ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছে-
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " تَسَمَّوْا بِاسْمِي وَلاَ تَكْتَنُوا بِكُنْيَتِي، وَمَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَقَدْ رَآنِي، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لاَ يَتَمَثَّلُ فِي صُورَتِي، وَمَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘আমার নামে তোমরা নাম
রেখো; কিন্তু আমার উপনামে (কুনিয়াতে) তোমরা নাম রেখো না। আর যে
আমাকে স্বপ্নে দেখে সে ঠিক আমাকেই দেখে। কারণ শয়তান আমার আকৃতির ন্যায় আকৃতি ধারণ
করতে পারে না। যে ইচ্ছা করে আমার উপর মিথ্যারোপ করে সে যেন জাহান্নামে তার আসন
বানিয়ে নেয়।’ (সহীহ বুখারী, হাদীস নং-
১১০ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. প্রশ্নে বর্ণিত বিষয়টি
হুবুহু হাদীসে পাওয়া যায় না।
২. হ্যা, ফিতনা, গোনাহ থেকে বাঁচার জন্য ওয়াদার খেলাপ করা যাবে।
৩. অনেক আলেমগণ অভিজ্ঞতার আলোকে সূরা
ইনশিক্বাক্বের প্রথম পাঁচ আয়াত তেলাওয়াত করার কথা বলে থাকেন।
إِذَا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ (1) وَأَذِنَتْ لِرَبِّهَا وَحُقَّتْ
(2) وَإِذَا الْأَرْضُ مُدَّتْ (3) وَأَلْقَتْ مَا فِيهَا وَتَخَلَّتْ (4)
وَأَذِنَتْ لِرَبِّهَا وَحُقَّتْ (5)
আর কেউ সংক্ষেপে পড়তে চাইলে ثُمَّ السَّبِيلَ يَسَّرَهُ এই আয়াতটি বেশী বেশী পড়ার কথা বলে থাকেন এবং
অনেকে উপকারও পেয়েছে শুনেছি।
৪.
আপনার নিয়ত যেহেতু ভালো কাজের তাই আপনি আপনার নিয়ত
বা উদ্দেশ্য হিসেবে সওয়াব পেয়ে যাবেন। সুতরাং সে ফিতনায় পড়লে তার গুনাহ হবে,আপনার নয়।
তবে যদি কারোর ব্যাপারে নিশ্চিত জানেন যে, তার কাছে শেয়ার করলে সে ফিতনায় পড়বে তাহলে তার
নিকট শেয়ার করা জায়েজ হবে না।