আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
118 views
in পবিত্রতা (Purity) by (52 points)
প্রস্রাব করার পর ও আমার প্রস্রাবের চাপ যায়না।প্রস্রাবের পর যত চাপ দেই তত প্রস্রাব বের হতে থাকে।৩-৪ বার প্রস্রাব করার পর ও প্রস্রাব শেষ হয়না।তাই আমি ২-৩ বার প্রস্রাব করেই বের হয়ে আসি টয়লেট থেকে।অনেক সময় সালাতের ওয়াক্ত মিস করি এই কারণে।সবসময় প্রস্রাবের চাপ থাকে তাই খুব দ্রুত সালাত পড়ি।টয়লেটে গেলেই প্রায় ১ঘন্টা লাগে।প্রস্রাব করার পর পানি দিয়ে ধুয়ে অনেক টিস্যু ব্যবহার করি তাও প্রস্রাব সামান্য বের হয়।প্রস্রাব বের হলে বেশিরভাগই তা অনুভব করা যায়না।প্রস্রাব খুব সামান্য বের হয় কাপড়ে লাগলে পরে বোঝা যায়না।আমি আগে এটি ওয়াসওয়াসা মনে করতাম তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য কিছুদিন প্রস্রাবের পর প্রায় ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করতাম আর এই সময়ের মধ্যে প্রস্রাব বের হতো কয়েকবার।প্রস্রাব বের হলে বেশিরভাগই কোন অনুভূতি পাওয়া যায়না।তাই আমি সালাত ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর লিঙ্গ ধুয়ে ও কাপড়ে পানি দিয়ে সালাত আদায় করি।আবার মাঝে মধ্যে সালাতে বায়ু বের হয় ৩-৪ বার।প্রস্রাব বের হলে তো বোঝা যায়না অনেক সময় তাহলে কি যত বার বায়ু বের হবে ততবার ওজুর আগে আবার লিঙ্গ পানি দিয়ে ধুতে হবে?আমি সারাদিন এই নিয়ে চিন্তিত থাকি।আর খালি ভাবতে থাকি সালাতে যেন বায়ু বের না হয়।

1 Answer

0 votes
by (711,400 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/6209 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়াজ জন্য শর্ত হলো,
شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-
শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারতেছি যে, এটা আপনার ওয়াসওয়াসা ও মনস্তাত্ত্বিক রোগ। মনের মধ্যে রয়েছে যে, এই বুঝি প্রস্রাব বের হচ্ছে....হচ্ছে। এবং এই মনের খটকার কারণে এক সময় প্রস্রাব বের হয়ে যায়। সুতরাং যতবার মনে হবে যে, প্রস্রাব বের হচ্ছে,ততবারই কাপড় ও শরীর ধৌত করা পূর্বক আপনি অজু করে নেবেন।  যথাসম্ভব প্রস্রাবের পর মনকে অন্য দিকে ফিরিয়ে নেবেন। লিঙ্গকে আগপিছ করে,লজ্জাস্থানে পানি ছিটিয়ে দিবেন। যতবার বায়ূ নির্গত হবে,ততবারই যে লিঙ্গকে ধৌত করতে হবে, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়, বরং প্রস্রাব বের হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হলেই কেবল লিঙ্গকে ধৌত করা হবে।

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪) 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 165 views
...