আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
181 views
in সালাত(Prayer) by (115 points)
১/ফজর এর ওয়াক্ত শেষ হয় ৬.২১ এ কিন্তু নামায পড়ে উঠত উঠতে কেউ যদি দেখে ৬.২৩ হয়ে গিয়েছে।তাহলে কি কাযা পড়তে হবে?

২/ শরীরে যাদুর জ্বিন থাকলে সে চায় নানাভাবে খারাপ পথে নিতে।এমন ও হয় নিজের উপর কনট্রোল হারিয়ে ফেলে।তখন যদি কোনো গুনাহ করে ফেলে এইটার জন্য তার কি শাস্তি হবে?
(যাদুগ্রস্থ মানুষ টার জন্য দুয়া করিয়েন)

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

তিন সময়ে নামাজ পড়তে হাদীস শরীফে নিষেধ করা হয়েছে। হাদীসে এসেছে-

عَنْ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ الْجُهَنِيَّ، يَقُولُ ثَلاَثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ أَوْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتَّى تَمِيلَ وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ .

উকবা ইবনু আমির জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনটি সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সালাত আদায় করতে ও মৃত ব্যাক্তিকে কবরস্থ করতে নিষেধ করেছেন (১) যখন সুর্য আলোকিত হয়ে উদয় হয়, যাবৎ না ঊর্ধাকাশে উঠে; (২) যখন দ্বিপ্রহর হয়, যাবৎ না সুর্য হেলে পড়ে আর (৩) যখন সুর্য অস্ত যাওয়ার উপক্রম হয়, যাবৎ না সম্পূর্ণ অস্ত যায়।( সুনান আন-নাসায়ী ,৫৬১)

অন্য এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ الصُّنَابِحِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الشَّمْسُ تَطْلُعُ وَمَعَهَا قَرْنُ الشَّيْطَانِ فَإِذَا ارْتَفَعَتْ فَارَقَهَا فَإِذَا اسْتَوَتْ قَارَنَهَا فَإِذَا زَالَتْ فَارَقَهَا فَإِذَا دَنَتْ لِلْغُرُوبِ قَارَنَهَا فَإِذَا غَرَبَتْ فَارَقَهَا " . وَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الصَّلاَةِ فِي تِلْكَ السَّاعَاتِ .

আবদুল্লাহ সুনাবিহী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সুর্য শয়তানের দুই শিঙের মধ্য দিয়ে উদিত হয়। যখন সুর্য উপরে উঠে, তখন শয়তান তা থেকে দুরে সরে যায়। আবার যখন সুর্য মাথার উপর আসে, তখন শয়তান এসে মিলিত হয়। আবার ঢলে পড়লে পৃথক হয়ে যায়। আবার যখন সুর্য অস্তগমনের নিকটবর্তী হয়, তখন শয়তান মিলিত হয় এবং যখন সুর্য অস্তমিত হয়, তখন শয়তান সরে যায়। এ জন্যই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ তিন সময় সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন ( সুনান আন-নাসায়ী ,৫৬০)

 

*তাশাহুদ পরিমান বৈঠক করার পর হুদুস অথবা নামাজ ভাঙ্গার কোনো কারণ সংঘটিত হলে উক্ত নামাজ সহীহ হয়ে যাবে।

হাদীস শরীফে এসেছে-

عن عليِّ بن أبي طالب - رضي الله عنه - إذا جلسَ قدرَ التشهدِ ثم أحدثَ تمَّتْ صلاتُه.

যদি তাশাহহুদ পরিমাণ বৈঠক করে অতঃপর কোন হুদুস সংঘটিত হয় তাহলে তার নামায পূর্ণ হয়ে যাবে। (আল-খুলাসা, ১/৪৫০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার জেলার সূর্যাদয়ের সময় দেখবেন। জেলাভেদে সূর্যাদয়ের সময় কম-বেশী হয়। সুতরাং তাশাহুদ পরিমান বৈঠক করার পর নিষিদ্ধ সময় (সূর্যাদয় হলে)  শুরু হলে তাহলে আপনার নামাজ সহীহ হয়ে গেছে। পুনরায় আর কাযা করা লাগবে না। আর যদি তাশাহুদ পরিমান বৈঠক করার আগেই নিষিদ্ধ সময় (সূর্যাদয় হলে) শুরু হলে তাহলে আপনার নামাজ হবে না। পুনরায় আপনাকে উক্ত নামাজ কাযা করতে হবে।

২.যাদুর প্রভাবে যদি এমন অবস্থা তৈরী হয় যে, কি করছে? কি বলছে কিছুই তার স্বরণ নেই। সব তার কন্ট্রোলের বাহিরে তাহলে ঐ অবস্থায় কোন গুনাহের কাজ করলেও তা গুনাহ হিসেবে ধরা হবে না। আমরা আন্তরিক ভাবে দোয়া করছি আল্লাহ তাকে পূর্ণ সুস্থতা দান করুন। যাদু থেকে বাঁচার জন্য কিছু আমল রয়েছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:      

https://ifatwa.info/15412/?show=15412#q15412


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 138 views
...