আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
338 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ্।

১)ইন শা আল্লাহ নাকি ইং শা আল্লাহ //আল্লাহ নাকি আল্লহ কোনটি সঠিক?লেখা বা বলার সময় কোনটি ইউজ করতে হবে?

২) এই হাদিসটা কি একটু বুঝিয়ে বলবেন??

কেমন পরিক্ষার কথা বলা হয়েছে?মেয়ের ভুল নাকি মেয়ে সন্তান জন্য নানান কিছু?

আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃযে ব্যক্তি তার মেয়ে সন্তানদের জন্য কোনরকম পরীক্ষার সম্মুখীন হয় (বিপদগ্রস্ত হয়) , সে তাদের ব্যাপারে ধৈর্য ধরলে তার জন্য তারা জাহান্নাম হতে আবরণ (প্রতিবন্ধক) হবে।

রেফারেন্সঃজামে আত-তিরমিজি ১৯১৩

৩)ওযু অবস্থায় শরীরের কোনো অঙ্গে বা কাপড়ে নাপাকি ভরলে কি ওযু ভেঙে যাবে?যেমন কোনো মাছ কাটলে বা মুরগি জবেহ করলে তার রক্ত? ফ্রিজ থেকে মাছ বের করে ধোয়ার সময় রক্ত বের হলে?

৪)কতটুকু বমি করলে ওযু ভাঙে?

৫)কতটুকু বমি করলে নামাজ ভাঙে?

৬)আর কতটুকু বমি করলে রোজা ভাঙে জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (715,120 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
"ইংশা আল্লাহ" বলাই বিশুদ্ধ। এবং আল্লাহ হবে।আল্লহ হবে না।

(২)
মেয়ে সন্তান লালন পালন করতে যেয়ে মানুষ আর্থিক অনেক সমস্যায় নিপতিত হয়ে থাকে, সেইজন্য হাদীসে বলা হয়েছে যে, মেয়ে সন্তানকে লালন পালন করলে এবং লালন পালন করতে যেয়ে সকল সমস্যায় ধর্য্য ধারণ করে থাকলে জাহান্নামের আবরণ তুলে দেওয়া হবে।

(৩)
মাছের রক্ত নাপাক নয়। অজু অবস্থায় শরীরে কোনো নাপাকি পড়লে শরীর নাপাক হবে। তবে অজু ভঙ্গ হবে না। বরং নাপাক জিনিষকে দূর করে নিলেই শরীর আবার পবিত্র হয়ে যাবে। অজুকে আবার দোহড়াতে হবে না।

(৪)
মুখ ভরে বমি করলে অজু ভঙ্গ হবে।

(৫)
মুখভরে বমি করলেই কেবল নামায ফাসিদ হবে।তবে যতসামান্য বমি করার পর যদি সেই বমিকে খেয়ে ফেললে নামায ফাসিদ হবে।

(৬)
মুখভরে বমি করলে রোযা ফাসিদ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,120 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...