আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
212 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
১),


আমার ফোন এ আল কুরআন আ্যপ ইন্সটল করা আছে।মাঝে মধ্যে ওই অ্যাপস থেকে কুরআনের আয়াত এসে নোটিফিকেশন হিসেবে আসে হোমস্ক্রিনে। কুরআনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে গিয়ে শিরক হতে পারে এই আশংকায় আমি ওই আয়াত একবার পড়ে আয়াত টি হোমপেজ থেকে মুছে ফেলি।


আবার আমাদের বাসায় একটা বিড়াল আছে, মাঝেমধ্যে দোয়া করতাম অর্থাৎ শিরক হত, এখন আমি তওবা করেছি, কিন্তু বিড়ালটা কে আমি আমাদের বাসা থেকে বের করে দেইনি আমি এখনও ওর সাথে খেলা করি, ওটাকে আমার খুব ভালো লাগে


এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে আমি শিরকের আশংকায় কুরআনের আয়াত হমপেজ থেকে সরালেও শিরক করার পরও বিড়াল কে ত্যাগ করি নি(যদিও তাওবা করেছি শিরকের জন্য)

এতে কি শিরক হচ্ছে??


আমি কি ওই বিড়াল এর সাথে খেলতে পারব নাকি ওকে বাসা থেকে বের করে দেওয়া লাগবে?


২)আল্লাহ তো ভাগ্য নির্ধারণ করে রাখছেন।

যদি ভাগ্যে বুয়েটে চান্স পাওয়া থাকে তাহলে তো এমনিই পাব।
আর যদি না থাকে তাহলে তো পাবো না।
তাহলে কষ্ট করে পড়ালেখা করার কি দরকার?
আর আমি যদি মনে করি, পরিশ্রম করলে বুয়েটে চান্স পাবো, তবে এটা কি নিজের পরিশ্রমকে আল্লাহর সাথে শরিক করা হচ্ছে না??
এতে কি শিরক হবে??


৩)ধরুন কোনো ব্যক্তির সামর্থ্য আছে, কিন্তু সে একাধিক বিয়ের খুব একটা প্রয়োজন বোধ করছেনা।


আবার সে তার স্ত্রীকে ভালোবাসে, স্ত্রী কষ্ট পাবে এই ভেবে সে মাসনা করতে চায়ও না।


এতে কি তার গুনা হবে??

সামর্থ্য থাকার পরেও যে সে মাসনা করছে না, এতে যদি তার বন্ধুরা তাকে কাপুরুষ বলে এতে তার বন্ধুদের গুনা হবে???
৪)আজকাল নামাযে সিজদা দিলে মনে হচ্ছে আমি জায়নাজ কে  সিজদা দিচ্ছি।
এতে কি শিরক হবে??
করনিয় কি??

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
প্রশ্নের বিবরণমতে শিরক হবে না,এবং আপনার নিকট বর্তমানে বিড়াল থাকলেও তাতে কোনো সমস্যা নেই।

(২)
আল্লাহ নিজেই বলে দিয়েছেন-
إِنَّ اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُوا مَا بِأَنفُسِهِمْ ۗ وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلَا مَرَدَّ لَهُ ۚ وَمَا لَهُم مِّن دُونِهِ مِن وَالٍ
আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ চান, তখন তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।(সূরা রা'দ-১১)

সুতরাং আল্লাহ তাকদীরে লিখে দিয়েছেন যে, অমুক বান্দা যদি চেষ্টা প্রচেষ্টা করে,তাহলে সে পাশ করবে,আর চেষ্টা প্রচেষ্টা না করলে সে পাশ করবে না।
কেননা তাকদীর দুই প্রকার।(১)তাকদীরে মুতলাক(২) তাকদীরে মু'আল্লাক তথা এমন তাকদীর যা কোনো কাজের উপর নির্ভরশীল।

সুতরাং
এখানে নিজের পরিশ্রমকে আল্লাহর সাথে শরিক করা হচ্ছে না, বরং এখানে মূলত তাকদীরকেই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।এমনকি কে তাকদীরে মু'আল্লাককে বাস্তবায়ন করবে আর কে করবে না? তা আল্লাহ পূর্ব থেকেই জানেন।

(৩)
বহু বিবাহ ওয়াজিব বা ফরয নয়।সুতরাং স্ত্রীকে খুশী করতে যেয়ে কেউ যদি একাধিক বিয়ে না করে, তাহলে এতে তার কোনো গোনাহ হবে না। বন্ধুদের জন্য তাকে কাপুরুষ বলে উক্তি করাটাও উচাৎ হবে না। তবে গোনাহ হবে না।

(৪)
নামাযে সিজদা দিলে জায়নামাযকে সিজদা করার ওয়াসওয়াসা চলে আসাটা অনুচিৎ।তবে এর জন্য শিরক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,200 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...