আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
261 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আমি আমার হবু স্ত্রী কে বলেছিলাম যে,ও যদি কোনো ছেলের সাথে নাচে তাহলে ওর সাথে আমার বিয়ের পর তালাক হয়ে যাবে।

এখন আমি সিওর যে আমি যদি বলেছিলাম কিন্তু আমার মনে বার বার ভয় আসতেছে যে আমি যদি যখনই বলে থাকি।আমার মনে আছে যে আমি যদি বলেছিলাম কিন্তু তাও ভয় হচ্ছে যে যখনঈ বলে ফেল্লাম না তো।

1.এখন আমার করনীয় কি,আমি কিভাবে নিশ্চিত হবো?আল্লাহ্ এর ভয় ঢুকে যাচ্ছে মনে,যখনই শর্তে পরে গেলে তো সমস্যা।এখন কোনটা আল্লাহ এর কাছে গ্রহনযোগ হবে?আমি এতোদিন সিওর ছিলাম যে আমি যদি বলেছি আজ হটাথ যখনঈ এর মাসালা দেখে আমার মনে বারবার সন্দেহ আসছে যে আমি যখনই বলে ফেল্লাম না তো।এখন আমার করনীয় কি অনেক টেন্সন এ আছি।খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে টেনসন এ।

1 Answer

0 votes
by (572,970 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


অন্তর থেকে যাবতীয় দুশ্চিন্তা,টেনশন একদম ঝেড়ে ফেলুন,  
মনকে শান্ত রাখুন,
নিয়মিত ধারাবাহিক ভাবে সকাল বিকাল আল্লাহর যিকির করতে থাকুন-দেখবেন মন শান্ত হবে।

الَّذِينَ آمَنُواْ وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللّهِ أَلاَ بِذِكْرِ اللّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ

যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।(সূরা রা'দ-২৮)


ইবনে হাজার আল-হাইছামি তাঁর ‘আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা’ গ্রন্থে (১/১৪৯) এসেছে, তাঁকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان – فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون , وأما من أصغى إليها وعمل بقضيتها فإنها لا تزال تزداد به حتى تُخرجه إلى حيز المجانين بل وأقبح منهم

অর্থাৎ, এর ঔষধ একটাই সেটা হচ্ছে– ওয়াসওয়াসাকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও। কেননা কেউ যদি সেটাকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাহলে সেটা স্থির হবে না। কিছু সময় পর চলে যাবে; যেমনটি তাওফিকপ্রাপ্ত লোকেরা যাচাই করে পেয়েছেন। আর যে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে সে ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকবে; এক পর্যায়ে তাকে পাগলের কাতারে নিয়ে পৌঁছাবে কিংবা পাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছাবে।
 
এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে– বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ  পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।
 
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ عَلَى الْوَسْوَسَة
 
‘সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’ (নাসাঈ )

★প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয় যাহা নতুন করে আপনার মাথায় এসেছে,  এটা সম্পূর্ণভাবে শয়তানী ওয়াসওয়াসা। তাই মন থেকে এটি দ্রুত দুর করে দিতে হবে।
মনে এহেন অবস্থা সৃষ্টি হয়,এহেন জায়গায় যাবেননা,এহেন কাজ করবেননা,এহেন কথা বলবেননা।
সবসময়েই বেঁচে থাকবেন। 
এই অবস্থা তৈরী হলে  আপনার জন্য উচিত হলো,সেই দিকে কোনোভাবেই ভ্রুক্ষেপ না করা,কেননা এটা শয়তানী ওয়াসওয়াসা। হাদিস শরিফে এটা থেকে বাঁচার  নির্দেশ এসেছে। 
(নাজমুল ফাতওয়া ২/১৭) 

আরো জানুন 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত নতুন যেই বিষয় আপনার মনে উদ্রেক হয়েছে,এটি থেকে আপনি সম্পূর্ণ নিশ্চিত থাকুন,এতে কোনো সমস্যা হবেনা।
আপনি সেই মেয়েকে বিবাহ করতে পারেন।
ইতিপূর্বে কিছু ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে সেই মেয়েকে বিবাহ করার ক্ষেত্রে যেহেতু এতো ঝামেলা হচ্ছে,তাই অন্য মেয়েকে বিবাহ করুন।
আর যদি তাকেই বিবাহ করতে হয়,তাহলে সেই মেয়ের পক্ষ থেকে কোনো ছেলের সাথে নাচার সম্ভাবনা থাকলে দ্রুত বিবাহ করে ফেলুন।         


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...