ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তায়ালা
বলেন-
الَّذِينَ تَتَوَفَّاهُمُ
الْمَلَائِكَةُ طَيِّبِينَ ۙ يَقُولُونَ سَلَامٌ عَلَيْكُمُ ادْخُلُوا الْجَنَّةَ
بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
ফেরেশতা যাদের
জান কবজ করেন তাদের পবিত্র থাকা অবস্থায়। ফেরেশতারা বলেঃ তোমাদের প্রতি শাস্তি
বর্ষিত হোক। তোমরা যা করতে, তার
প্রতিদানে জান্নাতে প্রবেশ কর। (সূরা নাহল, আয়াত নং-৩২)
সালামের জবাব
দেওয়া আবশ্যক। কারণ, আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
وَإِذَا حُيِّيتُم بِتَحِيَّةٖ فَحَيُّواْ بِأَحۡسَنَ مِنۡهَآ أَوۡ رُدُّوهَآ
আর যখন তোমাদেরকে
সালাম দেওয়া হবে, তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা
জবাবে তাই দেবে। (সূরা আন নিসা ৮৬)
শরীয়তের বিধান
হলোঃ লিখিত সালামের জবাব লিখেও দেওয়া যায় আবার মুখে উচ্চারণ
করেও দেওয়া যায়।
ফেসবুক বা এরকম
সামাজিক যোগাযোগ সাইটে মেসেজ করে যদি কাউকে কেহ সালাম দেয়,
সেক্ষেত্রে সালামের জবাব দেওয়া আবশ্যক।
লিখিত আকারে না
দিলে মৌখিকও দিতে পারেন।
কেউ লিখিত সালাম
দিলে তার উত্তরে চাইলে জবাব লিখে পরবর্তী চিঠি পাঠানো যেতে পারে অথবা লিখে পাঠানো
কষ্টদায়ক মনে হলে নিজে নিজে মুখে জবাব দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে মৌখিক জবাব তাকে শুনিয়ে দেওয়া জরুরি নয় এবং সালামের জবাবের জন্য
তাকে পাল্টা উত্তর লেখা জরুরি নয়। বরং একাকী মুখে জবাব দিয়ে দিলেই হবে। (ফয়যুল
কাদীর ৪/৩১; রদ্দুল মুহতার ৬/৪১)
বিস্তারিত জানুনঃ
https://ifatwa.info/3817/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. হ্যাঁ, এভাবে
সালাম দেওয়া যাবে।
২. সে দূরে চলে গেলেও সালামের উত্তর দিবেন। যদিও সে না শুনতে পাই।
৩. হ্যাঁ, হবে। তবে
যদি সালাম দাতা নিকটে হয় তাহলে তাকে সালামের উত্তর শুনিয়ে দেওয়া আবশ্যক।
৪. স্বাভাবিক ভাবে বললে শিরক হবে না। তবে এমন কথা বার্তা ইত্যাদি থেকে বিরত
থাকা চাই। আর যদি নবীজীর গোলাম দ্বারা নবীজীর দাসত্ব অর্থে নেয় তখন শিরক হবে।