আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম,

১. নামায সুন্দর করা বিষয়ক একটা বই কিনার ইচ্ছা ছিলো। যার কারণে আমাকে টিচারের কাছে পড়তে যেতে যে যাতায়াত ভাড়া দেওয়া হতো তা আমি জমিয়ে রাখতাম। প্রথমে আমার ভালো লেগেছিলো যে একটা ভালো কাজ করার জন্য আমি কষ্ট করছি,আলহামদুলিল্লাহ।
কিন্তু আমি পরে যখন বইটা কিনে ফেললাম তখন মনে হলো যে এই টাকাটা আমার মা যাতায়াত ভাড়া হিসেবে দিয়েছিলো। আমি হয়ত আমার মায়ের সাথে অন্যায় করেছি
কারণ-
-->আমার মা যে কারণে আমাকে এই টাকা দিয়েছিলো সে খাতে আমি এই টাকা ব্যয় করিনি।
-->আর দ্বিতীয়ত টিচারের বাসা দূরে হওয়ায় আমার হেটে যেতে অনেক সময় লাগে যার কারণে টিচারের শুরুর দিকের কিছু পড়া আমার মিস হয়ে যায়।

এটা নিয়ে আমার প্রচুর ওয়াসওয়াসা হয় কারণ বইটা নামাজ সুন্দর করা বিষয়ক তাই মনে হয় বইয়ের কথা অনুসারে যদি আমি নামায সুন্দর করি তারপর যদি আমি যেভাবে বইটা কিনেছি তার কারণে আল্লাহ আমাকে সেই ফজিলত না দেয়!আর তাই মাঝে মধ্যে সালাতে মনে হয় বইয়ের কথা অনুসারে যেভাবে সালাতে মনোযোগ আবার কথা বলেছিলো তা এখন না করি।বা অন্য কোনো সুন্নত বইয়ের কথা অনুসারে না করি।

এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি?
আমি আমার মাকে বলেছি যে আমি একটা বই যাতায়াতের ভাড়া জমিয়ে কিনেছি।আর আম্মু আমাকে বলল তিনি রাগ করেন নাই।
তারপরও আমার ওয়াসওয়াসা যাচ্ছে নাহ।
কারণ আমার মনে হয় যদি আল্লাহ আমার এই ভাবে কিনা বই পছন্দ না করেন যার কারণে আমার নামাজ সুন্দর করার ফজিলত নাহ পাই।

এখন আমার মনে হয় যেহেতু বইয়ের দাম তেমন বেশি নাহ আমি ইনশাআল্লাহ পরে একটা নতুন বই কিনে আমার আগের কিনা বইটি অন্যকে দিয়ে দি তাহলে হয়ত আমার ওয়াসওয়াসার সমস্যা দূর হবে।
কিন্তু আবার মনে হয় যদি আল্লাহর কাছে আমার কষ্ট করে বইটা কিনা বেশি পছন্দ হয় তাহলে তোহ আবার নতুন আরেকটা বই কিনা ভুল সিদ্ধান্ত হবে।

আমার সমস্যাটা হয়ত ছোট কিন্তু নামাজ বিষয়ক হওয়ায় বেশি ওয়াসওয়াসা হচ্ছে।

২. আমার আরেকটা সমস্যা হচ্ছে যে যখন কোনো মুফতিকে কোনো সমস্যার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করি তখন মনে হয় "যদি তার দেয়া ফতোয়া ভুল হয় তাহলে তোহ আল্লাহ আমাকে সেই অনুযায়ী নেয়ামত দিবে নাহ।"
কারণ মাজহাব এক হওয়া সত্বেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে মুফতিদের মাঝে মতপার্থক্য দেখা দেয়।যেমন- মোবাইলে কুরআন তেলাওয়াত শুনায় সওয়াব হবে কিনা?
বা অন্য কোবো ব্যাক্তিগত সমস্যার ক্ষেত্রে।

(আমার মনে হয় আমার এই অতিরিক্ত ওয়াসওয়াসার কারণ আমার ইসলামিক বিষয়ে জ্ঞান কম থাকা।আপনার পরামর্শ কামনা করছি।)

1 Answer

0 votes
by (712,760 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি ওয়াসওয়াসাকে জায়গা দিবেন না।বরং ওয়াসওয়াসা আসলে সাথে সাথেই আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার করে নিবেন। আপনার বই ক্রয় ঠিক আছে। এমনকি কষ্ট করে ক্রয় করার জন্য আপনি অতিরিক্ত সওয়াবও পেতে পারেন। যখন কোনো মুফতি সাহেব আপনাকে কোনো ফাতাওয়া দিবেন, তখন সাথে সাথেই আপনি উক্ত ফাতাওয়াকে নির্ভুল হিসেবে ধরে নিবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 142 views
...