আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (7 points)
Assalamu Alaikum.

1. Amar maa er kichu gold jodi unar 2 chele ke oder biyer shomoy dewar intention kore separately rekhe dei, tahole ki ogular zakat dite hobe?
2. Unar chele der age 18+. Oderke ki janate hobe je oder jonno gold gula rakha hoyeche naki na bole rakha jabe?

3. Huband jodi wife ke kichu gold rakhte dei ar ei bepare  bhule jai onek bochor dhore. Tahole ei gold er zakat ki wife pay korbe?

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

যাকাত সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿خُذۡ مِنۡ أَمۡوَٰلِهِمۡ صَدَقَةٗ تُطَهِّرُهُمۡ وَتُزَكِّيهِم بِهَا وَصَلِّ عَلَيۡهِمۡۖ إِنَّ صَلَوٰتَكَ سَكَنٞ لَّهُمۡۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ ١٠٣﴾ [التوبة: 103]

তাদের সম্পদ থেকে সদকা নাও, এর মাধ্যমে তাদেরকে তুমি পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করবে এবং তাদের জন্য দো‘আ কর, নিশ্চয় তোমার দো‘আ তাদের জন্য প্রশান্তিদায়ক”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৩]

 

অপর আয়াতে তিনি বলেন:

﴿وَٱلَّذِينَ يَكۡنِزُونَ ٱلذَّهَبَ وَٱلۡفِضَّةَ وَلَا يُنفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ فَبَشِّرۡهُم بِعَذَابٍ أَلِيمٖ ٣٤﴾ [التوبة:34]

যারা সোনা ও রূপা পুঞ্জীভূত করে রাখে এবং তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে না, তুমি তাদেরকে বেদনাদায়ক আযাবের সুসংবাদ দাও”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৩৪]

 

অপর আয়াতে তিনি বলেন:

﴿وَلَا يَحۡسَبَنَّ ٱلَّذِينَ يَبۡخَلُونَ بِمَآ ءَاتَىٰهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِۦ هُوَ خَيۡرٗا لَّهُمۖ بَلۡ هُوَ شَرّٞ لَّهُمۡۖ سَيُطَوَّقُونَ مَا بَخِلُواْ بِهِۦ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِۗ ١٨٠﴾ [آل عمران:180]

আল্লাহ যাদেরকে তার অনুগ্রহ থেকে যা দান করেছেন তা নিয়ে যারা কৃপণতা করে তারা যেন ধারণা না করে যে, তা তাদের জন্য কল্যাণকর, বরং তা তাদের জন্য অকল্যাণকর, যা নিয়ে তারা কৃপণতা করেছিল, কিয়ামত দিবসে তা দিয়ে তাদের বেড়ি পরানো হবে”। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৮]

,

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী স্বর্ণের যাকাত যখন আদায় করবেন, তখনকার বাজারদর অনুযায়ী যাকাত আদায় করতে হবে। সুতরাং যাকাত বর্তমান বাজার মূল্য হিসাবেই আদায় করতে হবে। 

 

কেননা যাকাত ওয়াজিব হচ্ছে স্বর্ণের উপর। আপনার কাছে যে স্বর্ণ আছে তার ২.৫% যাকাত দিতে হবে। সুতরাং যাকাত আদায়ের সময় স্বর্ণ দিবেন বা তখন স্বর্ণের যে মূল্য হয় তা আদায় করবেন।

(আলজামেউস সগীর পৃ. ১৫; বাদায়েউস সানায়ে ২/১১১; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/১৬৭; রদ্দুল মুহতার ২/২৮৬)

 

যাকাত দেওয়ার নিয়ম: ব্যক্তির মালিকানায় যে ক্যারেট স্বর্ণ রয়েছে সেই ক্যারেটের একগ্রাম স্বর্ণের বাজার দর জানবে প্রথম। যদি একাধিক ক্যারেটের স্বর্ণ থাকে, যে ক্যারেট স্বর্ণ বেশি আছে তার বাজার দর জানবে, অতঃপর একগ্রাম স্বর্ণের মূল্যকে তার নিকট যে ক’গ্রাম স্বর্ণ রয়েছে তার সংখ্যা দিয়ে পূরণ দিবে। এভাবে স্বর্ণের গ্রামকে মুদ্রায় পরিণত করবে, অতঃপর ক্যালকুলেটর দিয়ে মোট মূল্য থেকে ২.৫% বের করবে, যে অংক আসবে তাই স্বর্ণের যাকাত।

 

উদাহরণ: কেউ ২১ ক্যারেট ১০০ গ্রাম স্বর্ণের মালিক, সে তার যাকাত বের করার জন্য প্রথম ২১ ক্যারেট স্বর্ণের বাজার দর জানবে, যদি একগ্রাম স্বর্ণের দাম হয় ১০,০০০ টাকা, যাকাতের হিসেব হবে নিম্নরূপ: ১০০ (গ্রাম-স্বর্ণ)* ১০,০০০ (টাকা, যা একগ্রাম স্বর্ণের মূল্য)* ২.৫% (যাকাত) অর্থাৎ ১০০* ১০,০০০* ২.৫% = ২৫০০০ টাকা।

 

 স্বর্ণের বর্তমান মূল্য কত টাকা,সেই হিসেব করে যাকাত আদায় করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে আপনার স্বর্ণ কত ক্যারেটের,সেটিও লক্ষ্যনীয়। 

 

যাকাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ 

https://ifatwa.info/5680

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


১. যেহেতু প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে এখনো স্বর্ণগুলো আপনার মা দুই ছেলেকে মালিক বানিয়ে দেয়নি। তাই এখনো এগুলো আপনার মার মালিকানায় রয়েছে। সুতরাং উক্ত স্বর্ণগুলোর যাকাত আপনার মাকেই দিতে হবে।

২. তাদেরকে জানিয়ে স্বর্ণগুলো রাখা জরুরী নয়। তবে যদি স্বর্ণগুলো ছেলেদেরকে একেবারে মালিক বানিয়ে দিয়ে তাদের জন্যে রাখা হলে তখন ছেলেদেরকে জানিয়ে দেওয়াই উত্তম হবে। কারণ, এগুলোর মালিক এখন ছেলেরা। তারা চাইলে তা বিক্রি ইত্যাদি করতে পারবে। তখন মার আর নিষেধ করতে পারবে না। আবার উক্ত স্বর্ণের উপর যাকাত আসলে তখন ছেলেদেরকেই আদায় করতে হবে।

৩. উক্ত স্বর্ণের মালিক যেহেতু স্বামী। তাই তাকেই যাকাত আদায় করতে হবে। তবে যদি স্ত্রী স্বামীর পক্ষ হতে যাকাত দিয়ে দেয় তাহলে তা আদায় হয়ে যাবে। উল্লেখ্য যে, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে স্ত্রীর জন্য করণীয় হলো, উক্ত স্বর্ণের ব্যাপারে স্বামীকে জানিয়ে দেওয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...