ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
দু'আ চাওয়া জায়েয। কারো কাছে দু'আ চাওয়া শিরক নয়।
হযরত ইউসুফ আঃ এর ভাইয়েরা তাদের পিতা ইয়াকুব আঃ এর নিকট ক্ষমা চেয়েছিল-
قَالُوا يَا أَبَانَا اسْتَغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا إِنَّا كُنَّا خَاطِئِينَ
তারা বললঃ পিতা আমাদের অপরাধ ক্ষমা করান। নিশ্চয় আমরা অপরাধী ছিলাম।
قَالَ سَوْفَ أَسْتَغْفِرُ لَكُمْ رَبِّي ۖ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
বললেন, সত্বরই আমি পালনকর্তার কাছে তোমাদের জন্য ক্ষমা চাইব। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালূ।
(সূরা ইউসুফ-৯৭-৯৮)
কোনো ভাই অপর ভাইয়ের অনুপস্থিতে দু'আ করলে আল্লাহ উক্ত দু'আকে তারাতারি কবুল করেন।
"বড়দের দোয়া ছিল বিদায় আল্লাহ আমাকে এই বিপদ থেকে বাঁচাইছে"
এ কথা শিরক হবে না।
(২)
স্থানীয় কোনো আলেম নিকট উপস্থিত হয়ে,বা মসজিদের ইমাম সাহেবের নিকট উপস্থিত হয়ে শিরকের বিস্তারিত জেনে নিবেন।এটা আপনার জন্য মঙ্গলজনক হবে।
আমরা মূলনীতি হিসেবে বলবো যে,আল্লাহর একত্ববাদের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো কথা বা কাজের নামই শিরক।
(৩)
শিরক হবে না। সাধারণ জিনিষ যে কারো কাছে চাওয়া যেতে পারে।
(৪)
মিলাদ আর জন্মদিনের খাবার কেউ হাদিয়ে দিলে খেতে পারবেন।তবে গ্রহণ না করাই উত্তম।