আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
312 views
in পবিত্রতা (Purity) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম,,,
আমার রুম বাথরুমের পাশে। সবাই আমার রুমের সামনের রেলিঙের উপর কাপড় ধোয় আর ওপাশে গোসল করে শীতকালে। কিন্তু কাপড় ধুলে আমার রুমে অনেক পানি চলে আসে। ঢাল কিনা জানি না। ওই পানি কি নাপাক হিসাবে ধরবো নাকি পাক? ওই পানিতে পা লাগলে কি পা নাপাক হবে?? যদি বিছানায় লাগে তাহলে কি বিছানা নাপাক হবে?? শুকিয়ে গেলে ভেজা পায়ে ওই যায়গাই পা দিলে কি পা নাপাক হবে??

1 Answer

0 votes
by (589,230 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
যেহেতু কাপড় পবিত্রও থাকে এবং অপবিত্রও থাকে, এবং মানুষ কখনো ফরয গোসল করে এবং কখনো সুন্নত/মুস্তাহাব গোসল করে থাকে, তাই উক্ত কাপড় ধৌত করার পানি এবং গোসলের পানি সন্দেহমুলক পানি।পবিত্রও হতে পারে এবং অপবিত্রও হতে পারে। সুতরাং উক্ত পানিকে সতর্কতামূলক নাপাকির স্থরে নিয়ে যাওয়া হবে।এবং উক্ত পানিকে নাপাক পানির হুকুমে নিয়ে আসা হবে। সুতরাং উক্ত পানি কাপড়ে বা শরীরে লাগলে কাপড় বা শরীরকে ধৌত করতে হবে।
হ্যা, শুকিয়ে যাওয়ার পর উক্ত স্থানে শুকনো পা ফেললে তখন পা নাপাক হবে না।

https://www.ifatwa.info/306 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﻣَﺮَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺑِﺤَﺎﺋِﻂٍ ﻣِﻦْ ﺣِﻴﻄَﺎﻥِ ﺍﻟْﻤَﺪِﻳﻨَﺔِ ﺃَﻭْ ﻣَﻜَّﺔَ ، ﻓَﺴَﻤِﻊَ ﺻَﻮْﺕَ ﺇِﻧْﺴَﺎﻧَﻴْﻦِ ﻳُﻌَﺬَّﺑَﺎﻥِ ﻓِﻲ ﻗُﺒُﻮﺭِﻫِﻤَﺎ ، ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻳُﻌَﺬَّﺑَﺎﻥِ ، ﻭَﻣَﺎ ﻳُﻌَﺬَّﺑَﺎﻥِ ﻓِﻲ ﻛَﺒِﻴﺮٍ ، ﺛُﻢَّ ﻗَﺎﻝَ : ﺑَﻠَﻰ ، ﻛَﺎﻥَ ﺃَﺣَﺪُﻫُﻤَﺎ ﻻ ﻳَﺴْﺘَﺘِﺮُ ﻣِﻦْ ﺑَﻮْﻟِﻪِ ، ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻵﺧَﺮُ ﻳَﻤْﺸِﻲ ﺑِﺎﻟﻨَّﻤِﻴﻤَﺔِ ، ﺛُﻢَّ ﺩَﻋَﺎ ﺑِﺠَﺮِﻳﺪَﺓٍ ﻓَﻜَﺴَﺮَﻫَﺎ ﻛِﺴْﺮَﺗَﻴْﻦِ ، ﻓَﻮَﺿَﻊَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﻗَﺒْﺮٍ ﻣِﻨْﻬُﻤَﺎ ﻛِﺴْﺮَﺓً . ﻓَﻘِﻴﻞَ ﻟَﻪُ : ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، ﻟِﻢَ ﻓَﻌَﻠْﺖَ ﻫَﺬَﺍ ؟ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻠَّﻪُ ﺃَﻥْ ﻳُﺨَﻔَّﻒَ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻴْﺒَﺴَﺎ ، ﺃَﻭْ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﻥْ ﻳَﻴْﺒَﺴَﺎ ) .ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻟﻤﺴﻠﻢ ( ﻻ ﻳَﺴْﺘَﻨْﺰِﻩُ ﻋَﻦْ ﺍﻟْﺒَﻮْﻝِ ﺃَﻭْ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﺒَﻮْﻝِ ) ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻟﻠﻨﺴﺎﺋﻲ ( ﻻ ﻳَﺴْﺘَﺒْﺮِﺉُ ﻣِﻦْ ﺑَﻮْﻟِﻪِ )
তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা মাদ্বীনা বা মক্কার বাগানগুলোর মধ্য হতে কোন এক বাগানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি এমন দু’ ব্যক্তির আওয়ায শুনতে পেলেন যে, তাদেরকে কবরে আযাব দেয়া হচ্ছিল। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এদের দু’জনকে আযাব দেয়া হচ্ছে, অথচ কোন গুরুতর অপরাধে তাদের শাস্তি দেয়া হচ্ছে না। তারপর তিনি বললেনঃ ‘হ্যাঁ, এদের একজন তার পেশাব করতে গিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করত না। অপর ব্যক্তি চোগলখোরী করত। অতঃপর তিনি একটি খেজুরের ডাল আনতে বললেন, এবং তা ভেঙ্গে দু’ টুকরা করে প্রত্যেকের কবরের উপর এক টুকরা করে রাখলেন। তাঁকে বলা হল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! কেন এমন করলেন?’ তিনি বললেনঃ আশা করা যেতে পারে যতক্ষণ পর্যন্ত এ দু’টি শুকিয়ে না যায় তাদের আযাব কিছুটা হালকা করা হবে।(সহীহ বুখারী-২১৬,সহীহ মুসলিম-২৯২,সুনানে নাসাঈ-২০৬৮)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,230 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...