আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in পবিত্রতা (Purity) by (129 points)
আসসালামু 'আলাইকুম।

১, দুঃখিত হযরত,https://ifatwa.info/33764/ এই মাসয়ালাতে আমি বুঝিনি যে আমার নাপাকি তাহলে পরিষ্কার হবে কিনা। আমার নাপাকি বীর্য (তবে শক্ত লেগে থাকা নয়,  চামড়ার সাথে পাতলা ভাবে)এবং  প্রসাব। উক্ত প্রশ্নে উল্লেখিত পানি দ্বারা তখন নিরুপায় হয়ে নাপাকি পরিষ্কার করেছি,পরে পানি শেষ হয় যায়,অনেক ক্ষণ পর পানি আসার পর ফরজ গোসল করি মাঝে ওই অংগ পাক হয়েছে বলে ধরে নিয়ে কাপড় দিয়ে মুছি।এটা কি ঠিক আছে।

২,আমি যে বাসায় থাকি সেখানে যে ওয়াসার পানি আসে সেসব এ গন্ধ থাকে,মাঝে মাঝে কালো পানি আসে যা রিজার্ভারের ময়লা, তবে অনেক সময় কালো অংশ নিচে থিতিয়ে পড়ে , পূর্বের প্রশ্নের উত্তর অনুযায়ী এই পানি দিয়ে ফরজ গোসল অযু করা যাবে কি?১০০ ম দূরে পাবলিক।টিউবওয়েল আছে,কিন্তু একবারে পানি এনে হয়না,অনেক জটিলতা তৈরি হয়, দেখা গেল গোসলেরমাঝে পানি শেষ হয়ে গেলে সেই অবস্থায় পানি আনতে যেতে হতে পারে।

অযুর কাজ টা না হয় মসজিদে সারা যায়,কিন্তু গোসল,আর রাতের নামাজ মানে তাহাজ্জুদে অযু করার সময়ত মসজিদ খোলা পাবনা,তাহলে এখন করণীয় কি

1 Answer

+1 vote
by (677,120 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
আপনার ঐ অঙ্গ পাক হয়েছে।

(০২)
মৌলিকভাবে পানির তিনটি গুণ রয়েছে। রং, স্বাদ ও গন্ধ। এ তিনটি গুণ পরিবর্তন হওয়া না হওয়ার উপর উক্ত পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা না করা  নির্ভর করে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، وَالْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ الدِّمَشْقِيَّانِ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا رِشْدِينُ، أَنْبَأَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّ الْمَاءَ لاَ يُنَجِّسُهُ شَىْءٌ إِلاَّ مَا غَلَبَ عَلَى رِيحِهِ وَطَعْمِهِ وَلَوْنِهِ " .

আবূ উমামাহ আল-বাহিলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন জিনিস পানিকে অপবিত্র করে না, যতক্ষণ না তার ঘ্রাণে, স্বাদে ও রং-এ পরিবর্তন আসে।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ৫২১)

যদি ঐ পানির তিন গুণের তথা রং, স্বাদ, গন্ধ এর দুইটি গুণ পরিবর্তিত থাকে, তাহলে উক্ত পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যাবে না। 
নতুবা যাবে।

অনেক সময় পানি পানি বাহ্যিকভাবে কালো দেখা গেলেও হাতে বা পাত্রে নিলে তা মোটামোটি পরিষ্কার দেখা যায়। তা থেকে বুঝা যায় যে, দূর থেকে বাহ্যিকভাবে কালো দেখা গেলেও মূলত তার রং পরিবর্তন হয়নি।
প্রশ্নে উল্লেখিত পানিও এমন হতে পারে।


 حلبى كبير،صــــــــــ ৯০
(وتجوز الطهارة لماء…(والماء الذى يختلط به الأشنان أو الصابون أو الزعفران بشرط ان تكون الغلبة للماء من حيث الأجزاء ) (اذا لم يزل عنه إسم الماء) فحكمه (حكم الماء المطلق) يجوز الوضوء به والا فلا ولا عبرة بزوال اللون ولا الطعم ولاالريح…(ذكر فى الملتقط إذا القى الزاج فى الماء حتى اسود ولكن لم تذهب رقته جاز الوضوء به) مع تغير لونه وطعمه وريحه (وكذا العفص) إذا طرح فى الماء فاسود يجوز الوضوء به ما دامت رقته باقية.
সারমর্মঃ
যেই পানির সাথে সাবান,যাফরান ইত্যাদি মিশিয়ে গিয়েছে,সেখানে যদি পানিই বেশি থাকে,পানির নাম যদি দূর হয়ে না যায়,তাহলে সাধারণ পানির ন্যায় তার হুকুম হবে।
তার দ্বারা অযু জায়েজ হবে।
পানির রং,স্বাদ,গন্ধ চলে গেলেও সমস্যা নেই।
যদি পানির সাথে সালফেট,রসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত হয়,কিন্তু পানির প্রবাহমান অবশিষ্ট থাকে,পানির রং,স্বাদ,গন্ধ চলে গেলেও সেই পানি দিয়ে অযু জায়েজ হবে। 

হাশিয়াতুত তাহতাবী নামক কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,

 و " أما إذا بقي على رقته وسيلانه: فإنه " لا يضر " أي لا يمنع جواز الوضوء به " تغير أوصافه كلها بجامد:" خالطه بدون طبخ " كزعفران وفاكهة وورق شجر 

পানি যদি পাতলা এবং বহমানযোগ্য থাকে,তাহলে এই পানি দ্বারা অজু গোসল বৈধ হওয়া নাজায়েয নয় যদি সেই পানির সমস্ত গুনাগুন কোনো জামিদ জিনিষ(পাক করা নয় এমন) দ্বারা পরিবর্তিত হয়ে যায়।যেমন জাফরান, ফলমূল এবং গাছের পাতা ইত্যাদি দ্বারা পরিবর্তিত হয়ে যাওয়া।(হাশিয়াতুত তাহতাবী-১/২৫) 

বিস্তারিত জানুনঃ  

★প্রশ্নে উল্লেখিত উক্ত পানির মধ্যে প্রবাহমান এর শক্তি বিদ্যমান রয়েছে,সেই পানি কিছুক্ষন রাখলে রং নিচে চলে আসে,পানিতে নাপাকির গন্ধ নেই, এবং উক্ত কালো পানি হাতে নিলে পানির কালারের মতোই মনে হয়।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সব কিছু বিবেচনা করে উক্ত পানি দিয়ে অযু গোসল করা যাবে।
তবে দুর্গন্ধ/নাপাকির গন্ধ আসলে অযু গোসল করা যাবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...