আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম।
সম্প্রতি আমার এক দ্বিনী ভাই আমাকে একটা আমলের পরামর্শ দেয়। সে উল্লেখ করে যে, মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নাতে যদি কেও নিয়মিত সূরা ফালাক্ব ও নাস দিয়ে পরে তাহলে তার ঈমান হেফাজতে থাকে এবং ঈমানের সাথে মৃত্যু হবে। আমি তাঁর কাছে জানতে চাই যে, সে এই আমলের তথ্য কোথা থেকে পেয়েছে। যেহেতু সে একজন আলেম না, তাই আমল করার আগে তাঁর কথা আমি যাচাই করে নিতে চাইলাম।
সে রেফারেন্স হিসেবে আনয়ার শাহ কাস্মীরী রহ. এর আমলিয়াতে কাস্মীরী বই থেকে এই আমলের কথা বের করে দেখালো।
আমি জানতে চাচ্ছি, হাদিসে রসুল স. বা তাঁর সাহাবায়ে কেরাম থেকে এমন কোন আমল এবং তার ফাজায়েল বর্ণিত আছে কি না? আনওয়ার শাহ কাস্মীরী সাহেবের লিখনি গ্রহণযোগ্য কি না? উক্ত বই অনুযায়ী আমল করা ঠিক হবে কি না?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


প্রশ্নে উল্লেখিত আমলের কথা কুরআন হাদীসের কোথাও খুজে পাইনি। 
তবে হাদীস শরীফে মাগরীবের পরের দুই রাকা'আতে রাসুলুল্লাহ সাঃ থেকে অনেক বার “কুল ইয়া আয়ু হাল কাফিরূন" এবং “কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ" পড়ার কথা এসেছে।
 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا بَدَلُ بْنُ الْمُحَبَّرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَعْدَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّهُ قَالَ مَا أُحْصِي مَا سَمِعْتُ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلاَةِ الْفَجْرِ بِـ :(قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ) وَ (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ) .

আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মাগরিবের পরের দুই রাকাআতে এবং ফজরের পূর্বের দুই রাকাআতে “কুল ইয়া আয়ু হাল কাফিরূন" এবং “কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ" সূরা দুটি এত সংখ্যকবার পাঠ করতে শুনেছি যে, তা গণনা করে শেষ করতে পারব না।
(সহীহ। ইবনু মাজাহ– (১১৬৬) তিরমিজি ৪৩১)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বইয়ে অনেক বিষয় এমন রয়েছে,যাহা কুরআন হাদীসে নেই।   
তবে সেগুলো কিছু বুযুর্গানে দ্বীনদের পরিক্ষিত আমল।

এসব আমল সম্পর্কে শরীয়তের  নীতিমালা হলো ইবাদতের নিয়তে না করে,এবং জরুরী মনে না করে যদি চিকিৎসার নিয়তে এসব আমল করে,তাহলে কোনো সমস্যা নেই। 
জায়েজ আছে।

আল্লাহ তায়ালা চাহেন তো তার মনের নেক মাকসাদ পূর্ণ হবে,ইনশাআল্লাহ।

তবে এগুলোকে সুন্নাত মনে করা,জরুরি মনে করা,  কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত পদ্ধতি মনে করে তাহা পড়া বিদআত। নতুবা এমনিতে পড়তে কোন সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 174 views
...