بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
তিরমিজি শরীফের ১৮৮ নং হাদীসে বর্ণিত হয়েছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ الْبَصْرِيُّ
حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَنَشٍ، عَنْ
عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ
" مَنْ جَمَعَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ عُذْرٍ فَقَدْ أَتَى بَابًا
مِنْ أَبْوَابِ الْكَبَائِرِ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন অজুহাত
ছাড়াই যে ব্যক্তি দুই ওয়াক্তের নামায একত্রে আদায় করে সে কাবীরা গুনাহের স্তরসমূহের
মধ্যে একটি স্তরে পৌছে যায়।
শরীয়তের বিধান মতে হজ্বের সময় আরাফা ও মুযদালিফা ছাড়া বাকি সময় মুকিম হোক বা
মুসাফির হোক কোন অবস্থায়ই এক নামাযকে অন্য নামাযের সময়ে একসাথে করে পড়া জায়েজ নয়।
তবে আকৃতিগতভাবে একত্রিত করা যাবে, আর তা হচ্ছে যোহরকে তার শেষ সময় পর্যন্ত দেরী করে আদায়
করা তারপর আসরকে তার প্রথম ওয়াক্তে আদায় করা। [আদ-দুররুল মুখতার ওয়া হাশিয়া ইবন আবেদীন,
১/৩৮১]
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে জহরের নামাজ আছরের নামাজের সাথে আদায় করতে পারবেন
না।
তবে আপনি জোহরের শেষে জহরের নামাজ ও আাসরের শুরুতে আসরের নামাজ আদায় করতে পারেন।
অথবা ট্রেনে উঠে নামাজ আদায় করবেন,এক্ষেত্রে যানবাহনে নামাজ আদায়ের পদ্ধতি অনুযায়ী নামাজ আদায়
করবেন। এ সংক্রান্ত জানুনঃ https://ifatwa.info/12484/
২.শরীয়তের বিধান হলো কোন স্থানে গিয়ে সেখানে যদি কমপক্ষে
পনের দিন থাকার নিয়ত না করে, তাহলেও কসর পড়তে হবে। বেশি দিন থাকার নিয়ত করলে কসর করতে পারবে
না।৭৮ কিলোমিটার হল সফরের দূরত্ব। এর কম নয়। সুতরাং কেউ যদি ৭৮ কিলোমিটার দূরত্বের
সফরের নিয়তে বের হয় কেবল সেই ব্যক্তি কসর পড়তে পার। এরচে’কম দূরত্বের সফরের জন্য
কসর পড়া জায়েজ নয়। বিধায় আপনাকে পূর্ণ নামাজ
আদায় করতে হবে।