বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
প্রশ্নের বিবরণমতে শিরক হবে না,এবং আপনার নিকট বর্তমানে বিড়াল থাকলেও তাতে কোনো সমস্যা নেই।
(২)
আল্লাহ নিজেই বলে দিয়েছেন-
إِنَّ اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُوا مَا بِأَنفُسِهِمْ ۗ وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلَا مَرَدَّ لَهُ ۚ وَمَا لَهُم مِّن دُونِهِ مِن وَالٍ
আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ চান, তখন তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।(সূরা রা'দ-১১)
সুতরাং আল্লাহ তাকদীরে লিখে দিয়েছেন যে, অমুক বান্দা যদি চেষ্টা প্রচেষ্টা করে,তাহলে সে পাশ করবে,আর চেষ্টা প্রচেষ্টা না করলে সে পাশ করবে না।
কেননা তাকদীর দুই প্রকার।(১)তাকদীরে মুতলাক(২) তাকদীরে মু'আল্লাক তথা এমন তাকদীর যা কোনো কাজের উপর নির্ভরশীল।
সুতরাং
এখানে নিজের পরিশ্রমকে আল্লাহর সাথে শরিক করা হচ্ছে না, বরং এখানে মূলত তাকদীরকেই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।এমনকি কে তাকদীরে মু'আল্লাককে বাস্তবায়ন করবে আর কে করবে না? তা আল্লাহ পূর্ব থেকেই জানেন।
(৩)
বহু বিবাহ ওয়াজিব বা ফরয নয়।সুতরাং স্ত্রীকে খুশী করতে যেয়ে কেউ যদি একাধিক বিয়ে না করে, তাহলে এতে তার কোনো গোনাহ হবে না। বন্ধুদের জন্য তাকে কাপুরুষ বলে উক্তি করাটাও উচাৎ হবে না। তবে গোনাহ হবে না।
(৪)
নামাযে সিজদা দিলে জায়নামাযকে সিজদা করার ওয়াসওয়াসা চলে আসাটা অনুচিৎ।তবে এর জন্য শিরক হবে না।