আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
227 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)

খাদিজা (রা) তিনি রাসুল মোহাম্মদ (সা) কে বিবাহ করার আগে কতবার বিবাহ করেছিলেন এবং তিনি যাদেরকে বিবাহ করেছিলেন তাদের সন্তান কি তার মৃত্যুর পর নবীজির সাথে ছিল নাকি তার স্বামীর সাথে তার সন্তান গুলো মারা যায়

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হযরত খাদিজা রাঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ এর অনেক মুহাব্বতের স্ত্রী ছিলেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَقَ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَا غِرْتُ عَلَى امْرَأَةٍ قَطُّ مَا غِرْتُ عَلَى خَدِيجَةَ مِمَّا رَأَيْتُ مِنْ ذِكْرِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَهَا وَلَقَدْ أَمَرَهُ رَبُّهُ أَنْ يُبَشِّرَهَا بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ مِنْ قَصَبٍ يَعْنِي مِنْ ذَهَبٍ قَالَهُ ابْن مَاجَةَ.
‘আয়িশাহ্ (রাঃ)  থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি খাদীজা (রাঃ)-এর ক্ষেত্রে যে আত্মমর্যাদাবোধ উপলব্ধি করতাম, তদ্রূপ অপর কোন নারীর ক্ষেত্রে অনুভব করতাম না। কেননা আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে প্রায়ই তার কথা উল্লেখ করতে দেখেছি। আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর রসূলকে খাদীজা (রাঃ)-এর জন্য জান্নাতে স্বর্ণ নির্মিত একটি প্রাসাদের সুসংবাদ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ইবনু মাজা (রহ.) তা বলেছেন (অর্থাৎ কাসাব-এর অর্থ সোনা বলেছেন)।
(সহীহুল বুখারী ৩৮১৬, মুসলিম ২৪৩৪, ২৪৩৫, তিরমিযী ২০১৭, ৩৮৭৫, ৩৮৭৬, আহমাদ ২৩৭৮৯, ২৫১৩০, ২৫৮৪৭, বায়হাকী ৭/৪১২ সহীহাহ ১৫৫৪।)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাথে বিবাহ হওয়ার পূর্বে খাদিজা রাঃ এর বিবাহ সংক্রান্ত ইতিহাসবীদদের মাঝে  মতবিরোধ রয়েছে।      
কেহ বলেছেন ২ টি,কেহ কেহ বলেছেন ১ টি।

বিশুদ্ধ মত হলো,
খাদিজা রাঃ এর মোট  তিনবার বিবাহ করেছিলেন এবং তার সমস্ত বিবাহ থেকে সন্তান ছিল। 
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পূর্বে তার দুইবার বিবাহ হয়েছিলো।    
,
তিনি প্রথম আতিক ইবনে 'আবেদ ইবনে' আবদুল্লাহ আল-মাখজুমির সাথে বিবাহ হয়েছিলো।
স্বামী আতিকের কাছে খাদিজা হিন্দা নামে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তার এই স্বামী মারা যান,কেহ কেহ বলেন যে তার স্বামী তাকে তালাক দেন।

দ্বিতীয় বার হিন্দ বিন যারারাহকে বিয়ে করেন।
তার দ্বিতীয় স্বামীর কাছে তিনি দুই পুত্র সন্তান বহন করেন, যাদের নাম ছিল হালা এবং হিন্দ।

কেহ কেহ বলেন এই ২য় স্বামীর নাম মালিক ইবনে নাবাশ ইবনে জারগারি ইবনে আত-তামিমি ছিলো।

কেহ কেহ বলেন এই ২য় স্বামীর নাম যারারাহ ছিলো।
,
এরপর ৪০ মতান্তরে ৪৫ বছর বয়সে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। 

ابو نعیم، معرفة الصحابه، 6: 3200-3201، الریاض

تزوجت قبل النبي - صلى الله عليه وسلم - مرتين: زوجها الأول هو: عتيق بن عائذ المخزومي، فبقيت معه حتى وفاته، وأنجبت منه: عبد العزى وهند. زوجها الثاني هو: أبو هالة هند بن زرارة التميمي، وأنجبت منه: هند والطاهر وهالة، وبعد وفاته كان عمرها خمسة وعشرين عاماً، ولم تتزوج حتى بلغت أربعين سنة - رضي الله عنها - وأرضاها.
امام حلیبی، السیرة الجلیلة، 1: 229، بیروت، لبنان
সারমর্মঃ 
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পূর্বে খাদিজা রাঃ এর  দুইবার বিবাহ হয়েছিলো।  
১ম স্বামী আতিক বিন আয়েদ আল মাখযুমি।
তার সাথেই ছিলেন,এভাবে তার জীবদ্দশায় তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছিলো।
সেখান থেকে ২টি সন্তান হয়েছিলো।
আব্দুল উয্যা,হিন্দ।

তার ২য় স্বামীর নাম আবু হালাহ হিন্দ বিন যারারাহ আততামিমি।

সেখান থেকে হিন্দ,হালালাহ,তাহেরাহ মোট ৩ টি সন্তান হয়েছিলো।

রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাথে বিবাহের পর তার সেই আগের পক্ষের সন্তান গুলি রাসুলুল্লাহ সাঃ কাছে ছিলো মর্মে কোনো রেওয়ায়েত পাওয়া যায়না।
তারা তাদের বাবার আত্মীয়দের কাছেই ছিলো।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...