আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
আসসালামু 'আলাইকুম

১. আমাদের বাসার ওয়াশিং মেশিনে সেটিংস এমন করে দেওয়া যায় যে, কাপড় কাচার সময় অটোম্যাটিক ভাবে মোট তিনবার পানি পালটে প্রত্যেকবার পরিষ্কার-নতুন পানি দিয়ে তিন ধাপে ধোয়া হয়। প্রতিবার নতুন পানি নেওয়ার সময় পূর্বের ব্যাবহৃত পানি নিষ্কাশন করে ফেলা হয়। কিন্তু একেকবার পানি ফেলে দিয়ে আলাদা ভাবে তিনবার নিংড়ানো বা শুকানো হয়না। মোট তিনবার স্বাভাবিক ভাবে ধোয়ার পর কাপড় বের করে দেওয়ার আগে একেবারে শুকিয়ে বের করে দেয়। আমি সেই শুকনা কাপড় নিয়ে আবার হাতে নিংড়ে যতটুকু পানি থাকে সেটুকুও চিপে বের করে দিই। এতে কি কাপড়ের পবিত্রতা অর্জিত হবে?

২. হাতে পরিষ্কার করার সময় অনেক ক্ষেত্রে এমন হয় যে, কাপড় তিনবার করে ধুয়ে-নিংড়াতে খুব অলসতা লাগে। সে সময়গুলোতে আমি এমন করি- কাপড় একবার ধুয়ে-নিংড়িয়ে রোদে শুকাতে দিই, পরবর্তী দিন আবারও সেই কাপড় ধুয়ে-নিংড়িয়ে শুকাতে দিই। এভাবে ধাপে ধাপে মোট তিনবার ধুই ও নিংড়াই। এটি কি সহিহ?

৩. অপবিত্র কাপড় পরে পুকুরে পুকুরে গোসল করলে কাপড় পাক হয়ে যায় যতটুকু জানি। তবে এক্ষেত্রে কি গোসল করার সময় অদৃশ্যমান নাপাকি যে যায়গাটুকুতে লেগে ছিলো সে যায়গাটুকু ঘষে ফেলতে হবে? এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।

৪. মুত্রের ছিটা বা বীর্যের সামান্য অংশ কাপড়ে লেগেছে, যে অংশটুকুতে লেগেছে সেটুকু ধুয়ে ফেললেই হবে কি? এক্ষেত্রে কি ওই অংশটুকু ৩ বার করে ধোয়া লাগবে? (এক দিরহাম পরিমাণের কম, বেশি- উভয় ক্ষেত্রের করনীয় জানতে চাই)।

৫. কাপড়ের অপবিত্র বিশেষ অংশটুকু ধুয়ে ফেলার সময় সেই অংশের ধোয়া পানি গড়িয়ে শুকনা অংশে লাগলে কী করণীয়?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
নাপাক কাপড় ওয়াশিং মেশিনে ধুয়েও পাক করা যায়। মূলত কাপড় পাক হওয়া না হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ওয়াশ করার পদ্ধতির উপর। তিনবার যথানিয়মে নাপাক কাপড় মেশিনে ধৌত করলে তা পবিত্র হয়ে যাবে। এর জন্য প্রত্যেকবার নতুন পানি নিতে হবে এবং প্রতিবার ধোয়ার পর তা ফেলে দিতে হবে। 

এর সহজ পদ্ধতি এই যে, কাপড় মেশিনে রেখে পরিমাণ মতো পানি ও সাবান দিয়ে মেশিন চালু করবে। কাপড় ধোয়া হয়ে গেলে সমস্ত পানি ছেড়ে দিবে। অতঃপর আবার নতুন পানি দিয়ে মেশিন চালু করবে এবং ওয়াশ হওয়ার পর পানি ছেড়ে দিবে। এভাবে পরপর তিনবার নতুন পানি দিয়ে কাপড় ধৌত করতে হবে এবং প্রতিবার পানি ছেড়ে দিতে হবে। যখন মনে হবে যে, কাপড়ের ভেতরের নাপাকী বের হয়ে গেছে তখন কাপড় পাক হয়েছে বলে ধরে নিবে। [রদ্দুল মুহতার ১/৩৩০; আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ৩/১৭১; কিতাবুন নাওয়াযিল ৩/৩৯; ফাতাওয়া হাক্কানিয়া ২/৫৮২]
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/6638


(২)
পরপর তিনবার ধৌত করে না নিংড়িয়ে বরং রৌদ্রে শুকিয়ে নিলেও কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।

(৩) অপবিত্র কাপড় পরিধান করে পুকুরে গোসল করলে কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে তিনবার ধৌত করা জরুরী নয়।

الدر المختار مع رد المحتار: (333/1، ط: سعید)
"أن المعتبر فی تطھیر النجاسۃ المرئیۃ زوال عینھا ولو بغسلۃ واحدۃ ولو فی إجانۃ کمامر فلا یشترط فیھا تثلیث غسل ولا عصر، وأن المعتبر غلبۃ الظن فی تطھیر غیر المرئیۃ بلا عدد علی المفتیٰ بہ… ولا شک ان الغسل بالماء الجاری وما فی حکمہ من الغدیر أو الصب الکثیر الذی یذھب بالنجاسۃ اصلاً ویخلفہ غیرہ مراراً بالجریات اقوی من الغسل فی الإجانۃ التی علی خلاف القیاس، لأن النجاسۃ فیھا تلاقی الماء وتسری معہ فی جمیع اجزاء الثوب فیبعد کل البعد التسویۃ بینھما فی اشتراط التثلیث".
(قولہ فی غدیر) ای ماء کثیر لہ حکم الجاری (قولہ أو صب علیہ ماء کثیر) ای بحیث یخرج الماء ویخلفہ غیرہ ثلاثاً لان الجریان بمنزلۃ التکرار والعصر، ھو الصحیح".

(৪) মুত্রের ছিটা বা বীর্যের সামান্য অংশ কাপড়ে লেগেছে, সেটা যদি দৃশ্যমান হয় তাহলে যে অংশটুকুতে লেগেছে সেটুকু ধুয়ে ফেললেই হবে অর্থাৎ নাজাসত দূর করে ফেললেই হবে ।তবে অদৃশ্যমান হলে ঐ অংশটুকুকে ৩ বার করে ধৌত করতে হবে,নতুবা পবিত্র হবে না। হ্যা, পুকুরে একবার ধৌত করলেই হবে।

(৫) কাপড়ের অপবিত্র বিশেষ অংশটুকু ধুয়ে ফেলার সময় সেই অংশের ধোয়া পানি গড়িয়ে শুকনা অংশে লাগলে তাতে কোনো সমস্যা হবে না যদি তাতে নাজাসত দৃশ্যমান না হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...