উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
জুমআর দিন বা জুমআর রাতে মৃতবরন কারীদের কবরের আযাব থেকে মুক্ত রাখার কথা হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে।
ঈদের দিন বা ঈদের রাতে মৃতবরন কারীদের সম্পর্কে হাদীস শরীফে কোনো ফজিলতের কথা উল্লেখ নাই।
তবে সেদিনটি যদি জুমআর দিন হয়, তাহলে সেই দিন মৃত বরন করলে সেই ফজিলত পাবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে কোনো মুসলমান জুমআর দিনে কিংবা জুমআর রাতে মৃত্যুবরণ করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তাকে কবরের ফেতনা থেকে নিরাপদ রাখেন। [মুসনাদে আহমাদ (৬৫৪৬), জামে তিরমিযি (১০৭৪),
,
এ হাদিসটির ব্যাখ্যায় এসেছে যে, ফেতনা দ্বারা কবরের মুনকার-নাকিরের জিজ্ঞাসাবাদ অথবা কবরের আজাবকে বুঝানো হয়েছে।
,
হজরত আবু নুআ’ইম তার হিলয়া’ গ্রন্থে হজরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন, যাতে কবরের আজাবের কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঈদুল আযহার আগের দিন রাতে যে আপনার ভাই মারা গিয়েছে,এটার কোনো ফজিলত হাদীস শরীফে নেই।
,
তবে আপনার ভাইয়ের যেহেতু ঈদের জামাতে জানাযা পড়ানো হয়েছে,তাই এতো বিপুল সংখ্যক মুছল্লি যেহেতু তার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেছে,তাই এটা অবশ্যই ফজিলতের বিষয়।
,
আপনি তার রুহের মাগফিরাত কামনা যেকোনো আমল করে তার জন্য ঈসালে ছওয়াব করতে পারেন।
,
শুধু নিয়ত রাখবেন যে এটা আমি আমার ভাইয়ের ঈসালে ছওয়াবের জন্য, বা তার রুহের মাগফিরাত কামনায় এই আমল করিতেছি।
তাহলেও যথেষ্ট।
,
নামাজ পর সুরা ফাতিহা,সুরা ইখলাস,সুরা ইয়াসিন ইত্যাদি পড়তে পারেন।
,
শরীয়ত সম্মত যেকোনো আমল করে আপনার ভাইয়ের জন্য ছওয়াব বখশে দিতে পারেন।