ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/7490 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নামাজের ফরয ১৩ টি
[৭ টি নামাজের বাহিরে ]
১/ শরীর পাক
২/কাপড় পাক
৩/ নামাজের জায়গা পাক
৪/ সতর ডাকা
৫/ কেবলামুখী হওয়া
৬/ নামাজের ওয়াক্ত চেনা
৭/ নিয়্যাত করা
[ ৬ টি নামাজের ভিতরে ]
১/ তাকবীরে তাহরিমা বা আল্লাহু আকবার বলা
২/ দাঁড়াইয়া নামাজ পড়া
৩/ কেরাত পড়া
৪/ রুকু করা
৫/ সেজদা করা
৬/ শেষ বৈঠক
নামাযের শেষ বৈঠকে কেউ না বসে দাড়িয়ে গেলে তখন ঐ ব্যক্তি আবার বসে যাবে, এবং তাশাহুদ দুরুদ ইত্যাদি পড়ে তারপর শেষে সাহু সিজদা দিয়ে নামাযকে সমাপ্ত করবে। তাকবীর বলার কোনো প্রয়োজন নাই। হ্যা ইমাম হলে সবাইকে অবগত করার জন্য তাকবীর বলা যেতে পারে। তবে জরুরী নয়।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নামাযে কোনো ফরযকে আদায় না করলে নামাযই ফাসিদ হয়ে যায়।যেহেতু শেষ বৈঠক ফরয।এবং যেহেতু শেষ বৈঠককে আদায় করা হয়নি, তাই নামাযই ফাসিদ হয়ে গিয়েছে। মুক্তাদিদের তাকবীর প্রদান সঠিকই ছিল।
পঞ্চম রাকাতের পর সাহু সিজদা গ্রহণযোগ্য হবে না।বরং পঞ্চম রাকাতে দাড়ানোর পর বসে না যাওয়ার দরুণ উক্ত ফরয নামাযই ফাসিদ হয়ে গেছে। হ্যা কেউ যদি আরো এক রাকাত মিলিয়ে মোট ছয় রাকাত পড়ে নেয়, তাহলে শেষ দুই রাকাত নফল হিসেবে গণ্য হবে।এবং প্রথম ৪ রাকাত ফাসিদ হয়ে যাবে।