জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
অন্তর থেকে যাবতীয় দুশ্চিন্তা,টেনশন একদম ঝেড়ে ফেলুন,
মনকে শান্ত রাখুন,
নিয়মিত ধারাবাহিক ভাবে সকাল বিকাল আল্লাহর যিকির করতে থাকুন-দেখবেন মন শান্ত হবে।
الَّذِينَ آمَنُواْ وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللّهِ أَلاَ بِذِكْرِ اللّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।(সূরা রা'দ-২৮)
ইবনে হাজার আল-হাইছামি তাঁর ‘আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা’ গ্রন্থে (১/১৪৯) এসেছে, তাঁকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,
له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان – فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون , وأما من أصغى إليها وعمل بقضيتها فإنها لا تزال تزداد به حتى تُخرجه إلى حيز المجانين بل وأقبح منهم
অর্থাৎ, এর ঔষধ একটাই সেটা হচ্ছে– ওয়াসওয়াসাকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও। কেননা কেউ যদি সেটাকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাহলে সেটা স্থির হবে না। কিছু সময় পর চলে যাবে; যেমনটি তাওফিকপ্রাপ্ত লোকেরা যাচাই করে পেয়েছেন। আর যে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে সে ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকবে; এক পর্যায়ে তাকে পাগলের কাতারে নিয়ে পৌঁছাবে কিংবা পাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছাবে।
এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে– বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ عَلَى الْوَسْوَسَة
‘সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’ (নাসাঈ )
★প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয় যাহা নতুন করে আপনার মাথায় এসেছে, এটা সম্পূর্ণভাবে শয়তানী ওয়াসওয়াসা। তাই মন থেকে এটি দ্রুত দুর করে দিতে হবে।
মনে এহেন অবস্থা সৃষ্টি হয়,এহেন জায়গায় যাবেননা,এহেন কাজ করবেননা,এহেন কথা বলবেননা।
সবসময়েই বেঁচে থাকবেন।
এই অবস্থা তৈরী হলে আপনার জন্য উচিত হলো,সেই দিকে কোনোভাবেই ভ্রুক্ষেপ না করা,কেননা এটা শয়তানী ওয়াসওয়াসা। হাদিস শরিফে এটা থেকে বাঁচার নির্দেশ এসেছে।
(নাজমুল ফাতওয়া ২/১৭)
আরো জানুন
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত নতুন যেই বিষয় আপনার মনে উদ্রেক হয়েছে,এটি থেকে আপনি সম্পূর্ণ নিশ্চিত থাকুন,এতে কোনো সমস্যা হবেনা।
আপনি সেই মেয়েকে বিবাহ করতে পারেন।
ইতিপূর্বে কিছু ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে সেই মেয়েকে বিবাহ করার ক্ষেত্রে যেহেতু এতো ঝামেলা হচ্ছে,তাই অন্য মেয়েকে বিবাহ করুন।
আর যদি তাকেই বিবাহ করতে হয়,তাহলে সেই মেয়ের পক্ষ থেকে কোনো ছেলের সাথে নাচার সম্ভাবনা থাকলে দ্রুত বিবাহ করে ফেলুন।