বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
সেই সময়ে যদি উভয়েই বালেগ বালেগাহ হয়,তাহলে হুরমত হবে।
নতুবা নয়।
হুরমত হওয়ার ক্ষেত্রে সেই মেয়ের মা সেই ছেলের উপর হারাম হবে।
এক্ষেত্রে সেই ছেলে ঐ মেয়েকেও বিবাহ করতে পারবে,চাইলে সেই মেয়ের বোন বা অন্য যেকোনো মেয়েকে বিবাহ করতে পারবে।
(০২)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
হিজড়াদের মধ্যে যারা গায়রে মুশকিল,তাদের মধ্যে যাদের বাহ্যিক আকার আকৃতি এবং শারীরিক গঠন নারীদের মতাে হবে তাদের ক্ষেত্রে নারীদের বিধি-বিধান প্রযােজ্য হবে। পুরুষদেরকে তাদের সাথে পর্দা করতে হবে। নারীদের তাদের সামনে পর্দা করতে হবেনা। এবং তারাও অন্যান্য নারীদের মতাে পর্দাবৃত হয়ে চলাচল করবে।
“আর যারা আকার আকৃতি ও শারীরিক গঠন প্রকৃতির দিক থেকে পুরুষের সাথে বেশী সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং বাহ্যিক অবয়বও পুরুষের মতােই তাদের সাথে পুরুষদের পর্দার প্রয়ােজন নেই।
নারীদের তাদের সামনে পর্দা করতে হবে।
,
★আর যারা মুশকিল, তাদের সামনে মহিলাদের পর্দা করতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أن عليا رضي الله عنه : سئل عن المولود لا يدري أرجل أم امرأة فقال علي رضي الله عنه يورث من حيث يبول
হযরত আলী রাঃ কে এমন বাচ্চা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, যার ছেলে বা মেয়ে হওয়া পরিস্কার নয়। তখন হযরত আলী রাঃ বললেন, সে যেভাবে পেশাব করে সে হিসেবে মিরাস পাবে। {সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১২৯৪, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৩০৪০৩, মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১৯২০৪}
,
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত হাদীসে আছে, জনৈক খুনসা বা হিজড়া ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীদের কাছে আসা-যাওয়া করত। রাসূলের স্ত্রীগণ তাকে আয়াতে বর্ণিত (غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ) এর অন্তর্ভুক্ত মনে করে তার সামনে আগমন করতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন তাকে গৃহে প্রবেশ করতে নিষেধ করে দিলেন। [দেখুন, মুসলিমঃ ২১৮০]
,
বিস্তারিত জানুনঃ
(০৩)
মেয়ে হলে বা নাবালেগ ছেলে হলে প্রয়োজন মোতাবেক সেটি গ্রহন করতে পারবে।
প্রয়োজনের বেশি নিতে পারবেনা।
বালেগ ছেলে হলে সেটির সুযোগ নেই।
এক্ষেত্রে ইনকামের আগ পর্যন্ত খেতে পারবে,তবে সেই পরিমান টাকা ছওবায়ের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।
(০৪)
উক্ত টাকা হারাম।
সেগুলো ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।
,
(০৫)
উক্ত নামাজ শুদ্ধ হবে।
তবে অযথা এহেন সন্দেহ ঠিক নয়।
যদি সত্যিকার অর্থেই সন্দেহ হয়,আর কোনো দিকেই প্রবল ধারনা না হয়,তাহলে কম সংখ্যা ধরে তাহা আদায় করে সেজদায়ে সাহু দিবে।
,
(০৬)
এটিও মাকরুহে তাহরিমির অন্তর্ভুক্ত।
ویستحب حلق عانتہ وتنظیف بدنہ بالاغتسال في کل اسبوع مرةً والأفضل یوم الجمعة وجاز في کل خمسة عشرة وکُرِہَ ترکہ وراء الأربعین مجتبی (درمختار) ولا عذر فیما وراء الأربعین ویستحق الوعید الخ (رد المحتار علی الدر المختار: ۹/ ۵۸۳، ط: زکریا)
وتنظیف بدنہ بنحو إزالة الشعر من إبطیہ ویجوز فیہ الحلق والنتف أولی (شامي: ۹/ ۵۸۳)
সারমর্মঃ
নাভির নিচের লোম হলক করা,শরীর পরিস্কার করা প্রত্যেক সপ্তাহে সুন্নাত।
পনেরো দিন পর করাও জায়েজ আছে,তবে চল্লিশ দিনের বেশি দেড়ি করা মাকরুহ।
চল্লিশ দিন অতিক্রম করলে কোনো ওযর নেই,তিরস্কারের উপযুক্ত সেই ব্যাক্তি হবে।
শরীর পরিস্কার দ্বারা বগলের চুল দূর করাও উদ্দেশ্য।