بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/7280/?show=7280#q7280 নং ফাতওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে, ইসলামের মূল থিউরী
হল স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ না হোক। তারা মিলেমিশে থাকুক। সমস্যা হলে উভয়ে বসে
তা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। তাতে সমস্যার সমাধান না হলে পারিবারিক মুরুব্বীদের পরামর্শের
আলোকে সমাধান করা উচিত। তারপরও যদি সমাধান না আসে। তাহলে নিরূপায় অবস্থায় ইসলাম তালাক
দেবার অধিকার দিয়েছে স্বামীকে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন
قال اللّٰہ
تعالیٰ: {وَاللّٰاتِیْ تَخَافُوْنَ نُشُوْزَہُنَّ فَعِظُوْہُنَّ وَاہْجُرُوْہُنَّ
فِیْ الْمَضَاجِعِ} [النساء، جزء آیت:۳۴]
হাদীস শরীফে এসেছে,
عن ابن عمر
رضي اللّٰہ عنہما أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: أبغض الحلال إلی
اللّٰہ عزوجل الطلاق۔ (سنن أبي داؤد ۱؍۳۰۳، المستدرک للحاکم ۲؍۲۱۸ رقم: ۲۸۰۹، السنن الکبریٰ ۷؍۳۱۶)
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন যে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম
হালাল হলো তালাক প্রদান করা।
★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে স্ত্রী
লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।
এখানে স্ত্রী যে কয় তালাক নিন নফসের
দিবে,সেই কয় তালাকই পতিত হবে। আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/4368/?show=4368#q4368
* ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার:
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো
হয় যা কল্যানকর হয়।
২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে
মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।তবে শয়তান
স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান
মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে
জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়।
৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা
কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়।
হাদীস শরীফে এসেছে
خَالِدُ بْنُ
مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا
سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله
عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا
رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ
مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو
سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا
هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.
আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল
স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয়
শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ
লাগে,
তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে
এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন
দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ
২২৬১,
আহমাদ ২২৭০৭]
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!
১. আপনার কথা দ্বারা যতটুকু বুঝা যায় যে, আপনার স্বামী
প্রথমত যখন আপনাকে রাগের মাথায় তিন তালাক বলেছিল, বাস্তবেই যদি তিনি তা বলে থাকেন তাহলে
আপনার উপর তালাক পতিত হয়ে গেছে। এবং এর পরবর্তি সময়ে উক্ত সপ্নগুলি আপনাদের সম্পর্ক
না থাকারই আলামত বহন করে।
২. প্রথমবার যদি তিনি তালাক নাও দেন ২য় বার যেহেতু
তিনি আপনাকে তালাক দেওয়ার অধিকার দিয়েছেন, বিধায় আপনি তার নিকট সেই অধিকারের বলে নিজের
উপর তালাক গ্রহণ করতঃ ডিভোর্স পেপার পাঠালে আপনার তালাক সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।