উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ে করার পূর্ণ ইচ্ছা করে নেয়,তাহলে ঐ মহিলাকে দেখতে পারবে,সরাসরি বা মোবাইলে কথা বলতে পারবে।
তবে শরয়ী সীমারেখার ভিতর থেকে এসব করতে হবে।
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
(إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمْ الْمَرْأَةَ ، فَإِنْ اسْتَطَاعَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى مَا يَدْعُوهُ إِلَى نِكَاحِهَا ، فَلْيَفْعَلْ)
যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে চায়,তাহলে সে যেন যযথাসম্ভব ঐ মহিলাকে দেখে নেয়।(সুনানু আবি দাউদ-২০৮২)
,
★★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনারা সরাসরি বা মোবাইলে কথা বলতে পারবেন।
সরাসরি যদি কথা বলেন,তাহলে সেটা যদি কোনো ঘর বা জনমানবহীন এলাকায় হয়,তাহলে মেয়ের সাথে কোনো মাহরামের উপস্থিতি জরুরী।
অন্যথায় (মাহরাম কেহ না থাকলে) তার সাথে এমনভাবে একাকী কথা বলা জায়েজ নয়।
হাদিস শরিফে এসেছেঃ
وعَنِ ابنِ عباس رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أنَّ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ: «لاَ يَخْلُونَّ أَحَدكُمْ بامْرَأَةٍ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ» . متفق عَليْهِ
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মাহরামের উপস্থিতি ছাড়া কোন পুরুষ যেন কোনো মহিলার সাথে নির্জন-বাস না করে।’’ (বুখারী ১৮৬২,৩০০৬,৩০৬১ ও মুসলিম ১৩৪১)
,
★★উল্লেখ্য অবশ্যই ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকতে হবে,শরয়ী সীমারেখার বাহিরে কোনো কথা বলা যাবেনা।
মহিলা নরম ভাষায় কথা বলবে,যত দ্রুত এই কথা শেষ করা যায়,সেটাই করবে।
প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত কথা বলা যাবেনা।
,
★★বিবাহের আগে ছেলে মেয়ের দেখা সাক্ষাৎ এর বিষয়ে কিছু মূলনীতি আছে,যেগুলো অবশ্যই ফলো করতে হবে।
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানুনঃ