ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
প্রশ্নে উল্লেখিত আমলের কথা কুরআন হাদীসের কোথাও খুজে পাইনি।
তবে হাদীস শরীফে মাগরীবের পরের দুই রাকা'আতে রাসুলুল্লাহ সাঃ থেকে অনেক বার “কুল ইয়া আয়ু হাল কাফিরূন" এবং “কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ" পড়ার কথা এসেছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا بَدَلُ بْنُ الْمُحَبَّرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَعْدَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّهُ قَالَ مَا أُحْصِي مَا سَمِعْتُ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلاَةِ الْفَجْرِ بِـ :(قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ) وَ (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ) .
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মাগরিবের পরের দুই রাকাআতে এবং ফজরের পূর্বের দুই রাকাআতে “কুল ইয়া আয়ু হাল কাফিরূন" এবং “কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ" সূরা দুটি এত সংখ্যকবার পাঠ করতে শুনেছি যে, তা গণনা করে শেষ করতে পারব না।
(সহীহ। ইবনু মাজাহ– (১১৬৬) তিরমিজি ৪৩১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বইয়ে অনেক বিষয় এমন রয়েছে,যাহা কুরআন হাদীসে নেই।
তবে সেগুলো কিছু বুযুর্গানে দ্বীনদের পরিক্ষিত আমল।
এসব আমল সম্পর্কে শরীয়তের নীতিমালা হলো ইবাদতের নিয়তে না করে,এবং জরুরী মনে না করে যদি চিকিৎসার নিয়তে এসব আমল করে,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
জায়েজ আছে।
আল্লাহ তায়ালা চাহেন তো তার মনের নেক মাকসাদ পূর্ণ হবে,ইনশাআল্লাহ।
তবে এগুলোকে সুন্নাত মনে করা,জরুরি মনে করা, কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত পদ্ধতি মনে করে তাহা পড়া বিদআত। নতুবা এমনিতে পড়তে কোন সমস্যা নেই।