জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো কাপড়ে নাপাকি লাগলে তিনবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং প্রত্যেকবার ভালো করে চাপ দিয়ে নিংড়াতে হবে। ভালো করে নিংড়িয়ে ধোয়ার পরও যদি দুর্গন্ধ থেকে যায় কিংবা দাগ থাকে তাতে কোনো দোষ নেই। এতেই চাদর কিংবা কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।
(বেহেশতি জিওর, ২/৭৭)
হাদিস শরিফে এসেছে,
আসমা রাযি. থেকে বর্ণিত,
أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ -فِي دَمِ الْحَيْضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ-: «تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ
হায়িযের রক্ত কাপড়ে লেগে যাওয়া প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘পানি দিয়ে ঘষা দিবে তারপর পানি দ্বারা ভালোভাবে ধৌত করবে। অতঃপর সলাত আদায় করবে।’ (বুখারী ২২৭,৩০৭)
"و إن کانت شیئًا لایزول أثرہ إلا بمشقة بأن یحتاج في أزالته إلی شيء آخر سوی الماء کالصابون لایکلف بإزالته ... و یشترط العصر في کل مرة ویبالغ في المرة الثالثة."
(الباب السابع في النجاسة وأحکامها، ج:1، ص:96، ط:مكتبه رشيديه)
সারমর্মঃ
যদি বস্তুটি এমন হয়,যে নাপাকির চিন্হ কষ্ট ব্যাতিত দূর হয়না,যেমন সেটি দূর করতে অন্য বস্তু (যেমন সাবান) এর প্রয়োজন হয়,তাহলে সেটি দূর করার জন্য চেষ্টা করতে হবেনা।
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত কাপড়কে যদি শরীয়তের নীতি মেনে তিনবার ধোয়া হয়,তাহলে উক্ত কাপড় পাক হবে।
দাগ থাকায় কোনো সমস্যা হবেনা।
যদি সেটি নাপাকির দাগও হয়,তবুও কোনো সমস্যা হবেনা।
,
(০২)
এক্ষেত্রে উক্ত কাপড় পুরোটাই তিনবার শরীয়তের নীতি মেনে ধৌত করতে হবে।