وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
শরীয়তের বিধান মতে মাথার উপর মাসাহ করা ফরজ।
ইহরামের উপর মাসাহ করলে সেটি যথেষ্ট নয়।
কিতাবুল ফাতওয়া ৪/২৩
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا قُمۡتُمۡ اِلَی الصَّلٰوۃِ فَاغۡسِلُوۡا وُجُوۡہَکُمۡ وَ اَیۡدِیَکُمۡ اِلَی الۡمَرَافِقِ وَ امۡسَحُوۡا بِرُءُوۡسِکُمۡ وَ اَرۡجُلَکُمۡ اِلَی الۡکَعۡبَیۡنِ ؕ
“হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাতগুলো কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং তোমাদের মাথায় মাসেহ কর এবং পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নাও।”[সূরা মায়েদা, আয়াত: ৬]
এখানে সরাসরি মাথার উপর মাসাহ করার কথা বলা হয়েছে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
হিজাবের উপর দিয়ে মাসাহ করা যথেষ্ট হবেনা।
হ্যাঁ যদি এতো পরিমান তার উপরে পানি দেওয়া হয়,যে হিজাব পানি দ্বারা ভিজে পানি ভিতরে চুলে চলে যায়,তাহলে এক চতুর্থাংশ মাথা ভিজে গেলে মাসাহ আদায় হয়ে যাবে।
,
অনুরূপ ভাবে সরাসরি হাত ধৌত না করে জামার হাতার উপর মাসাহ করা যাবেনা।
এতে অযুর ফরজ আদায় হবেনা।
হ্যাঁ যদি এতো পরিমান তার উপরে পানি দেওয়া হয়,যে জামার হাতা পানি দ্বারা ভিজে পানি ভিতরে চলে যায়,এবং হাতের কনুই সহ পরিপূর্ণ ভাবে ভিজে যায়,এক চুল সমপরিমাণও শুকনো না থাকে,তাহলে অযু হবে।
কিন্তু এ ছুরত অনেকটাই অসম্ভব।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেভাবেই হোক পর্দার আড়ালে গিয়ে পূর্ণ অযু করতে হবে।
(তবে কিছু কিছু ইসলামী স্কলারগন হিজাবের উপর দিয়ে মাসাহের অনুমতি প্রদান করে থাকেন,সুতরাং তাদের মতানুসারীগন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারেন।)
বিস্তারিত জানুনঃ