আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
93 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।

 ১। আমি অনলাইন এ বিজনেস করি, কিভাবে বিজনেস করলে আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবো ও এই খান থেকে সোওয়ার অর্জন করতে পারবো??
২। আমি খুচরার পাশাপাশি পাইকারি ও সেল করি কিন্তু আমার কাছে পাইকারি কোন মাল নেই যার কাছ থেকে আমি মাল আনি ওনার সাথে কথা বলেছি যে পাইকারি কাস্টমার আসলে ওনার থেকে নিয়ে সেল করবো?? তাহলে এই কাজ টা কি কাস্টমার এর সাথে প্রতারণা হবে?? যেহেতু আমি কাস্টমার দের বলেছি যে আমি পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে থাকি।??

 * আর অনেক মাল আমার কাছে থাকে না তখন বলি আছে দেওয়া যাবে আপনাকে তখন আমি ওই মাল যার কাছ থেকে মাল আনি তার কাছ থেকে এনে দেই এতে কি আমি গুনাহগার হবো??
৩। আমি নতুন একটা প্রডাক্ট এনেছি অন্য এক ভাই এর কাছ থেকে আমি ওনাকে বলেছি যে আমি ওনার থেকেই মাল নিবো কিন্তু আমি অন্য জায়গায় কমে পাচ্ছি এখন আমি ওই ভাই এর কাছ থেকে মাফ চেয়ে  অন্য কারো কাছ থেকে নিলে কি গুনাহগার হবো কি??
৪। ফরজ গোসল এ নিয়ত করে অজু করার পর যদি লজ্জা স্থান এ যদি হাত লাগে তাহলে কি ফরজ গোসল হবে না??

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই.
আপনি প্রথমে নিয়ত শুদ্ধ করবেন,যে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই আপনার ব্যবসার লক্ষ্য। 
যাতে হালাল রিযিক উপার্জন করে তার ইবাদত সঠিক ভাবে করা যায়।
,
আপনি ব্যবসার মধ্যে মিথ্যা/ধোকার আশ্রয় নিবেননা,ক্রেতা বিক্রেতা উভয়েই সন্তুষ্ট হয়,এভাবেই ব্যবসা করবেন।
জুলুম করা যাবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

আরো জানুনঃ 

(০২)
না,এটি ধোকা হবেনা।
তবে বিক্রেতাকে যেনো ধোকা না দেওয়া হয়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
,
★আপনার কাছে উক্ত প্রডাক্ট না থাকার পরেও থাকার কথা বলা মিথ্যা। 
এতে মিথ্যা কথা বলার গুনাহ হবে।
তবে এ পদ্ধতিতে উপার্জন নাজায়েজ হবেনা।
,
আপনি এভাবে বলবেন যে উক্ত প্রডাক্ট আমি দিতে পারবো।
,
(০৩)
এতে সেই ভাইয়ের সাথে মিথ্যা কথা হবে।
তবে আপনার ব্যবসায় এ কারনে শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো সমস্যা হবেনা। 
,
(০৪)
না,এতে কোনো সমস্যা নেই।   

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا مُلَازِمُ بْنُ عَمْرٍو الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ بَدْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَدِمْنَا عَلَى نَبِيِّ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَجَاءَ رَجُلٌ كَأَنَّهُ بَدَوِيٌّ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللهِ مَا تَرَى فِي مَسِّ الرَّجُلِ ذَكَرَهُ بَعْدَ مَا يَتَوَضَّأُ فَقَالَ " هَلْ هُوَ إِلَّا مُضْغَةٌ مِنْهُ " . أَوْ قَالَ - " بَضْعَةٌ مِنْهُ "

ক্বায়িস ইবনু তালক থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন সম্ভাব্য এক বেদুইন ব্যক্তি এসে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রসূল! কোন ব্যক্তি অযু করার পর নিজ পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করলে তার ব্যাপারে আপনার অভিমত কি? তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ওটা তো তার শরীরের গোশতের একটি টুকরা বা অংশ মাত্র।
(তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ যৌনাঙ্গ স্পর্শ করলে উযু করতে হবে না হাঃ ৮০),আবু দাউদ ১৮২. নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে উযু না করা, হাঃ ১৬৫), এবং নাসায়ী ‘সুনানুল কুবরা’ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, হাঃ ১৬০)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...