বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/6490 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তাসবীর বা ফটো হারাম।এ সম্পর্কে অসংখ্য হাদীস রয়েছে।তন্মধ্যে একটি হাদীস উল্লেখ করছি-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর(রা.)থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّ الَّذِينَ يَصْنَعُونَ هَذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ القِيَامَةِ، يُقَالُ لَهُمْ: أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ "
রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,যারা ফটো বানায়, কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দেয়া হবে এবং তাদের উদ্দেশ্যে বলা হবে,যা তোমরা বানিয়েছ তাতে জীবন দাও।[সহীহ বুখারী-৫৯৫১]
সুতরাং
বিশেষ জরুরত ব্যতীত ফটো-ভাস্কর্য তথা স্থীর চিত্র ইসলামে পরিস্কার হারাম।ভিডিও সম্পর্কে মতবিরোধ থাকলেও দ্বীনী জরুরতকে সামনে রেখে সমসাময়িক বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামের অনেকেই এর রুখসত দিয়ে থাকেন।
ইউটিউবে এডসেন্স ইনকাম সম্পর্কে এতটুকু বলা যায় যে,এখানে হালাল-হারাম সকল প্রকার জিনিষের এড শো হতে পারে,এর সম্ভাবনা রয়েছে।সর্বোচ্ছ ৫০০ ক্যাটাগরি পর্যন্ত এডকে ব্লক করা যায়,এর চেয়ে বেশী ব্লক করার অনুমোদন কর্তৃপক্ষ থেকে নেই।বিধায় তাকওয়ার দাবী হলো,এমন ইনকাম থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা।
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইউটিউব যদি তাদের নিয়ম পরিবর্তন করে যেকোনো ভিডিওতে এড দেখায়, তাহলে ভিডিও আপলোড জায়েয হলেও ইনকাম জায়েয হবে না।সতর্কতামূলক এমন ইনকাম থেকে বেচে থাকতে হবে।