আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
272 views
in পবিত্রতা (Purity) by (4 points)
১/ আমার যদি গোসল ফরজ হয় এবং আমি সুন্নত পদ্ধতিতে গোসল না করে শুধুমাত্র গোসলের ৩ টি ফরজ পালন করে গোসল করি তাহলে কি ফরজ গোসল আদায় হয়ে যাবে?

২/ গোসলে অজ্ঞাতবসত কোনো স্থানে (কানের ভেতরের প্যাঁচে,নাভির ভেতরে) পানি না পৌঁছালে ফরজ গোসল আদায় হবে? (মানে যদি মনে না পড়ে যে কানে পানি দিয়েছিল নাকি না অথবা পানি দেয়ার পরেও কোনো লোম শুকনা থাকে)

৩/ মাথার চুল বেশি ঘন হলে এবং অজ্ঞাতবসত চুলের গোড়ায় পানি না পৌঁছালে ফরজ গোসল আদায় হবে?

৪/ যদি স্বপ্নদোষ কিংবা হস্তমৈথুনের জন্যে গোসল ফরজ হয় এবং গোসলের পূর্বে অযু করে না নেই,তাহলে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে রাসুল সাঃ এর গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।     

حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ، فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِيَدِهِ، ثُمَّ دَلَكَ بِهَا الْحَائِطَ ثُمَّ غَسَلَهَا، ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ غَسَلَ رِجْلَيْهِ.

মাইমূনাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপবিত্রতার গোসল করলেন। তিনি নিজের লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর হাত দেয়ালে ঘষলেন এবং তা ধুলেন। তারপর সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন। গোসল শেষ করে তিনি তাঁর দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৬০২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮)
,
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَتْ مَيْمُونَةُ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَاءً لِلْغُسْلِ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا، ثُمَّ أَفْرَغَ عَلَى شِمَالِهِ فَغَسَلَ مَذَاكِيرَهُ، ثُمَّ مَسَحَ يَدَهُ بِالأَرْضِ، ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى جَسَدِهِ، ثُمَّ تَحَوَّلَ مِنْ مَكَانِهِ فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ

ইবনু ‘আববাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাইমূনাহ্ (রাযি.) বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম। তিনি তাঁর হাত দু’বার বা তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে তাঁর বাম হাতে পানি নিয়ে তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষলেন। তারপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, তাঁর চেহারা ও দু’হাত ধুয়ে নিলেন। অতঃপর তাঁর সারা দেহে পানি ঢাললেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৫৭,২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি ফরজ গোসলের তিনটি ফরজ পরিপূর্ণ ভাবে আদায় করে,তাহলে  আপনার ফরজ গোসল আদায় হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ


(০২)
গোসলের সময় কানের ভিতর যেই পরিমান সম্ভব হয়,সেই পরিমান পর্যন্ত পানি পৌছানো জরূরী। 
উত্তম হলো আঙ্গুল পানি দিয়ে ভিজিয়ে সেটা কানের ভিতর প্রবেশ করানো।

বিস্তারিত জানুনঃ  

নাভির ভিতরে পানি প্রবেশ করা জরুরি।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ফরজ গোসল আদায় হবেনা।
গোসলের পর মনে হলে পুনরায় সেই অঙ্গগুলোর ভিতরে পানি পৌছাতে হবে।   
 
(০৩)
শরীয়তের বিধান হলো ফরজ গোসলের সময় চুলের বেণি খোলা জরুরি নয়। বরং চুলের গোড়ায় পানি পৌছানো জরুরি।হাদিস শরিফে এসেছে-

عن أم سلمة قالت قلت يا رسول الله إني امرأة أشد ضفر رأسي فأنقضه لغسل الجنابة ؟ قال لا إنما يكفيك أن تحثي على رأسك ثلاث حثيات ثم تفيضين عليك الماء فتطهرين

‘উম্মে সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো চুলের বেণি করি। আমি কি ফরজ গোসলের সময় তা খুলে ফেলব? তিনি বললেন: না, তোমার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, মাথার উপর তিন আঁজলা পানি ঢেলে দিবে। অতঃপর পূর্ণ শরীরে তিন বার পানি ঢেলে পবিত্রতা অর্জন করে নিবে।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৩৩০]

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু চুলের গোড়ায় পানি পৌছেনি,তাই উল্লেখিত ছুরতে ফরজ গোসল আদায় হবেনা।    

(০৪)
এতে সমস্যা নেই।
গোসল আদায় হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 428 views
...