আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
* আসসালামু আলাইকুম,  গত রমাদানে প্রেগনেন্সির জন্য ১৫টা রোজা করতে পারি নি।
১. এইবারও এখন পর্যন্ত করতে পারি বাচ্চা বুকের দুধ খায়।  রোজা গুলো কি রমাদানের আগেই করতে হবে? পরে করতে পারবো কি?
২. একবার বাবুকে খাটে ঘুম পাড়িয়ে নামাজ পড়ছিলাম, হঠাত বাবু উঠে গেছে দেখে পেছনে ফিরে তাকিয়ে যাই নামাজের মধ্যেই এবং নামাজটা কন্টিনিউ করি। আমার নামাজ কি ভেঙে  গিয়েছিলো?
৩.বাচ্চাকে বাড়তি খাবার দেই। খিচুড়ি বা সুজি রান্না করলে এক বা দু বেলা খায় পরে খেতে চায়না তখন অন্য খাবার রান্না করে দেই আর খিচুড়ি ফেলে দিই। আমি নিজে ওর খিচুড়ি খেতে পারি না কারণ লবণ মসলা ছাড়া রান্না করি। পরিমাণে খুবই কম রান্না করি তার পরেও ফেলতে হয় পুরো খেতে পারে না, কারণ দু তিন চামচের বেশি খাওয়াতে পারি না। আমার কি তাতে অপব্যয় হচ্ছে আর গোনাহ হচ্ছে? একজন বললেন আমার বাচ্চার রিজিক থেকে নাকি খাবার কমে যাচ্ছে খাবার ফেলানোর কারণে? আমি গ্রামে থাকলে অবশিষ্ট খাবার হাস মুরগি কে দিয়ে দিই আর আল্লাহ কাছে ইসতেগফার করি, ঢাকা থাকলে ডাস্টবিনে ফেলি আর মনে মনে নিয়ত করি কুকুর বিড়াল বা কোনো প্রাণীর জন্য দিলাম আর ইসতেগফার করি। খুব ভয়ে থাকি। আমার কি গোনাহ হচ্ছে?  বা বাচ্চার রিজিক থেকে খাবার কি কমে যাচ্ছে?
৪. বাচ্চা কাপড়ে প্রস্রাব করলে তিন বার বিসমিল্লাহ বলে ধুলেই কি হবে? আমি খুব ভালোভাবে নিংড়াতে পারি না। পবিত্রতার জন্য কি তিনবার ধুলেই যথেষ্ট হবে?

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
রমজানে কোনো রোযা কাজা হয়ে গেলে পরের রমজান আসার আগেই তার কাজা আদায় করে নিতে হবে।
শরিয়তসম্মত কারণবশত রমজানে তার ভাংতি রোজাগুলো পরবর্তী রমজান আসার আগে কাজা করতে না পারে, তবে রমজানের পরবর্তী সময় সেই (পূর্বের রমজানের) রোজাগুলো তাকে অবশ্যই কাজা করে নিতে হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ تَقُولُ كَانَ يَكُونُ عَلَىَّ الصَّوْمُ مِنْ رَمَضَانَ، فَمَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَقْضِيَ إِلاَّ فِي شَعْبَانَ. قَالَ يَحْيَى الشُّغْلُ مِنَ النَّبِيِّ أَوْ بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.

আহমদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ... ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার উপর রমযানের যে কাযা থেকে যেত তা পরবর্তী শাবান ছাড়া আমি আদায় করতে পারতাম না। ইয়াহিয়া (রহঃ) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যস্ততার কারণে কিংবা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ব্যস্ততার কারণে।
(বুখারী শরীফ ১৮২৬)

★যদি একাধিক রমজানের রোজা কাযা হয়ে যায় তাহলে কাযা আদায় করার সময় কোন রমজানের রোজার কাযা আদায় করছে এটা নির্দিষ্ট করা জরুরী। তবে যদি কাযা রোজার সংখ্যা অনেক বেশি হয় এবং তা নির্দিষ্ট করা কঠিন হয় তাহলে -জীবনের সর্বপ্রথম কাযা রোজা রাখলাম- এভাবেও নিয়ত করতে পারবে।
আল আশবাহ ওয়ান নাযায়ির : ১/১১৫

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রমাদানের আগেই কাজা আদায়ের চেষ্টা করবেন। 

কষ্টকর হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে রমদানে পরে কাজা আদায় করতে পারবেন।

সেক্ষেত্রে যেহেতু একাধিক রমাদানের কাজা একত্রিত হবে,তাই কাজা আদায়ের ক্ষেত্রে 
আপনি কোন সালের রোযার কাজা আদায় করছেন,সেই সাল নির্দিষ্ট করবেন।

(০২)
এক্ষেত্রে আপনার সীনা কিবলা হতে ঘুরিয়ে গেলে সেই নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।

(০৩)
এক্ষেত্রে আপনার অপচয়ের গুনাহ হচ্ছে।
তবে বাচ্চার রিজিক থেকে খাবার কমে যাচ্ছেনা।

আপনি সেই খাবার কোনো প্রানীকে দিতে না পারলে তাতে লবণ মসলা দিয়ে আপনার খাবারের উপযুক্ত করে সেটা আপনি খাবেন।
তাহলে আর অপচয় হবেনা।

(০৪)
ভালোভাবে নিংড়াতে না পারলেও যেভাবে পারেন,সেভাবেই নিংড়িয়ে নিবেন।
তারপরেও প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে নিতে হবে। 

তারপরেও সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে কাপড় ধোয়ার জন্য আপনার স্বামী বা অন্য কাহারো সহযোগিতা নিতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...