ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/26271 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
গিফট যেহেতু আপনাকে দেয়া হয়েছে।যারা দিয়েছেন,তারা অন্তর থেকেই দিয়েছেন।তাই এগুলোর মালিক আপনি।তাই চাইলে এগুলোকে আপনি নিজের কাছেও রেখে দিতে পারেন।আবার চাইলে নিকটাত্মীয় কাউকে দান করে দিতেও পারেন।আপনার কোনো আত্মীয় ছোটবোনকে দিয়ে দিতে পারেন।নিজের কাছে রাখার চেয়ে কাউকে দিয়ে দেয়াই উত্তম হবে।
ঐ জিনিসগুলো কে আপনার কাছে তাঁদের মন রক্ষার্থে রাখতে পারবেন,যতদিন না তারা পূর্ণ হেদায়তের পথে আসছেন।এক্ষেত্রে আপনি তাদেরকে হেকমতের সাথে দাওয়াত ও তাবলীগ করবেন।
(২)
https://www.ifatwa.info/974 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
মাথা কর্তিত থাকলে সেই ছবি হারামের হুকুম থেকে বাহির হয়ে যাবে। যেমনঃ হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ : " ﺍﻟﺼُّﻮﺭَﺓُ ﺍﻟﺮَّﺃْﺱُ، ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻗُﻄِﻊَ ﺍﻟﺮَّﺃْﺱُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﺑِﺼُﻮﺭَﺓٍ ."
প্রাণীর মাথা-ই হল মূলত ছবি তথা প্রাণীর মাথাটাই ছবির উল্লেখযোগ্য অংশ।যখন কোনো ছবির অাকৃতি থেকে মাথাকে কেটে ফেলা হবে,তখন সেটা যেন কোনো ছবিই না।(সুনানে বায়হাক্বী-১৪৫৮০)
যেহেতু মাথা ছাড়া কোনো প্রাণী জীবিত থাকতে পারেনা,তাই বলা হচ্ছে মাথা কাটা থাকলে সেটা ছবির হুকুমের আওতাধীন হবেনা।ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসএ্যাপ ইত্যাদিতে চ্যাটিং-এর সময় বিভিন্ন ধরণের emoji ব্যবহারের বিধান:যদি emoji এর পূর্ণ অবয়ব তথা emoji তে ব্যবহৃত প্রাণীর মাথা,মুখ,চোখ,নাক,কান ইত্যাদি স্পষ্টভাবে বুঝা যায়,তাহলে সেগুলোকে ব্যবহার করা যাবে না। কেননা এগুলো হাদীসে বর্ণিত নিষিদ্ধ ছবির অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু যদি চোখ, মুখ ইত্যাদি অঙ্গগুলো স্পষ্টত বুঝা না যায়, তাহলে সেগুলোকে ব্যবহার করা যাবে। কেননা, এগুলোকে ‘প্রাণীর ছবি’ বলা যাবে না বরং খুব বেশী এগুলোকে আঁকিবুকি, চিহ্ন বা কিছু রেখা ইত্যাদি ভাবা হবে। তবে যথাসম্ভব এ সব ব্যবহার না করাই শ্রেয়।(শেষ)
(৩)
বাবা যদি বিয়ের জন্য পাঠান তাহলে জায়েয।অন্যথায় জায়েয হবে না।আপনি বাবাকে হেকমতের সাথে বুঝান।
(৪)
এক্ষেত্রে আপনার গোনাহ হবে না। গায়কেরই গোনাহ হবে। খালি গলায় ভালো অর্থবোধক গজল কবিতা জায়েয।তবে ফাসিক বা প্রচলিত গায়কদের গানকে খালি গলায় গাওয়াও জায়েয হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1898
(৫)
সম্পূর্ণ চুল ফেলা যাবে না।যতটুকু রয়েছে,ততটুকুই রাখতে হবে।তবে যদি বেশ গড়মিল দেখা যায়, যা দৃষ্টিকটু, তাহলে এমতাবস্থায় সমস্ত চুল মুন্ডানো যাবে।
(৬)
এলকোহল আছে এমন লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করে নামাজে দাড়ালে কোনো সমস্যা হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/5553
(৭)
নামাযে সূরার এক অংশ ভূল করার পর সাথে সাথেই ঠিক করে নিলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
(৮)
নামাযে সূরা ভূলে গেলে যদি লম্বা এক আয়াত বা ছোট্ট তিন আয়াত সমপরিমাণ তিলাওয়াত করা না হয়ে থাকে, তাহলে সাহু সিজদা দিতে হবে।যদি সাহু সিজদা না দেয়া হয়, তাহলে নামাযকে আবার দোহড়াতে হবে।
(৯)
বিতিরের নামাযে দু'আয়ে কুনুত পড়তে ভূলে গেলে রুকুতে পড়া যাবে।