আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
123 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
reshown by
১. অবিবাহিত খালাত/ চাচাত ভাই বোনের মাঝে যদি ছোট বয়সেই হুরমতে মুসাহারাত হয়ে যায়,ধরে নিলাম ১২ এবং ৯ বছর হয়েছে উভয়ের,তবে পরবর্তীতে বিবাহ করতে গেলে তাদের জন্যে কারা কারা হারাম হবে? একেবারে অপরিচিত,নতুন কোন ব্যক্তির সহিত বিবাহ করতে গেলে তারাও কি হারাম হবে?

২. ৩য় লিংগের মানুষদের থেকে কোন হিসেবে নজর হেফাজত করতে হবে? তাদের পুরুষ ধরবো নাকি নারী তা কিভাবে বুঝবো,এবং তাদের থেকে চোখের হিফাযত না করলে কি আমার চোখের যিনার পাপ হবে?

৩. হারাম আছে কিনা বা পরিমাণ সন্দেহাতিত এমন টাকায় কেনা খাবার যদি বাধ্য হয়ে রেগুলার খেতে হয়(নিজের কামাই নেই এবং অন্য ভাবে আহারের সুযোগ ও নেই),সে ক্ষেত্রে আমার দোয়াসমুহ কবুল না হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু,যেহেতু হারাম খাবার খেলে দোয়া কবুল হয়না বলে আমি জানি।

৪. কম্পিউটার গেম কিনে খেলা এবং পরে সেই গেম বিক্রি,গেম ক্রয় করা হয়েছে যে আইডি দিয়ে তা বিক্রয় করা,এগূলো থেকে পাওয়া টাকা কি ব্যবহার জায়েয?(গেমগুলো যৌনতা,সুদ যুয়া মুক্ত,ফুটবল,গাড়ির গেম,অতীত কালে ইতিহাস,যুদ্ধ সম্পর্কিত গেম)

৫. প্রায় নামাজেই ২য়/৪র্থ রাকাতে যদি ২ সিজদাহ হয়েও থাকে কিছু তাশাহহুদ পড়ার পর মনে হয় সিজদাহ একটা হয়েছে,আমি তখনই আবার ২য় সিজদাহ হিসেবে এক সিজদাহ করে আবার বৈঠক শেষ করি,শেষে একটা সাহু সিজদাহ দিলেই কি নামায শুদ্ধ হবে?

৬. নাভীর নিচের পশম ৪০ দিনের আগেই সাফ করেছি কিন্তু হাতের নিচের পশম ৪০ দিন পার হয়ে গিয়েছে,এর ফলে কি  গুনাহগার হবো?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
সেই সময়ে যদি উভয়েই বালেগ বালেগাহ হয়,তাহলে হুরমত হবে। 
নতুবা নয়।
হুরমত হওয়ার ক্ষেত্রে সেই মেয়ের মা সেই ছেলের উপর হারাম হবে।

এক্ষেত্রে সেই ছেলে ঐ মেয়েকেও বিবাহ করতে পারবে,চাইলে সেই মেয়ের বোন বা অন্য যেকোনো মেয়েকে বিবাহ করতে পারবে।

(০২)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,  
হিজড়াদের মধ্যে যারা গায়রে মুশকিল,তাদের মধ্যে যাদের বাহ্যিক আকার আকৃতি এবং শারীরিক গঠন নারীদের মতাে হবে তাদের ক্ষেত্রে নারীদের বিধি-বিধান প্রযােজ্য হবে। পুরুষদেরকে তাদের সাথে পর্দা করতে হবে। নারীদের তাদের সামনে পর্দা করতে হবেনা। এবং তারাও অন্যান্য নারীদের মতাে পর্দাবৃত হয়ে চলাচল করবে।

“আর যারা আকার আকৃতি ও শারীরিক গঠন প্রকৃতির  দিক থেকে পুরুষের সাথে বেশী সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং বাহ্যিক অবয়বও পুরুষের মতােই তাদের সাথে পুরুষদের পর্দার প্রয়ােজন নেই।
নারীদের তাদের সামনে পর্দা করতে হবে।
,
★আর যারা মুশকিল, তাদের সামনে মহিলাদের  পর্দা করতে হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
أن عليا رضي الله عنه : سئل عن المولود لا يدري أرجل أم امرأة فقال علي رضي الله عنه يورث من حيث يبول

হযরত আলী রাঃ কে এমন বাচ্চা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, যার ছেলে বা মেয়ে হওয়া পরিস্কার নয়। তখন হযরত আলী রাঃ বললেন, সে যেভাবে পেশাব করে সে হিসেবে মিরাস পাবে। {সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১২৯৪, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৩০৪০৩, মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১৯২০৪}
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত হাদীসে আছে, জনৈক খুনসা বা হিজড়া ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীদের কাছে আসা-যাওয়া করত। রাসূলের স্ত্রীগণ তাকে আয়াতে বর্ণিত (غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ) এর অন্তর্ভুক্ত মনে করে তার সামনে আগমন করতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন তাকে গৃহে প্রবেশ করতে নিষেধ করে দিলেন। [দেখুন, মুসলিমঃ ২১৮০] 
,
আরো জানুনঃ 

বিস্তারিত জানুনঃ

(০৩)
মেয়ে হলে বা নাবালেগ ছেলে হলে প্রয়োজন মোতাবেক সেটি গ্রহন করতে পারবে। 
প্রয়োজনের বেশি নিতে পারবেনা।
বালেগ ছেলে হলে সেটির সুযোগ নেই।
এক্ষেত্রে ইনকামের আগ পর্যন্ত খেতে পারবে,তবে সেই পরিমান টাকা ছওবায়ের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।    

(০৪)
উক্ত টাকা হারাম।
সেগুলো ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে। 
,
(০৫)
উক্ত নামাজ শুদ্ধ হবে।
তবে অযথা এহেন সন্দেহ ঠিক নয়।
যদি সত্যিকার অর্থেই সন্দেহ হয়,আর কোনো দিকেই প্রবল ধারনা না হয়,তাহলে কম সংখ্যা ধরে তাহা আদায় করে সেজদায়ে সাহু দিবে।
,
(০৬)
এটিও মাকরুহে তাহরিমির অন্তর্ভুক্ত। 

ویستحب حلق عانتہ وتنظیف بدنہ بالاغتسال في کل اسبوع مرةً والأفضل یوم الجمعة وجاز في کل خمسة عشرة وکُرِہَ ترکہ وراء الأربعین مجتبی (درمختار) ولا عذر فیما وراء الأربعین ویستحق الوعید الخ (رد المحتار علی الدر المختار: ۹/ ۵۸۳، ط: زکریا) 
وتنظیف بدنہ بنحو إزالة الشعر من إبطیہ ویجوز فیہ الحلق والنتف أولی (شامي: ۹/ ۵۸۳)
সারমর্মঃ
নাভির নিচের লোম হলক করা,শরীর পরিস্কার করা প্রত্যেক সপ্তাহে সুন্নাত।
পনেরো দিন পর করাও জায়েজ আছে,তবে চল্লিশ দিনের বেশি দেড়ি করা মাকরুহ।
চল্লিশ দিন অতিক্রম করলে কোনো ওযর নেই,তিরস্কারের উপযুক্ত সেই ব্যাক্তি হবে।
শরীর পরিস্কার দ্বারা বগলের চুল দূর করাও উদ্দেশ্য।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...