ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
পাওয়া তথ্য মোতাবেক উক্ত কিতাব নির্ভরযোগ্য।
এতে থাকা ফতওয়া গুলোর অনুসরণ করা যাবে।
(এটি হানাফি মাযহাব অনুসারীদের জন্য লিখিত ফাতওয়ার কিতাব ।)
(০২)
ফাতাওয়ার কিতাবে আছেঃ
قولہ کدم وقیح اشارۃ الی ان ماء الصدید ناقض کماء الثدی والسرۃ والاذن اذا کان لمرض علی الصحیح ۔(حاشیۃ الطحاوی علی مراقی الفلاح ص ۴۸)
সারমর্মঃ
ফোড়া বা ক্ষতস্থানের রস,অযু ভঙ্গকারী।
যেমন স্তন,নাভী,কান থেকে যদি অসুস্থতার কারনে পানি বের হয়,সেটিও নাপাক।
★সুতরাং ব্যাথা ছাড়া কান থেকে যদি দুর্গন্ধযুক্ত পানি বের হয়,তাহলে তাহা ভিতরে ক্ষতস্থান থাকার আলামত।
বিধায় সেটি নাপাক।
ব্যাথা হয় কিন্তু পানিতে দুর্গন্ধ নাই,এমনটি সাধারণত হয়না।
হলে সেটিকেও সতর্কতামূলক নাপাক ধরে নিতে হবে।
কেননা ব্যথা অনেক সময়েই ভিতরে ক্ষতস্থান থাকার পরিচয় বহন করে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে ময়লা বের হয়েছে,এতে কোনো সমস্যা হবেনা।
এটি নাপাক নয়।
,
যদি পানি বের হতো,তবেই সেই পাক নাপাক হওয়া নিয়ে মাসয়ালা হতো।
বিস্তারিত জানুনঃ
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ "
আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)