আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
454 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (49 points)

আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ্ ,
উস্তাদজী ,

মেয়ে আলহামদুলিল্লাহ্ দ্বীন মেনে চলতে চেষ্টা করেন ।
মেয়ের জন্য একজন ইঞ্জিনিয়ার ছেলে দেখা হয়েছে ,
ছেলের লেবাস : শার্ট প্যান্ট , দাঁড়ি নেই ,
সে পাঞ্জাবি পড়বে সে কথা মেয়েকে বলেছেন এবং দাঁড়ি রাখবেন সেটাও বলেছেন ,
মেয়ের ছেলেকে আগে থেকেই বলা তার ঐ লেবাস পছন্দ নয় , ফোনে তার মায়ের সামনে ।
কিন্তু ছেলে যেদিন প্রথম মেয়ে দেখতে আসে সেদিন ঠিকই শার্ট প্যান্ট পড়ে আসেন , মেয়ের ছেলে দেখে পছন্দ হয়নি তার লেবাস এবং চেহারা কোনটি ।
মেয়ে ইস্তেখাড়া করেছে অনেকদিন এবং কয়েকটি আবছা স্বপ্ন দেখেছে নেগেটিভ কিছু ,
এবং শেষে ক্লিয়ার স্বপ্ন যা দেখেছে, সেটা আমাদের উস্তাদজীদের এখানে থেকে শুনেছি সেটা আল্লাহর ইচ্ছায় নেগেটিভ ধরে নিতে ।
মেয়ে ইস্তেখাড়া কথা এবং হাদীস অনুযায়ী বাবা মা কে সুন্দর ভাবে অনেক বুঝিয়েছেন , তার বাবা মা এর একটি কথা, তোমার কোন কথাই আমরা শুনবো না , যারা ইস্তেখাড়া করেনি তাদের বিয়ে হয় নি , তারা সংসার করছে না, তোমার এখানে যেতে হবে , পরে ভালো না লাগলে যেখানে ইচ্ছা চলে যেও ইত্যাদি কথা বার্তা ,
এটা ১ মাস আগের ঘটনা ছেলে দেখা প্রসঙ্গ , আর ঐ কথা গুলো এখন আবার বলে অনেক প্রেশার দিচ্ছে ,আর মেয়ে ওখানে যাবে না তো যাবেই না , বাবা মা কে হাজার বুঝিয়ে কাজ হচ্ছে না , এখন মেয়ের করণীয় কি উস্তাদজী , বাবা মা এর সাথে আর কেমন আচরণ করলে সে মেয়ে আল্লাহর অসন্তুষ্টি কুড়াবেন না ? <!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_220108_231951_141.sdoc-->

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


বিবাহের ক্ষেত্রে রাসূল সা: ‘কুফু’র বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। 
যদি দ্বীনদার ছেলে কোনো দ্বীনহীন কোনো মহিলাকে বিবাহ করে,তাহলে অধিকাংশ সময়েই তাদের সংসারে কি যে কষ্টকর হয়,তাহা এক মাত্র ভুক্তভোগীরাই ভালো জানে।
,
অনেকাংশে এ ধরনের বিবাহ টিকেনা।
দুনিয়াই জাহান্নামে রুপ নেয়,তাই দ্বীনদার পাত্রীর জন্য  দ্বীনদার পাত্রের সাথেই বিবাহ হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَابُورَ الرَّقِّيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ سُلَيْمَانَ الْأَنْصَارِيُّ أَخُو فُلَيْحٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ عَنْ ابْنِ وَثِيمَةَ النَّصْرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَتَاكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ خُلُقَهُ وَدِينَهُ فَزَوِّجُوهُ إِلَّا تَفْعَلُوا تَكُنْ فِتْنَةٌ فِي الْأَرْضِ وَفَسَادٌ عَرِيضٌ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের নিকট এমন কোন ব্যক্তি বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে এলে, যার চরিত্র ও ধর্মানুরাগ সম্পর্কে তোমরা সন্তুষ্ট, তার সাথে (তোমাদের মেয়েদের) বিবাহ দাও। তোমরা যদি তা না করো, তাহলে পৃথিবীতে বিপর্যয় ও ব্যাপক বিশৃংখলা ছড়িয়ে পড়বে।
(ইবনে মাজাহ ১৯৬৭,তিরমিযী ১০৮৪, ইরওয়াহ ১৮৬৮, সহীহাহ ১০২২।) 
,
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ عِمْرَانَ الْجَعْفَرِيُّ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَخَيَّرُوا لِنُطَفِكُمْ وَانْكِحُوا الْأَكْفَاءَ وَأَنْكِحُوا إِلَيْهِمْ

 ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)  থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ভবিষ্যত বংশধরদের স্বার্থে উত্তম মহিলা গ্রহণ করো এবং সমতা (কুফু) বিবচেনায় বিবাহ করো, আর বিবাহ দিতেও সমতার প্রতি লক্ষ্য রাখো।
(ইবনে মাজাহ ১৯৬৮)

,
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!

সহীহ : বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)
,

আরো জানুনঃ 
,
মাতাপিতা সন্তুষ্টি ও অনুমতি নিয়ে সবাইকে অগ্রসর হতে হবে।এবং মাতাপিতার সন্তুষ্টিই দুনিয়া ও অাখেরাতের কল্যাণের উত্তম মাধ্যম।মাতাপিতাকে কষ্ট দিয়ে জীবনে সূখী হওয়া যাবে না।
তাছাড়া বৈধ ও ভালো কাজে মাতাপিতার নির্দেশ মান্য করাও ওয়াজিব।

সুতরাং মাতা পিতার মতামতকে উপেক্ষা করে  বিয়ের ডিশিসন কখনো উচিৎ হবে না।কেননা মাতাপিতা সব সময় সন্তানের কল্যাণ চায়।তাই মাতাপিতার পরামর্শ ও আদেশ মান্য করাই সবার জন্য কল্যাণকর।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই মেয়ের পিতা মাতাকে ভালো করে রাসুল সাঃ এর হাদীস গুলো বুঝাতে হবে,প্রয়োজনে মুরব্বিদের মাধ্যমে বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বুঝানোর পরেও কাজ না হলে এক্ষেত্রে দেখতে হবে যে উক্ত মেয়ে সেই স্বামীর পরিবারে গেলে পর্দার পরিবেশ পাবে কিনা?

যদি নিজে পর্দা অনুযায়ী শরীয়ত মানার সুযোগ পাবে বলে আশ্বাস পায়,বা সেই অবস্থা বুঝতে পারে,তাহলে এক্ষেত্রে তার জন্য তার পিতা মাতার কথার খেলাফ কাজ করা ঠিক হবেনা।
এক্ষেত্রে সেখানেই বিবাহ করে আস্তে-ধীরে সেই স্বামীকে শরীয়তের বিধান মানানোর আপ্রাণ চেষ্টা অব্যাহত ভাবে চালিয়ে যাবে।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (49 points)
ইস্তেখাড়া নেগেটিভ কিছু দেখার পর ও এ কাজ করতে হবে উস্তাদজী ? ইস্তেখাড়া যেহেতু আল্লাহর সাথে মাশোআরা । আল্লাহ্ ই যেখানে নেগেটিভ ইশারা দিয়েছেন সেক্ষেত্রে  কেন বাবা মায়ের কথা কে প্রাধান্য দিতে হবে ? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...