হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " الشِّفَاءُ فِي ثَلَاثٍ : فِي شَرْطَةِ مِحْجَمٍ ، أَوْ شَرْبَةِ عَسَلٍ ، أَوْ كَيَّةٍ بِنَارٍ . وَأَنَا أَنْهَى أُمَّتِي عَنِ الْكَيِّ " . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন জিনিসের মধ্যে রোগের নিরাময় রয়েছে, শিঙ্গা লাগানো বা মধু পান করা অথবা তপ্ত লোহা দ্বারা দাগ দেয়া। তবে আমি আমার উম্মাতকে দাগ হতে নিষেধ করেছি।
(সহীহ : বুখারী ৫৬৮০, ইবনু মাজাহ ৩৪৯১, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ১১৫৪, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১২০৭৫, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ২০০২৭, শু‘আবুল ঈমান ১১৬৪, আল জামি‘উস্ সগীর ৬০৪৭, সহীহুল জামি‘ ৩৭৩৪।)
★দাগ মানে আগুনে সেঁক দেয়ার বিষয়টি উল্লেখিত হাদীসে সাব্যস্ত হয়েছে।
তবে এটির নির্দেশনা দেয়া হয়নি। আগুনে সেঁক দেয়ার বৈধতা বর্ণিত হয়েছে এই শর্তে যে, তা একটি মাধ্যম মাত্র, আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশেই রোগের শিফা নির্ধারিত।
শায়খ আবূ মুহাম্মাদ আবূ জামরাহ্-এর মতে, আগুনের সেঁক দেয়ায় উপকার ও ক্ষতি উভয়বিধ সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু নিষেধাজ্ঞা এসেছে, সেহেতু এতে ক্ষতির আশংকা বিদ্যমান রয়েছে। পবিত্র কুরআনে যেমন মদের ব্যাপারে বলা হয়েছে, এতে উপকারিতা রয়েছে তবে উপকারের চাইতে ক্ষতির ভাগটি বেশী, তাই তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
★তবে রাসুল সাঃ নিজেও আগুনে আগুনে সেঁক দিয়েছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ جَابِرٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ : رُمِيَ أَبِي يَوْمَ الْأَحْزَابِ عَلَى أَكْحَلِهِ ، فَكَوَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আহযাবের (খন্দাকের) যুদ্ধে উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)-এর শিরারোগে তীর বিদ্ধ হয়েছিল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে (ক্ষত স্থানটিতে) দাগিয়েছেন।
(সহীহ : মুসলিম (২২০৭)-৭৪, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ২০০৩২, হিলইয়াতুল আওলিয়া ১০/৪০১ পৃঃ, আহমাদ ১৪২৫২, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ২২৮৫, মুসনাদে ‘আব্দ ইবনু হুমায়দ ১০১৮।)
وَعَنْهُ قَالَ : رُمِيَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ فِي أَكْحَلِهِ ، فَحَسَمَهُ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِيَدِهِ بِمِشْقَصٍ ، ثُمَّ وَرِمَتْ ، فَحَسَمَهُ الثَّانِيَةَ
উক্ত রাবী [জাবির (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা‘দ ইবনু মু‘আয (রাঃ)-এর শিরারগে তীর বিদ্ধ হয়েছিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাতে উক্ত স্থানটিতে তীরের ফলক দ্বারা দাগিয়েছেন। অতঃপর তাঁর (সা‘দ-এর) হাত ফুলে গিয়েছিল, সুতরাং দ্বিতীয়বার তাকে দাগিয়েছেন।
(সহীহ : মুসলিম (২২০৮)-৭৫, আহমাদ ১৪৩৪৩, মুসতাদরাক লিল হাকিম ৮২৮৭, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ২০০৩৩, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৫১৮৮।)
কেউ যদি প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও হাদিস মান্য করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের চিকিৎসা নেয়া থেকে বিরত থাকে তবে কি আজিমতের ওপর আমল করা হবেনা।
যদি আপনার নামাজের পূর্ণ সময়েও এভাবে সাদা স্রাব আসতেই থাকে,যে পবিত্রতার সহিত ছোট কিরাআত পড়ে হলেও নামাজ পড়া সম্ভব হচ্ছেনা,সাদা স্রাব আসছেই,তাহলে নিজেকে মা'যুর ধরতে পারবেন।