আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
602 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
২ ।পাত্রের এর আগেও বিয়ে হয়েছিল।তবে বিয়ের কিছুদিন পরেই কারনবশত ডিভোর্স দিতে হয়।পাত্রের শুধু মা আছে।আপাতত তার মা তার মেয়ের সাথে আছেন।পাত্র একজন ইঞ্জিনিয়ার। তাই তাকে কন্সট্রাকশন সাইটে থাকতে হয় বিধায় সব সময় মায়ের দেখা শুনা করতে পারে না।এমতাবস্থায় কেমন পাত্রী বিয়ে করা তার জন্য ভাল হবে জানতে চাই।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم 
,
(০১) শরীয়তের বিধান অনুযায়ী পাত্রী হিসেবে মুসলমান পুলিশ কনস্টেবল কে বিবাহ করা জায়েজ আছে। 
তবে রাসুল সাঃ যেহেতু দ্বীনদার পাত্রী বিবাহ করতে আদেশ করেছেন,আর মহিলা পুলিশরা যেহেতু পুরোপুরি ভাবে শরয়ী পর্দা করেনা,(তারা হাত চেহারা খোলা রাখে)
অনেকেই তো টাইট ফিট পোশাক পরিধান করে,যার দ্বারা হাজারো যুবকদের গুনাহে কবীরা হয়। শরীয়তের পরিভাষায় এটা  দৃষ্টির যেনা)
তাদেরকে আইনগত ভাবেই এমন কাজ করতে হয়,এমন পোশাক পরিধান করতে হয়।  
,
তাই তাদেরকে বিবাহ না করে দ্বীনদার মহিলাকে বিবাহ করা উচিত।
এটাই উত্তম।

(০২) পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দ্বীনদারী আগে দরকার। ইহুদিরা দেখে সম্পদ , খ্রিস্টানরা দেখে সৌন্দর্য আর মুসলমানদের দেখা উচিৎ দ্বীনদারী। ইসলামে মেয়ে হয়ে জন্ম নেয়া আজাব বা মুছিবত নয়, আল্লাহর রহমত। দ্বীনদারী অনুযায়ী না চলার কারণে আমাদের কাছে /পরিবারের কাছে মেয়ে হওয়া বোঝা মনে হয়।

হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ নারীকে চার কারণে বিবাহ করা হয়।
(১) তার ধন-সম্পদের কারণে
(২) তার বংশ মর্যাদার কারণে
(৩) তার সৌন্দর্যের কারণে এবং
(৪) তার দ্বীনদারীর কারণে।
সুতরাং তুমি দ্বীনদার বিবি লাভ করে কামিয়াব হও। তোমাদের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক অর্থাৎ তুমি ধ্বংস হও (যদি দ্বীনদার ব্যতীত অন্য নারী চাও)। (বুখারী-মুসলিম, মিশকাত-২৬৭

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ গোটা দুনিয়াই হলো সম্পদ, আর দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সম্পদ হল নেককার বিবি। (মুসলিম শরীফ, মিশকাত- ২৬৭)

আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) ইরশাদ করেছেনঃ
" যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে তার আভিজাত্যের কারণে বিবাহ করবে আল্লাহ তা’আলা তার অপমান ও অপদস্থতা অধিক হারে বৃদ্ধি করবেন। আর যে ব্যক্তি তার ধন-সম্পদের কারণে তাকে বিবাহ করবে, আল্লাহ পাক তার দারিদ্রতাকে (দিনে দিনে) বৃদ্ধি করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি তাকে বিবাহ করবে তার বংশ কৌলীন্য দেখে, আল্লাহ পাক তার তুচ্ছতা ও হেয়তা বাড়িয়ে দেবেন। আর যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে শুধুমাত্র এই জন্য বিবাহ করে যে, সে তার চক্ষুকে অবনত রাখবে এবং লজ্জা স্থানকে হেফাজত করবে অথবা (আত্মীয়দের মধ্যে হলে) আত্মীয়তা রক্ষা করবে, তাহলে আল্লাহ সেই নারী-পুরুষ উভয়ের জীবনেই বরকত দান করবেন। "।
(তাবারানী)

পাত্র-পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে শরী‘আতের দৃষ্টিতে লক্ষণীয় বুনিয়াদী বিষয় হল দ্বীনদারী। এরপর সৌন্দর্য, ধন-সম্পদ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় আনা যায়। এই তিন জিনিষ বা এর কোনটি থাকলে ভাল, না থাকলে কোন ক্ষতি নেই। কেননা, এগুলি ক্ষণস্থায়ী। আজ আছে, কাল নাও থাকতে পারে। পক্ষান্তরে দ্বীনদারী হচ্ছে মানুষের প্রকৃত ও স্থায়ী সম্পদ। যার মধ্যে দ্বীনদারী নেই তার মধ্যে বাকি তিনটি জিনিষ পূর্ণমাত্রায় থাকলেও বলা যায় যে, তার কিছুই নেই। আল্লাহ ও তার রাসূলের তরীকা অনুযায়ী জীবন যাপনকারী সর্বাধিক পছন্দনীয়।
(মিশকাত শরীফ- ২/২৬৭)

তাছাড়া পাত্রের মধ্যে দ্বীনদারী না থাকলে তার দ্বারা সঠিকভাবে স্ত্রীর হক আদায়ের আশা করা যায় না। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যে, যাদের মধ্যে দ্বীনদারীর অভাব রয়েছে তারা স্ত্রীর কোন হক আদায়ের ব্যাপারে পরোয়া করে না। ছেলের মধ্যে যত যোগ্যতাই থাকুক না কেন, দ্বীনদার না হলে তার সাথে মেয়ের বিবাহ দেয়া উচিৎ নয়। তেমনিভাবে পাত্রীর মধ্যে দ্বীনদারী না থাকলে তার দ্বারা স্বামীর হক আদায়ের আশা করা যায় না, চাই অন্য দিক যতই উন্নত থাকুক না কেন।
,
★★সুতরাং আপনি একজন এমন দ্বীনদার  মহিলাকে বিবাহ করুন,যে সর্বদা আপনার মায়ের খেদমত করবে।
আপনার মায়ের দেখভাল করতে পারে,তাকেই বিবাহ করুন।
এক্ষেত্রে মেয়ের পরিবার সম্পর্কে আগে খোজ খবর নিবেন।
যে আসলেই সে তার নিজ বাব মার খেদমত করে কিনা।
এবং তাকে আগেই জানিয়ে দিবেন যে সব সময় আপনার মার খেদমত, দেখা শোনা করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...