بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/31557/?show=31557#q31557
নং ফাতেওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর
প্রমাণিত হওয়ার জন্য শর্ত হলো,
شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت
الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-
শরয়ীভাবে
মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য
কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে
হিন্দিয়া-১/৪০)
সুতরাং
যদি কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,বায়ু উযরের কারণে ফরয নামায পড়া আপনার
জন্য কোনোভাবেই সম্ভবপর
না হয়,তাহলে
আপনি মা'যুর। অন্যথায় শরয়ী ভাবে
মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।
★বিস্তারিতঃ যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ
ওয়াক্ত ধারাবাহিক ভাবে আপনার অজু ভেঙ্গে যেতে থাকে,যেমন জোহরের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত
৩ঘন্টা৩০মিনিট ধারাবাহিক ভাবে আপনার অজু ভেঙ্গে যেতে থাকে। কোনো একটি সময় এমন না পান
যে আপনি অযু করে ছোট কিরাত দিয়ে আপনার
শুধু ফরজ নামাজটি পড়তে পারেন, তাহলে এমতাবস্থায় আপনাকে
মা'যুর বলে গণ্য করে মা'যুরের হুকুম আপনার উপর আরোপ করা হবে।
মাজূর
ব্যক্তির বিধান হল, প্রতি
নামাযের সময় হবার পর একবার অজু করা আবশ্যক। পরের নামাযের সময় আসা পর্যন্ত অজু
পেশাব ঝরা ছাড়া অজু ভঙ্গের আর কোন কারণ না হলে অজু ভঙ্গ হবে না। বরং উক্ত অজু দিয়ে
যত ইচ্ছে নামায পড়া যাবে, কুরআন
তিলাওয়াত ইত্যাদি সব ইবাদতই করা যাবে। মন ছোট করা বা নিজেকে নাপাক মনে করার কোন
প্রয়োজন নেই।
উদাহরণ
স্বরুপ: যোহর নামাযের সময় হয় কথার
কথা ১২ টা সময়। আর আসর সময় হয় ৪ টা সময়। আপনি ১২ টা সময় অজু করলেন। এখন এ অজু দিয়ে
৪টা পর্যন্ত ফরজ নামায এবং যত ইচ্ছে নফল নামায, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি
সকল ইবাদত করতে পারবেন। বায়ু বের হতে থাকায় নতুন করে অজু করার কোন প্রয়োজন নেই।
কিন্তু যদি এর মাঝে আপনার অন্য কোন কারণে অজু ভঙ্গ হয়, যেমন
পায়খানা করলেন, তাহলে
আবার নতুন করে অজু করতে হবে। এ অজুও আসর নামায পর্যন্ত বাকি থাকবে।
আবার
আসরের সময়
হয়ে গেলে সেই অজু ভেঙ্গে যাবে। নতুন করে অজু করলে তা থাকবে মাগরিব পর্যন্ত। আবার
মাগরিবের সময়
হয়ে গেলে নতুন করে অজু করতে হবে। এভাবে প্রতি নামাযের জন্য একবার করে অজু করতে
হবে। এক অজু দিয়ে সেই নামাযের সময় থাকতে সর্ব প্রকার ইবাদত করা যাবে। নতুন করে অজু
করার প্রয়োজন নেই।
ফাতাওয়ায়ে
শামীতে আছেঃ
وصاحب عذر من به سلس) بول لا يمكنه إمساكه (أو
استطلاق بطن أو انفلات ريح أو استحاضة) أو بعينه رمد أو عمش أو غرب، وكذا كل ما
يخرج بوجع ولو من أذن وثدي وسرة (إن استوعب عذره تمام وقت صلاة مفروضة
بأن لا يجد في جميع وقتها زمنا يتوضأ ويصلي فيه
خاليا عن الحدث (ولو حكما) لأن الانقطاع اليسير ملحق بالعدم (وهذا شرط) العذر (في
حق الابتداء، وفي) حق (البقاء كفى وجوده في جزء من الوقت) ولو مرة (وفي) حق الزوال
يشترط (استيعاب الانقطاع) تمام الوقت (حقيقة) لأنه الانقطاع الكامل.
وحكمه الوضوء) لا غسل ثوبه ونحوه (لكل فرض)
اللام للوقت كما في – {لدلوك الشمس} [الإسراء: 78]- (ثم يصلي) به (فيه فرضا ونفلا)
فدخل الواجب بالأولى (فإذا خرج الوقت بطل) أي: ظهر حدثه السابق، (الدر المختار مع
رد المحتار، كتاب الطهارة، مطلب فى احكام المعذور-1/504-505
যার
সারমর্ম হলো, যার কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত
ধারাবাহিক ভাবে পেশাব বের হতে থাকে, কোনো একটি সময় এমন না পায়
যে সে অযু করে শুধু ফরজ নামাজটি পড়তে পারে, তাহলে এমতাবস্থায় তাকে মা'যুর বলে গণ্য করা হবে,,,
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি কোন
ব্যক্তির আসরের পূর্ন সময় ফোটা ফোটা করে পেশাব নির্গত হয় এবং
এতটুকু সময় পায় নাই যার মধ্যে পবিত্র হয়ে নামাজ আদায় করবেন তাহলে ঐ ব্যক্তি মাযুর
হিসেবে বিবেচিত হবেন। মাযুর ব্যক্তির নামাজ আদায়ের পদ্ধতি উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
সুতরাং যদি আপনি মাযুর হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য মাগরীবের নামাজ পুনরায় পড়ার প্রয়োজন নেই। বরং
তা উজরের সাথে আদায় হয়েছে।