আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
435 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রশ্ন:

১) পাত্র কি পাত্রীর ওয়াকিল হতে পারবে?

২) ভিডিওকলের মাধ্যমে পাত্র, পাত্রীর ওয়াকিল হয়ে,  ২ জন সাক্ষ্যীর সামনে সে নিজের বিয়ে দিতে পারবে?

উল্লেখ্য, পাত্র এবং পাত্রীর অভিভাবক তাদের বিয়ে দিতে রাজী। কিন্তু, তারা এখনই তাদের বিয়ে দিতে চাইছে না। বরং, এখন এংগেইজমেন্ট করে রেখে পরে বিয়ে দিতে চান। কিন্তু, এংগেইজমেন্ট করা বলতে তো শরীয়তে কিছু নেই। তাই পাত্র-পাত্রী হালালভাবে থাকার জন্য বিয়ে করতে চান।

1 Answer

+1 vote
by (61,230 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত হল মৌলিকভাবে দু’টি। যথা-

১-ইজাব কবুল হওয়া।

২-দুইজন মুসলিম প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ বা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা উক্ত ইজাব কবুল স্বকর্ণে শুনা।

ব্যস উক্ত দু’টি শর্ত পাওয়া গেলেই বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যায়।

যার পুরোপুরি ব্যাখ্যা হলোঃ-

স্বামী স্ত্রীকে ইজাব তথা প্রস্তাব দিবে বা কোন ব্যক্তিকে উকিল বানিয়ে স্বামীর পরিচয় ও দেনমোহর উল্লেখ করে প্রস্তাব দিবে, আর স্ত্রী সেই প্রস্তাবকে কবুল করবে। কিংবা স্ত্রী নিজে স্বামীকে প্রস্তাব দিবে আর স্বামী তা কবুল করবে, কিংবা স্ত্রীর অনুমতিক্রমে তার উকীল গিয়ে স্বামীকে প্রস্তাব দিবে আর স্বামী তা কবুল করবে। আর উক্ত প্রস্তাব এবং কবুল বলার বিষয়টি উপস্থিত থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক দুইজন মুসলিম পুরুষ বা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও দুইজন মহিলা স্বকর্ণে শুনবে। তাহলেই শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে।

فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9

অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল  বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}

টেলিফোন বা মোবাইলে বিবাহ করার পদ্ধতি হল-উভয় পক্ষ থেকে এক পক্ষ অপরপক্ষ যেখানে থাকে সেখানের কোন ব্যক্তিকে ওকীল বানাবে। তারপর সে অকীল দু’জন সাক্ষীর সামনে বিবাহ করিয়ে দিবে। তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া সরাসরি মোবাইলে বা টেলিফোনে প্রস্তাব ও কবুল করার দ্বারা বিবাহ সহীহ হবে না।

فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)

অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল  বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}

আরো বিস্তরিত জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/2679/

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 পাত্রী যদি পাত্রকে নিজের বিয়ে উকিল বানায় এবং পাত্র সাক্ষীদের উপস্থিতিতে মেয়ের উকিল হয়ে নিজেই ইজাব ও কবুল করে নেয় তাহলে বিয়ে হয়ে যাবে। কিন্তু উকিল বানানো ব্যাতিত শুধু অনুমতি নিয়ে আসলেই বিয়ে সহিহ হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। উকিল বানানো শর্ত। অথবা মেয়ে নিজেই সাক্ষীদের সামনে ছেলেকে প্রস্তাব দিবে এবং ছেলে কবুল করবে তাহলেও বিয়ে সহিহ হবে।

 তবে এমন পরিস্থিতিতে আপনাদের জন্য উচিত স্বীয় অবিভাবককে বুঝিয়ে তাদের সম্মতিতেই বিয়ে করা। নিজে বুঝাতে না পারলে কোন মুরব্বী বা  ভালো আলেমের মাধ্যমে তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করবে। কারণ, অবিভাবককে না জানিয়ে বিয়ে করলে পরবর্তিতে বিভিন্ন ফেতনা হওয়া আশংকা থাকে। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের জন্য সবকিছু সহজ করে দিন। আমীন।

 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (61,230 points)
উত্তর দেওয়া হয়েছে।
by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম হযরত। আল্লাহর ওয়াস্তে বেআদবি হিসেবে নিবেন না। একটি হানাফি মাজহাবের ফতোয়ার ওয়েবসাইটে মুখতাসারে কুদুরি কিতাবের রেফারেন্স দিয়ে বলা হয়েছে, পাত্রী পাত্রকে উকিল বানাতে পারবে: https://islamqa.org/hanafi/daruliftaa-birmingham/135737/can-the-groom-be-a-wakeel-on-behalf-of-the-bride-in-conducting-the-marriage/
মোবাইলে/ ভিডিওকলে কথা বলে যদি উকিল ঠিক করা যায়, তাহলে পাত্রকে উকিল বানালেই তো হয়। তাহলে আর গায়রে মাহরাম কারো আর উকিল হতে হলো না। এই চিন্তা থেকেই সন্দেহমুক্ত হওয়ার জন্য প্রশ্নটি করেছিলাম। দয়া করে পুনরায় বিষয়টি বিবেচনা করে জানাবেন এভাবে বিয়ে করা জায়েজ কিনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...