمْتُ وَأَنَا أَرَى أَنِّى لَمْ أُدْرِكْ ، فَأَخَذَ عَبْدُ اللَّهِ بِيَدِى وَأَجْلَسَنِى ، ثُمَّ قَالَ : إِنَّكَ قَدْ أَدْرَكْتَ

হযরত জায়েব বিন ওহাব থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একদা আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর সাথে তাঁর ঘরে থেকে মসজিদের দিকে বের হলাম। তারপর যখন আমরা মসজিদের মাঝে পৌঁছলাম তখন ইমাম রুকু করে ফেলে। তখন আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ তাকবীর বলে রুকু করলেন। আর আমিও তার সাথে রুকু করলাম। তারপর আমরা রুকু অবস্থায় চলতে লাগলাম। অবশেষে আমরা মুসুল্লিদের মাথা উঠানোর সময় কাতারের সাথে মিলিত হলাম। তারপর যখন ইমাম সাহেব নামায শেষ করল। আমি দাঁড়ালাম। কারণ আমার ধারণা ছিল আমি [এক] রাকাত পায়নি। তখন আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ আমার হাত ধরে বেিসয়ে দিলেন। তারপর বললেনঃ তুমিতো রাকাত পেয়েছো। {সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-২৬৯০,২৪১৮, আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-৯৩৫৫, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৬৩৭, মারেফাতুস সুনান ওয়ালা আসার, হাদীস নং-৮৬৫}

বিস্তারিত জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যদি সোজা হয়ে তাকবিরে তাহরিমা বলে রুকুর তাকবির বলে (যাহা সুন্নাত) রুকুতে গিয়ে অন্তত ইমামকে রুকুতে এক সেকেন্ড ও পায় তাহলেও ঐ রাকাত পেয়েছে বলে ধর্তব্য হবে। অর্থাৎ সে রুকুতে যাওয়ার এক সেকেন্ড পর ইমাম রুকু থেকে উঠলেও রাকাত পেয়েছে গন্য হবে। মুল শর্ত হলো ইমামকে রুকুতে পাওয়া অন্তত অল্প সময়ের জন্য হলেও। সামান্য সময় পেলেও সে ঐ রাকাত পেয়েছে বলে ধর্তব্য হবে।
,
এক তাসবিহ পর্যন্ত পাওয়া শর্ত নয়।
,
(০২)
হ্যাঁ এটিই হানাফি মাযহাবের মত।  
,
তবে ভিন্ন মাযহাব অনুসারীগন তাদের মাযহাব মতে আমল করতে পারেন।
,   
(০৩)
না,আর অযু করতে হবেনা।
গোসলই যথেষ্ট। 
,
(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে এটি ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতের মধ্যে হলে আর সুন্নাত নফল এর যেকোনো রাকাতে হলে সেখানে পরবর্তীতে সুরা ফাতেহা না পড়া হলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। 
,   
الفتاوى الهندية (1/ 127)
'' ولو قرأ التشهد في القيام إن كان في الركعة الأولى لا يلزمه شيء، وإن كان في الركعة الثانية اختلف المشايخ فيه، والصحيح أنه لا يجب، كذا في الظهيرية.
ولو تشهد في قيامه قبل قراءة الفاتحة فلا سهو عليه، وبعدها يلزمه سجود السهو، وهو الأصح؛ لأن بعد الفاتحة محل قراءة السورة، فإذا تشهد فيه فقد أخر الواجب، وقبلها محل الثناء، كذا في التبيين۔ ولو تشهد في الأخريين لا يلزمه السهو، كذا في محيط السرخسي''.
সারমর্মঃ
কেহ যদি দাড়িয়ে তাশাহুদ পাঠ করে,তাহলে এটি যদি প্রথম রাকাতে হয়,তাহলে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।
যদি ২য় বা পরের রাকাত গুলোতে হয়,তাহলে তার উপর সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে কিনা এই  মর্মে ফুকাহায়ে কেরামগন দের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। 
সহীহ মত হলো সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।         

(০৫)
তাশাহুদ পড়ার জায়গায় ভুলে সুরাহ ফাতিহা পড়লে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
,
তবে কেহ যদি শেষ বৈঠকে তাশাহুফ পাঠ করার পর সুরা ফাতেহা পাঠ করে,তাহলে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।        

(০৬)
তাহলে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ

(০৭)
হ্যাঁ নামাজ হয়ে যাবে।
,
(০৮)
তাহলে নামাজ হয়ে যাবে।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 183 views
...