বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://www.ifatwa.info/5822 নং
ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইবনে
আবেদীন শামী রাহ কাযা নামায পড়ার নিয়ম এভাবে দিয়েছেন যে,উমুরী কাযা
নামায আদায় করতে হলে প্রথমে কোন ওয়াক্তের কতটা নামায কাযা হয়েছে তা নির্ণয় করবে।যদি
সেটা নির্ণয় করা সম্ভব না হয়। তাহলে অনুমান করে নিবে। অনুমান করে কোন ওয়াক্তের
কতটি নামায কাযা হয়েছে সেটা নির্ধারণ করে নিবে। তারপর ধারাবাহিকভাবে একে একে
সবগুলোকে
আদায়
করে নিবে।
যেমন-
ফজরের
নামায সর্বমোট ১০০ ওয়াক্তের কাযা হয়েছে। তখন কাযা নামায আদায় করার সময় এভাবে নিয়ত
করবে যে, আমার
জিম্মায় যত ফজরের নামায কাযা রয়েছে, সে অনাদায়কৃত নামায সমূহের মধ্য থেকে প্রথম ফজরের নামাযকে
এখন কাযা আদায় করছি” এমন নিয়তে নামায আদায় করবে।এভাবে হিসেবে করে পড়তে থাকবে।
প্রতিবার অনাদায়কৃত প্রথম ফজরের নামায বলার দ্বারা তার যিম্মায় যতগুলো নামায বাকি
ছিলো, সেগুলোর
প্রথম নামাযের নিয়ত হচ্ছে, তাই এক্ষেত্রে নিয়তটি নির্দিষ্ট নামাযেরই হচ্ছে।ঠিক
উল্টোভাবেও করা যায়। অর্থাৎ যত নামায কাযা আছে তার সর্বশেষ অনাদায়কৃত কাযার নিয়ত
করছি। এভাবেও পূর্বোক্ত পদ্ধতিতে বাকি নামাযের কাযা আদায় করা যাবে।(রদ্দুল
মুহতার-২/৫৩৮)
এ
ধারাবাহিকতায় বাকি নামায সমূহের ক্বাযা আদায় করবে।
যোহর, আছর, মাগরিব, ইশা
এবং সাথে বিতিরের নামাযকে ও এভাবেই আদায় করে নিবে।বিতিরের নামাযের ক্বাযা সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/629
উমরী
কাযা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/968
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে এভাবে নিয়ত করলেই হবে
যে, (যেমনঃ অমুক দিনের ফজরের ক্বাজা নামাজ আদায়
করছি)। উমরী কাযা বলার প্রয়োজন নেই। কারণ উমরী কাযা বলা হয় যার জীবনে অনেক অনেক
নামাজ কাযা হয়ে গেছে। যার হিসাব করা মুশকিল। আর আপনারটা তো এমন নয়।