আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in সাওম (Fasting) by (4 points)
recategorized by
আমি একজন ডাক্তার৷ আমার বয়স ৩১। আপনার কাছে করা প্রশ্নগুলোর বিস্তারিত উত্তর চাই। আমি একজন ডাক্তার৷ আমার বয়স ৩১। আপনার কাছে করা প্রশ্নগুলোর বিস্তারিত উত্তর চাই। আমি একজন ডাক্তার৷ আমার বয়স ৩১। আপনার কাছে করা প্রশ্নগুলোর বিস্তারিত উত্তর চাই। আমি একজন ডাক্তার৷ আমার বয়স ৩১। আপনার কাছে করা প্রশ্নগুলোর বিস্তারিত উত্তর চাই।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০৯)
তাকে শাশুড়ী ডাকার কারনে আপনার ভবিষ্যত শাশুড়ীর উপর এর কোন প্রভাব পড়বে না।


ই'লাউস সুনান ১১/১৩১

أخبرنا أبوحنیفة، عن حماد، عن إبراهیم، قال: إذا قبل الرجل أم أمرأته أو لمسها من شهوةٍ حرمت علیه امرأته، أخرجه محمد في الحجج ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۱)

যার সারমর্ম হলো কেহ যদি তার শাশুড়িকে চুম্বন করে,অথবা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে,তাহলে স্ত্রী তার উপর চিরজীবনের জন্য হারাম হয়ে যাবে।      


★শরীয়তের  বিধান মতে, নিজ কন্যার সাথে যিনা করলে বা কামভাব নিয়ে উত্তেজনার সাথে আবরণ ছাড়া স্পর্শ করলে নিজ স্ত্রী তথা ওই মেয়ের মায়ের সাথে স্পর্শকারীর বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায় এবং স্ত্রী তার জন্যে চিরতরে হারাম হয়ে যায়।
তাই কন্যা বালেগা হবার নিকটবর্তী (সাধারণত কমপক্ষে ৯ বছর) হয়ে গেলে তাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে পিতার এবং ছেলে বালেগ (সাধারণত কমপক্ষে ১২  বছর) হয়ে গেলে তাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে মায়ের খুবই সর্তক থাকা উচিৎ।

★প্রথম মাসআলাটি ছিল পিতা-মাতার দিক থেকে। একই কাজ যদি সন্তানের দিক থেকে হয় তবুও পিতা মাতার বিবাহ ভেঙ্গে পরস্পর চিরতরে হারাম হয়ে যাবে। কাজেই মা-কে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে পুত্র ও বাবাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে কন্যার খুব সতর্কতা আবশ্যক।

★উপরোক্ত দুটি মাসআলার মতই শ্বশুর কর্তৃক পুত্রবধূ এবং শাশুড়ি কর্তৃক জামাইকে স্পর্শ করার বিধান। অর্থাৎ শর্তগুলি পাওয়া গেলে স্বামী স্ত্রী পরস্পর হারাম হয়ে যাবে।

★যদি কোন পুরুষ কোন মহিলার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় অথবা কামভাব নিয়ে আবরণহীন তাকে স্পর্শ করে অথবা কামভাব সহকারে মহিলার লজ্জাস্থানের খানিকটা ভিতরাংশে তাকায় অথবা নারী পুরুষের লজ্জাস্থানে তাকায় তাহলে ঐ পুরুষের জন্য ওই মহিলার মা এবং মেয়ে সম্পূর্ণ হারাম হয়ে যায়। আর যদি সেই ব্যক্তি পূর্ব থেকেই ঐ মহিলার মেয়েকে বিবাহ করে থাকে, তাহলে তার সেই স্ত্রী চিরতরের জন্য হারাম হয়ে যাবে।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
(১১)
হ্যাঁ, চাচাতো বোনের মেয়েকে বিবাহ করা জায়েজ।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা। 

(১২)
হুরমতে মুসাহারাত হবেনা। 
এতে কোনো সমস্যা নেই।         

(১৩)
এতে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।    
আপন খালার যৌনাঙ্গ দেখে উত্তেজনা হলে কিংবা লজ্জাস্থান ইচ্ছাকৃতভাবে দেখে উত্তেজনা সৃষ্টি করলে,তার মেয়ের সাথে আপনার বিবাহ হারাম হবে। 
তবে আপনার খালা আর খালুর বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবেনা।  

(১৪)
সেই খালার মেয়ে হারাম হবে।

(১৫)
প্রশ্নের তথ্য ঠিক থাকলে জবাব পরিবর্তন হবেনা।

(১৬)
যিহার,লিআন,নিজ বালেগাহ কন্যাকে উত্তেজনা বশত স্পর্শ ইত্যাদি।     

(১৭)
এতে তালাক হবেনা।
আপনি নিশ্চিন্তে বিবাহ করতে পারেন।  

(১৮) 
না,এভাবে শর্তযুক্ত তালাক হয়না।

(১৯)
নিজের তৈরি করা সম্পর্ক কাহারো সাথে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।   

(২০)
না,এতে হুরমতে মুসাহারাত হবেনা।
তবে সেই গার্লফ্রেন্ড এর সাথে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হওয়ার মতো কিছু করলে তার মা আপনার জন্য হারাম হবে।
অর্থাৎ তার মাকে কোনো ভাবে বিবাহ করা আপনার জন্য হারাম হবে।

(২১)
প্রশ্নটি স্পষ্ট নয়।      


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...