بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/11985/?show=11985#q11985 নং ফাতওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে, কুরআন মাজীদে ইরশাদ
হয়েছে,আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻳَﺎ ﻧِﺴَﺎﺀ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﻟَﺴْﺘُﻦَّ ﻛَﺄَﺣَﺪٍ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ
ﺇِﻥِ ﺍﺗَّﻘَﻴْﺘُﻦَّ ﻓَﻠَﺎ ﺗَﺨْﻀَﻌْﻦَ ﺑِﺎﻟْﻘَﻮْﻝِ ﻓَﻴَﻄْﻤَﻊَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻓِﻲ ﻗَﻠْﺒِﻪِ
ﻣَﺮَﺽٌ ﻭَﻗُﻠْﻦَ ﻗَﻮْﻟًﺎ ﻣَّﻌْﺮُﻭﻓًﺎ
(তরজমা)
তোমরা (পর পুরুষের সাথে) বাক্যালাপে কোমলতা অবলম্বন কর না। যাতে এরূপ লোকের অন্তরে
আকাঙ্ক্ষা (সঞ্চার) হয়, যার অন্তরে কুপ্রবৃত্তি রয়েছে। (সূরা
আহযাব : ৩২)
লক্ষণীয় বিষয় হল, কন্ঠস্বরের কোমলতা পরিহারের নির্দেশ সরাসরি
নবীযুগের নারীদেরকে দেয়া হয়েছে। সুতরাং আমাদের যুগের মহিলাদের আরো বেশি সতর্ক থাকতে
হবে।
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ
أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.
...নিশ্চয় কান, চোখ,
হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। (সূরা বনী ইসরাঈল : ৩৬)
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।
فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ
زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا
الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى،
وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের
জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে
শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন।
হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা
হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান
তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে
জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭,
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}
ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ;১৯/১৯৩ এ নারীদের আওয়াজ সতরের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার
(মারজুহ) রেওয়াতকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অগ্রাধিকার দিয়ে বলা হয়েছে যে,পর-পুরুষের সামনে মহিলা বক্তৃতা দিতে পারবে না।বক্তৃতা প্রদান জায়েয হবে না।
নারীকন্ঠ সতরের অন্তর্ভুক্ত কি না? এ সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে ভিজিট করুনঃ https://www.ifatwa.info/1058
ইউটিউবে ভিডিও তৈরীর জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। বিস্তারিত জানতে
ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/14733/
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
মহিলারা অপরিচিতদের সামনে কথা বললে ফেতনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই
মহিলাদের জন্য গাইরে মাহরাম বা অপরিচিতদের সাথে অপ্রয়োজনীয় কোনো কথা বলার অনুমতি
নেই।এমনকি ফিতনার আশঙ্কা থাকলে নারী কন্ঠে কুরআন তেলাওয়াত শ্রবণ করাও জায়েয নেই । সুতরাং প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে ফিতনার আশঙ্কা থাকায়
ভিডিও তৈরী করার সময় নারীর কন্ঠ যোগ জায়েয নেই । কন্ঠ যোগ করার বিষয়টি অপশনাল হওয়ার
কারণে তা জরুরতের অন্তর্ভূক্তও নয় । আপনার জন্য করণীয় হলো, উক্ত কাজের প্রতি অনুতপ্ত হয়ে ইস্তেগফার
করতে হবে এবং ঐ ভিডিও ডিলেট করতে হবে । আর যদি একান্ত কন্ঠস্বর যোগ করার প্রয়োজন হয়,
তাহলে পুরুষের কন্ঠ যোগ করে ভিডিও তৈরী করবে ।