আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
74 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
১/ ডেমো ডিজাইন এবং ক্লাইন্টের জন্য ডিজাইনে মানুষের ছবি ব্যবহার করা যাবে?
যেমনঃ ব্যানার , আইডি কার্ড
২/ এফিলিয়েট মার্কেটিং করা কি জায়েজ?
৩/ রিসেলিং করা কি জায়েজ?
৪/ ব্লগিং করে ইনকাম করা জাবে কি? এডসেন্স  এর মাধ্যমে?
৫/১০ মিনিট স্কুল থেকে কোর্স কিনা জাবে কিনা? এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং করা জাবে কিনা সেখান থেকে?অনেকে নিষেধ করেছে
৬/ফটো ইডিটিং ফটো মেনুপুলেশন ইত্যাদি করা জাবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(১.৬)

ছবি ভিডিও শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَقُولُ : " كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ ، يُجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسًا ، فَيُعَذِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ " . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : فَإِنْ كُنْتَ لَا بُدَّ فَاعِلًا فَاصْنَعِ الشَّجَرَ وَمَا لَا رُوحَ فِيهِ . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, প্রত্যেক ছবি প্রস্তুতকারী জাহান্নামী। সে যতগুলো ছবি তৈরি করেছে (কিয়ামতের দিন) সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দান করা হবে এবং জাহান্নামের শাস্তি দেয়া হবে। ইবনু ‘আব্বাস  বলেন, যদি তোমাকে একান্তই ছবি তৈরি করতে হয়, তাহলে গাছ-গাছড়া এবং এমন জিনিসের ছবি তৈরি কর যার মধ্যে প্রাণ নেই।
সহীহ : বুখারী ২২২৫, মুসলিম ৫৬৬২, আহমাদ ২৮১০, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ৩০৫৪।

হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,

عن ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ )
তরজমাঃ- ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, আমি নবী কারীম সাঃ কে বলতে শুনেছি, যে তিনি বলেছেন,
যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন(জানোয়ারের) ছবি আকবে,কিয়ামতের দিন তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে,সে যেন উক্ত ছবির ভিতরে রূহ প্রদান করে, অথচ রূহ প্রদান করা তার জন্য কস্মিনকালে ও সম্ভব হবে না(অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে আযাব প্রদান করা হবে)(সহীহ বুখারী -৫৬১৮)

ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺇﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﻻَ ﺑُﺪَّ ﻓَﺎﻋِﻼً ﻓَﺎﺻْﻨَﻊِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَ ، ﻭَﻣَﺎ ﻻَ ﻧَﻔْﺲَ ﻟَﻪ
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ কে এক ব্যক্তি ছবি আকার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি উত্তরে বললেনঃযদি তোমার ছবি একে উপার্জন করতেই হয় তাহলে তুমি গাছের ছবি আকো বা এমন ছবি আকো যাতে কোনো প্রাণীর ছবি নেই।(সহীহ বুখারী- ২২২৫) 

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2253

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যেহেতু প্রাণির ছবি নিয়ে কাজ হচ্ছে,আর এগুলো প্রিন্ট করা হবে,বিধায় এটি জায়েজ হবেনা।

(০২)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০৩)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০৪)
বৈধ ও জায়েয বিষয়ে ব্লগ লিখে ইনকাম করা নাজায়েয হবে না।

তবে এক্ষেত্রে নাজায়েজ বিজ্ঞাপন ছাড়া যদি হালাল বিজ্ঞাপন না থাকে,সেক্ষেত্রে ইনকাম হালাল হবেনা।

বিজ্ঞাপন হালাল হতে হবে।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০৫)
১০ মিনিট স্কুল থেকে কোর্স কেনা যাবে।
তাদের অনুমতি ছাড়া মার্কেটিং করা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (41 points)

কাউকে কোন পণ্য বা সেবা ক্রয় করে দিয়ে  সার্ভিস চার্চ গ্রহণ কি জায়েজ?

[১] ধরুন,  আমার ১টি ডোমেইন হোস্টিন ব্যবসা আছে। কাস্টমার ডোমেইন অর্ডার করলে আমি তা অন্য কোন কোম্পানির কাছ থেকে কিনে কাস্টমারের কাছে বেশি দামে বিক্রয় করি। এটি কি জায়েজ আছে? আমি একজন হুজুরের কাছে শুনেছি, ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আগে পণ্য হস্তগত হতে হবে অন্যথায় জায়েজ হবে না। যেহেতু ডোমেইন হোস্টিন ডিজিটাল পণ্য তাই এটি আগে কিনার কোন উপায় নেই। কাস্টমারে উপরে নির্ভরশীল। এটি কি জায়েজ আছে?

[২] কাস্টমার ডোমেইন অর্ডার করলে আমি তা অন্য কোন কোম্পানির কাছ থেকে অন্য কোন কোম্পানির নির্ধারিত মূল্য দিয়ে কিনে দিয়ে তার সাথে কিছু সার্ভিস চার্চ যুক্ত করে বেশি দামে বিক্রয় করা কি জায়েজ হবে? 

by (678,880 points)
(০১)
আপনার নিকট পন্য না থাকাবস্থায় অন্যের সাথে বিক্রয় চুক্তি করতে পারবেন না। এবং মাল ক্রয় করে কবজা করার পূর্বে অন্যত্র বিক্রয় করতেও পারবেন না। হ্যা, আপনি কোম্পানির নিয়মতান্ত্রিক এজেন্ট হয়ে কমিশন ভিত্তিতে তাদের মাল বিক্রয় করতে পারবেন যদি কোম্পানি আপনাকে তাদের এজেন্ট নিয়োগ করে। তাহলে তাদের এজেন্ট হয়ে তাদের পন্য এভাবে বিক্রয় করতে পারবেন।

★কমেন্টের বিবরণ মতে আপনি যেহেতু কোম্পানির পক্ষ থেকে এজেন্ট নন,তাই এভাবে পন্য হাতে আসার আগেই তাহা বিক্রয় করা জায়েজ হবেনা।

(০২)
জায়েজ হবেনা। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...