আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
106 views
in সালাত(Prayer) by (29 points)
১। মাগরিবের নামাজ একেবারে নামাজের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার ২/৩ মিনিট আগে শুরু হয়। এক্ষেত্রে কি নামাজ সহিহ হয়ে যাবে? নাকি বাতিল বলে গণ্য হবে? (যেমন ধরুন, আজকে মাগরিবের নামাজের সময় ছিলো ৫ঃ৩৪ মিনিট এবং ওয়াক্তের শেষ সময় ছিলো ৫.৫৪ মিনিট।
আজান দিয়েছে ৫.৪৩ মিনিটে। এবং জামাত শুরু হয়েছে ৫.৫১ মিনিটে।)

এক্ষেত্রে যদি নামাজ সহিহ না হয় এবং কর্তৃপক্ষ কে জানানোর পরেও যদি এটা ঠিক না করে তাহলে কি সময় মত আমি ঘরেই নামাজ আদায় করতে পারব?

২। আজকে আমাদের এলাকায় ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী পালন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি? জানাবেন অনুগ্রহ করে।

1 Answer

0 votes
by (708,800 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/18334 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নামাযর ওয়াক্ত সম্পর্কে ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত তাহাবী শরীফের একটি হাদীস উল্লেখযোগ্য যাকে পরিভাষায় "হাদীসে ইমামতে জিব্রাইল বলা হয়,যাতে সমস্ত ফরয নামাযের শুরু এবং শেষ ওয়াক্ত সুস্পষ্টরূপে বর্ণিত হয়েছে.......
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,আমাকে জিব্রাইল আঃদুই বার ক্বাবা ঘরের সামনে ইমামতি করে নামায পড়ান,
(প্রথম দিন)সূর্য ঢলার পর সাথে সাথেই আমাকে সাথে নিয়ে জোহরের নামায পড়ান,এবং প্রত্যেক বস্তুর ছায়া(আসল ছায়া ব্যতীত) যখন এক মিছিল হয় তখন আমাকে নিয়ে আসর পড়েন,এবং যখন রোজাদার ইফতার করে তখন আমাকে নিয়ে মাগরিব পড়েন,এবং যখন পশ্চিম আকাশে( শফকে আবয়ায)দূর হয়ে যায় তখন আমাকে নিয়ে এ'শার নামায পড়েন,
(দ্বিতীয় দিন)যখন প্রতিটা বস্তুত ছায়া(আসল ছায়া ব্যতীত)এক মিছল হয়,তখন আমাকে নিয়ে জহরের নামায আদায় করেন,এবং দুই মিছলের পর আমাকে নিয়ে আসরের নামায পড়েন,এবং (প্রথম দিনের মত) রোজাদার যখন ইফতার করেন তখন আমাকে নিয়ে মাগরিবের নামায পড়েন,এবং রাতের এক তৃতীয়াংশ চলে যাওয়ার পর আমাকে নিয়ে এ'শার নামায পড়েন,এবং ভোরের আলো পরিস্কার হওয়ার পর আমাকে নিয়ে ফজরের সালাত পড়লেন।অতঃপর আমার দিকে মনোনিবে করে বললেন,হে মুহাম্মাদ সাঃ নামাযের ওয়াক্ত এ দুই সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে।এবং এটাই আপনার পূর্বের নাবী রাসূলদের নামাযের ওয়াক্ত ছিলো।(তাহাবী-৮৯৮)

সূর্যোদয়ের পর পশ্চিমাকাশ লালবর্ণের হয়ে যায়।এই লালবর্ণ দূর হওয়ার পর আকাশ আবার সাদা হয়ে যায়।এই সময়ের সাদা আকাশকে শাফাক্ব বলা হয়।এই শাফাক্ব যতক্ষণ না ডুবছে,ততক্ষণ পর্যন্ত মাগরিবের ওয়াক্ত বাকী থাকবে।[বাদায়ে সানায়ে-১/৩২০]কেননা আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ণনা করেন, যে রাসূলুল্লাহ
وقت المغرب مايغب الشفق
যতক্ষণ না শাফাক্ব ডুবছে,ততক্ষণ পর্যন্ত মাগরিবের ওয়াক্ত বাকী থাকবে।[সহীহ মুসলিম-৬১৪] (শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়েছে।

(২)
ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা বিদ'আত। সুতরাং এতে শরীক হবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 72 views
...